বাংলারজমিন
রাঘবেন্দ্র জমিদার বাড়ির বেহাল দশা
মো. আবু সালেহ্ মুসা, হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) থেকে
১৩ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
অযত্ন অবহেলায় প্রায় ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে হরিপুরের উপজেলায় অবস্থিত রাঘবেন্দ্র জমিদার বাড়িটি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৪০০ খ্রিঃ পূর্বে মুসলিম শাসনামলে হরিপুর উপজেলার খোলড়া পরগনার অন্তর্গত ছিল। মেহেরুন্নেছা ওরফে কামরুন নাহার নামে এক বিধবা মুসলিম মহিলার ওপর ছিল এ পরগনার জমিদারি। খাজনা অনাদায়ে জমিদার মেহেরুন্নেছার জমিদারির অংশবিশেষ নিলামে উঠলে কাপড় ব্যবসায়ী ঘনশ্যাম কুণ্ডু তা কিনে নেন।
ঘনশ্যাম কুণ্ডুর পরবর্তী বংশধরদের একজন রাঘবেন্দ্র রায়। তিনি ১৮৯৩ সালে রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তার পুত্র জগেন্দ্র নারায়ণ রায় উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
ভবনটির পূর্ব পাশে শিব মন্দির ও মন্দিরের সামনে নাট্যশালা ছিল। এখানে একটি বড় পাঠাগার ছিল। রাজবাড়ির সামনে ছিলো সিংহ দরজা, আজ সেই সিংহ দরজা আর নেই। ১৯০০ সালের দিকে ঘনশ্যামের বংশধররা বিভক্ত হয়ে গেলে হরিপুর রাজবাড়িও দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
রাঘবেন্দ্র জগেন্দ্র নারায়ণ রায় কর্তৃক রাজবাড়িটি বড় তরফের রাজবাড়ি নামে পরিচিতি পায়। এ রাজবাড়ির পশ্চিমে নগেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ও গিরিচা নারায়ণ চৌধুরী ১৯১৩ সালে আরেকটি রাজবাড়ি নির্মাণ করেন। যার নাম ছোট তরফের রাজবাড়ি। হরিপুরের এই ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়িটি সংস্থারের অভাবে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমানে পরিত্যক্ত এ রাজবাড়ির বিভিন্ন কক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এ ব্যাপারে হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এম জে আরিফ বেগ মানবজমিনকে বলেন, হরিপুর রাজবাড়ি দুটি এ এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন। এটি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৪০০ খ্রিঃ পূর্বে মুসলিম শাসনামলে হরিপুর উপজেলার খোলড়া পরগনার অন্তর্গত ছিল। মেহেরুন্নেছা ওরফে কামরুন নাহার নামে এক বিধবা মুসলিম মহিলার ওপর ছিল এ পরগনার জমিদারি। খাজনা অনাদায়ে জমিদার মেহেরুন্নেছার জমিদারির অংশবিশেষ নিলামে উঠলে কাপড় ব্যবসায়ী ঘনশ্যাম কুণ্ডু তা কিনে নেন।
ঘনশ্যাম কুণ্ডুর পরবর্তী বংশধরদের একজন রাঘবেন্দ্র রায়। তিনি ১৮৯৩ সালে রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তার পুত্র জগেন্দ্র নারায়ণ রায় উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
ভবনটির পূর্ব পাশে শিব মন্দির ও মন্দিরের সামনে নাট্যশালা ছিল। এখানে একটি বড় পাঠাগার ছিল। রাজবাড়ির সামনে ছিলো সিংহ দরজা, আজ সেই সিংহ দরজা আর নেই। ১৯০০ সালের দিকে ঘনশ্যামের বংশধররা বিভক্ত হয়ে গেলে হরিপুর রাজবাড়িও দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
রাঘবেন্দ্র জগেন্দ্র নারায়ণ রায় কর্তৃক রাজবাড়িটি বড় তরফের রাজবাড়ি নামে পরিচিতি পায়। এ রাজবাড়ির পশ্চিমে নগেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ও গিরিচা নারায়ণ চৌধুরী ১৯১৩ সালে আরেকটি রাজবাড়ি নির্মাণ করেন। যার নাম ছোট তরফের রাজবাড়ি। হরিপুরের এই ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়িটি সংস্থারের অভাবে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমানে পরিত্যক্ত এ রাজবাড়ির বিভিন্ন কক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এ ব্যাপারে হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এম জে আরিফ বেগ মানবজমিনকে বলেন, হরিপুর রাজবাড়ি দুটি এ এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন। এটি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।