বিশ্বজমিন
অবশেষে কানাডায় সৌদি তরুণী রাহাফ
মানবজমিন ডেস্ক
১৩ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
নিজ পরিবার থেকে হত্যার হুমকির মুখে পালানো সেই সৌদি তরুণী অবশেষে কানাডায় আশ্রয় পেলো। তাকে কানাডায় বৈধভাবে অবস্থানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ১৮ বছর বয়সী সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনুন কুয়েতে অবস্থানরত তার পরিবার থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ড চলে আসে। সেখান থেকে সে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তার কাছে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা থাকার পরও থাইল্যান্ড সরকার তাকে কুয়েতে ফেরত পাঠাতে চায়। কিন্তু ফিরিয়ে দিলে তার পরিবার তাকে হত্যা করবে দাবি করে রাহাফ জোরপূর্বক থাইল্যান্ডের হোটেল রুমে অবস্থান করতে থাকে। সেখান থেকেই টুইটারের মাধ্যমে সে বাইরের জগৎকে তার বিপদের কথা জানিয়ে টুইট করতে থাকে। এমতাবস্থায় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা তাকে শরণার্থী স্বীকৃতি দেয়। এরপরই অস্ট্রেলিয়া তাকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিতে সম্মত হয়। পাশাপাশি, কানাডাও জানায় তারা রাহাফকে আশ্রয় দিতে আগ্রহী। এমতাবস্থায় রাহাফ কানাডায়ই যাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর আগে রাহাফ জানিয়েছিল যে, সে ইতিমধ্যে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছে। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী ইসলাম ত্যাগ করলে তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তাই তাকে যাতে সৌদি আরবে ফেরত পাঠানো না হয় সে জন্য থাইল্যান্ডকে চাপ দিতে থাকে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে, কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডোও তাকে আশ্রয় দিতে এগিয়ে আসে। সাংবাদিকদের ট্রুডো বলেন, কানাডা মানবাধিকার ও নারী অধিকারকে সম্মান করে। তাই জাতিসংঘের অনুরোধের সঙ্গে সঙ্গেই আমরা রাহাফকে আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই।