খেলা
‘ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়’
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৫ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে এখনো আছে নানা প্রশ্ন। প্রতিটি আয়োজন নিয়ে রয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। সেটি প্রথম শ্রেণির হোক অথবা সীমিত ওভারের কোনো টুর্নামেন্ট। তবে সবকিছুকে ছাড়িয়ে বড় একটি জায়গা দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)। টি-টোয়েন্টি ফরমেটের এই আসরের সামনে যেন ফিকে হয়ে আসবে অন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের আসর। বিপিএলের এই উন্নতি ভালো হলেও অন্য ক্রিকেটের প্রতি আরো মনোযোগী হতে হবে জানান বিসিবির পরিচালক ও বয়সভিত্তিক বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিল চৌধুরী। দীর্ঘদিন থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে তিনি কাজ করে আসছেন। তার দল প্রাইমব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে খেলছে। এ ছাড়াও চারদিনের প্রথম শ্রেণির আসর বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) দক্ষিণাঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকও প্রাইম ব্যাংক। ঘরোয়া ক্রিকেট তার প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে তানজিল চৌধুরী বলেন, ‘এতদিনে আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে যে ছাপ রাখতে চেয়েছিলাম তার ৭০ ভাগই সম্ভব হয়েছে। এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার। এর মধ্যে অন্যান্য (ঢাকা লীগ, এনসিএল, বিসিএল) যে খেলাগুলো হচ্ছে তার প্রাধান্য যেন কমে আসছে। এখানে বড় একটি জায়গা দখল করে নিয়েছে বিপিএল। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে এই উন্নতি আমাদের জন্য ভালো তবে এটিও মনে রাখতে হবে যে অন্য আসর গুলোর প্রতি আমাদের সমান গুরুত্ব দিতে হবে।’
২০১২ তে শুরুর পর থেকে প্রায় ৭ বছর ধরে বিপিএল নিয়ে যেমন আছে দারুণ উচ্ছ্বাস তেমনি নানা সমালোচনা আর বিতর্কও। সত্যিকার অর্থে এই আসর কতটা ভূমিকা রাখছে এই দেশের ক্রিকেটে! এই বিষয়ে তানজিল চৌধুরী বলেন, ‘দেখেন বিপিএল এখন দেশের ক্রিকেটে একটি উৎসবের মতো। যা একটি মাস গোটা দেশকে রাঙিয়ে রাখে। তবে একটা বিষয় দুঃখজনক যে ঢাকাতে তেমন দর্শক হয় না। আমার মতে ঢাকায় বিপিএলের আয়োজন এখন হওয়াই উচিত না। শুধু ফাইনাল ও তার আগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো ছাড়া। এখনই সময় বিপিএলকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার। তাহলে এর অনেক বেশি প্রসার হবে। দর্শকহীন গ্যালারি থাকবে না। যেমন চট্টগ্রাম আর সিলেটে খেলা হলে কিন্তু অনেক দর্শক হয়।’ কিন্তু সেখানেও আছে বিপত্তি। ঢাকার বাইরে স্টেডিয়াম থাকলেও মানসম্পন্ন (পাঁচ তারকা) হোটেল, এয়ারপোর্টসহ সুবিধাধি একেবারে অপ্রতুল। যে কারণে চট্টগ্রাম আর সিলেট ছাড়া অন্য বিভাগে আয়োজন কঠিন বলে দাবি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের। তবে বিসিবির এই পরিচালক মনে করেন যত সমস্যা থাকুক, শক্ত ইচ্ছাই আসল। তিনি বলেন, ‘আসলে ইচ্ছা থাকলে উপায়’ হয়। যদি চান তাহলে এটি সম্ভব। যদি দর্শকদের কথা বলেন, তারা মাটিতে বসে খেলা দেখতেও খুশি। আমাদের সিলেট ও চট্টগ্রামের হোটেল নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বিসিবি যেভাবে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে হোটেল ১ ঘণ্টার পথ দূরে থাকলে ২০ মিনিটের মতো দলকে প্রটেকশন দিয়ে মাঠে নিয়ে আসা হয়। আর ক্রিকেটাররা তো খেলতে আসে, তাদের জন্য হোটেল এত বড় বিষয় হতে পারে না।’ অন্যদিকে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ ও বিসিএল এমন কি স্কুল ক্রিকেট পিছিয়ে থাকার কারণ নিয়ে তানজিল চৌধুরী বলেন, যদি বিসিএলের কথা বলি তাহলে আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অন্য দেশ থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। সত্যিকারের টেস্ট ক্রিকেটার পাওয়ার আশা করা খুবই কঠিন। দেখবেন এখানে ভালো করলেও তারা কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো করতে পারে না। কারণ এটিকে আমরা এখনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগের মান দিতে পারিনি। এখানে টিভি সম্প্রচার নাই, তাই সেই টিভি আম্পায়ারও, ডিআরএসও নাই। যে কারণে প্রতিযোগিতার মানও কম। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগেরও একই অবস্থা। আর যদি স্কুল ক্রিকেটের কথা বলেন, সেখানে বিসিবি দারুণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু এখানে অভিভাবকদের ভূমিকাও অনেক বেশি থাকতে হবে। ক্রিকেটকে একটি পেশা হিসেবে দেখতে হবে। যেমন চিকিৎক, প্রকৌশলীদের পেশাকে সম্মান করা হয় তেমনি। কারণ স্কুল ক্রিকেট মানে তৃণমূলের ক্রিকেট। আর সেখান থেকেই তৈরি হয় আমাদের ক্রিকেটের পাইপ লাইন।
২০১২ তে শুরুর পর থেকে প্রায় ৭ বছর ধরে বিপিএল নিয়ে যেমন আছে দারুণ উচ্ছ্বাস তেমনি নানা সমালোচনা আর বিতর্কও। সত্যিকার অর্থে এই আসর কতটা ভূমিকা রাখছে এই দেশের ক্রিকেটে! এই বিষয়ে তানজিল চৌধুরী বলেন, ‘দেখেন বিপিএল এখন দেশের ক্রিকেটে একটি উৎসবের মতো। যা একটি মাস গোটা দেশকে রাঙিয়ে রাখে। তবে একটা বিষয় দুঃখজনক যে ঢাকাতে তেমন দর্শক হয় না। আমার মতে ঢাকায় বিপিএলের আয়োজন এখন হওয়াই উচিত না। শুধু ফাইনাল ও তার আগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো ছাড়া। এখনই সময় বিপিএলকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার। তাহলে এর অনেক বেশি প্রসার হবে। দর্শকহীন গ্যালারি থাকবে না। যেমন চট্টগ্রাম আর সিলেটে খেলা হলে কিন্তু অনেক দর্শক হয়।’ কিন্তু সেখানেও আছে বিপত্তি। ঢাকার বাইরে স্টেডিয়াম থাকলেও মানসম্পন্ন (পাঁচ তারকা) হোটেল, এয়ারপোর্টসহ সুবিধাধি একেবারে অপ্রতুল। যে কারণে চট্টগ্রাম আর সিলেট ছাড়া অন্য বিভাগে আয়োজন কঠিন বলে দাবি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের। তবে বিসিবির এই পরিচালক মনে করেন যত সমস্যা থাকুক, শক্ত ইচ্ছাই আসল। তিনি বলেন, ‘আসলে ইচ্ছা থাকলে উপায়’ হয়। যদি চান তাহলে এটি সম্ভব। যদি দর্শকদের কথা বলেন, তারা মাটিতে বসে খেলা দেখতেও খুশি। আমাদের সিলেট ও চট্টগ্রামের হোটেল নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বিসিবি যেভাবে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে হোটেল ১ ঘণ্টার পথ দূরে থাকলে ২০ মিনিটের মতো দলকে প্রটেকশন দিয়ে মাঠে নিয়ে আসা হয়। আর ক্রিকেটাররা তো খেলতে আসে, তাদের জন্য হোটেল এত বড় বিষয় হতে পারে না।’ অন্যদিকে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ ও বিসিএল এমন কি স্কুল ক্রিকেট পিছিয়ে থাকার কারণ নিয়ে তানজিল চৌধুরী বলেন, যদি বিসিএলের কথা বলি তাহলে আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অন্য দেশ থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। সত্যিকারের টেস্ট ক্রিকেটার পাওয়ার আশা করা খুবই কঠিন। দেখবেন এখানে ভালো করলেও তারা কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো করতে পারে না। কারণ এটিকে আমরা এখনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগের মান দিতে পারিনি। এখানে টিভি সম্প্রচার নাই, তাই সেই টিভি আম্পায়ারও, ডিআরএসও নাই। যে কারণে প্রতিযোগিতার মানও কম। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগেরও একই অবস্থা। আর যদি স্কুল ক্রিকেটের কথা বলেন, সেখানে বিসিবি দারুণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু এখানে অভিভাবকদের ভূমিকাও অনেক বেশি থাকতে হবে। ক্রিকেটকে একটি পেশা হিসেবে দেখতে হবে। যেমন চিকিৎক, প্রকৌশলীদের পেশাকে সম্মান করা হয় তেমনি। কারণ স্কুল ক্রিকেট মানে তৃণমূলের ক্রিকেট। আর সেখান থেকেই তৈরি হয় আমাদের ক্রিকেটের পাইপ লাইন।