বাংলারজমিন
স্ত্রীর কাণ্ড
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
১৩ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
নাটোরের গুরুদাসপুরে স্বামীর অতিরিক্ত যৌন চাহিদা থাকায় এবং অতিমাত্রায় যৌন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করেছে এক স্ত্রী। যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এমন অত্যাচার করে আসছিল ওই স্বামী। শনিবার ভোরে উপজেলার মশিন্দা মাছপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মধ্য রাতে কোনো এক সময় স্ত্রী রুমি খাতুন স্বামী কাবিল হোসেন (২২)-এর পুরুষাঙ্গ কর্তন করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী রুমি খাতুন (১৭)কে আটক করেছে। নিহত কাবিল বিশ্বাস পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ধানকুড়িয়া গ্রামের নরশেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে। রুমি খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামের মকছেদ আলীর মেয়ে। রুমি খাতুনের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত চার মাস আগে কাবিল হোসেনের সঙ্গে রুমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কাবিল হোসেন যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে স্ত্রীর ওপর যৌন নির্যাতন চালাতে থাকে। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এরই একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত দুই সপ্তাহ আগে রুমি খাতুন তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। গতকাল শুক্রবার কাবিল হোসেন মাশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। রাতে পুনরায় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে যৌন নির্যাতন শুরু করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। এর একপর্যায়ে ভোরে স্ত্রী রুমি খাতুন ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে স্বামী কাবিল বিশ্বাসের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই কাবিল হোসেনের মৃত্যু হয়। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুমি খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিম রেজা জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।