দেশ বিদেশ
এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে অভিনব কৌশল
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
আগামী ২রা ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হতে যাওয়া মাধ্যমকি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নতুন করে অন্তত ৫টি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এগুলো হলো- কাগজের হলুদ খামের পরিবর্তে ফয়েল কাগজের প্যাকেটে প্রশ্নপত্র ট্রেজারিতে পাঠানো, বিতর্কিত পরীক্ষা কেন্দ্রে ও সকল ভ্যেনুকেন্দ্র (উপকেন্দ্র) বাতিল, পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ গজ সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা, সংরক্ষিত এলাকায় পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, বিজি প্রেস থেকে সরাসরি ঢাকা মহানগরের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া বিগত বছরগুলোর মতো পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশসহ অন্যান্য সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক মানবজমিনকে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কাগজের প্যাকের পরিবর্তে এবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল কাগজের প্যাকেটে প্রশ্ন ট্রেজারিতে পাঠানো হবে। প্যাকেটের মুখ মেশিন দিয়ে এমনভাবে আটকানো হবে যাতে একবার কেটে ফেললে আর আটকানো যাবে না। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে ট্যাগ অফিসার, বোর্ডের প্রতিনিধির সামনে প্যাকেটটি খুলতে হবে। বোর্ড চেয়ারম্যান আরো বলেন, ২০০ গজের মধ্যে অভিভাবকরা ভিড় করতে পারবে না, সেখানে সিসিটিভি দিয়ে মনিটরিং করা হবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ঠেকাতে উচ্চপর্যায়ের মনিটরিং টিম কাজ করছে, যারা আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। এ ছাড়াও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে বোর্ডের আরো কিছু মেকানিজম আছে। সব উদ্যোগ মিলিয়ে প্রশ্নফাঁস ঠেকানো সম্ভব হবে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সময়ে প্রশ্নফাঁস মহামারি রূপ ধারণ করে। এ নিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত ভাড়া বাড়িতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্র দেয়া হয়। এসব কেন্দ্রের অধীনে অরক্ষিত ভবনে পরীক্ষা নেয়ার জন্য মোটা অঙ্কের বিনিময়ে ভেন্যুর অনুমোদন দেয় বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড। কেন্দ্র থেকে ভেন্যুতে প্রশ্ন নেয়ার সময় মোবাইলে ছবি তুলে প্রশ্নফাঁস করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে প্রশ্ন ফাঁসের অন্যতম কারণ হিসেবে বিষয়টি চিহ্নিত করা হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক বলেন, এবার সব ধরনের ভেন্যু কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। ভাড়া বাড়িতে কোনো কেন্দ্র দেয়া হয়নি। এমনকি যেসব কেন্দ্রের সীমানা প্রাচির অরক্ষিত সেসব প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রে বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর কেন্দ্রে বিজি প্রেস থেকে সরাসরি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগে পরীক্ষার দিন সকালে কোন সেট প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হবে তা জানিয়ে দেয়া হতো। অনকে জায়গায় আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যেত। গত বছর এসএসসি পরীক্ষা থেকে পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারি করে সেট কোড জানিয়ে দেয়া হয়। এবারও পরীক্ষা কেন্দ্রে একাধিক সেট প্রশ্ন পাঠানো হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে লাটারির মাধ্যমে কেন্দ্র সচিবকে প্রশ্নের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে আগের মতো প্রবেশ বাধ্যতামূলক থাকবে। পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণের পর প্রশ্নের প্যাকেট খোলা হবে। যে কারণে প্রশ্নফাঁসের সুযোগ থাকবে না।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগে পরীক্ষার দিন সকালে কোন সেট প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হবে তা জানিয়ে দেয়া হতো। অনকে জায়গায় আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যেত। গত বছর এসএসসি পরীক্ষা থেকে পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারি করে সেট কোড জানিয়ে দেয়া হয়। এবারও পরীক্ষা কেন্দ্রে একাধিক সেট প্রশ্ন পাঠানো হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে লাটারির মাধ্যমে কেন্দ্র সচিবকে প্রশ্নের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে আগের মতো প্রবেশ বাধ্যতামূলক থাকবে। পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণের পর প্রশ্নের প্যাকেট খোলা হবে। যে কারণে প্রশ্নফাঁসের সুযোগ থাকবে না।