অনলাইন
পিতাকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন পুত্র
ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধি
১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৭:২৮ পূর্বাহ্ন
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় সেফটি ট্যাংক থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল কালামের (৫২) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের একদিনের মাথায় উম্মোচিত হয়েছে হত্যা রহস্য।
নিহতের ছেলে হাসান ও তার বন্ধুরা মিলেই ঘটায় এ হত্যাকান্ড। গতকাল শুক্রবার রাতে ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এমএম মোর্শেদ পিপিএম ও পরিদর্শক (তদন্ত) সুদ্বীপ রায়ের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সে।
জবানবন্দীতে হাসান জানায়, বাবা আবুল কালাম পরিবারের সদস্যদের কোন কারণ ছাড়া প্রায় অমানষিক নির্যাতন করতো। এটা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আবুল হাসান। এই জন্য বন্ধু দিয়ে ভয় দেখাতে গিয়ে লাঠি দিয়ে হাল্কা আঘাত করে। এতে তার মৃত্যু হয়। সে আরো বলে, এত হাল্কা আঘাতে তার বাবার মৃত্যু হবে সেটা ভাবতে পারেন নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে সেফটি ট্যাংক থেকে আবুল কালামের লাশ উদ্ধার করা হয়। সেদিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী রেখা আক্তার ও ছেলে হাসানকে থানায় নেয় পুলিশ। পরে হাসানের বন্ধু ইমাম হোসেন রহিমকেও আটক করা হয়। রহিম কৈয়রা গ্রামের ওসমান গণির ছেলে। ঘটনার ক্লু উদঘাটন হওয়ার পর শুক্রবার রাতেই রেখা আক্তারকে ছেড়ে দেয়া হয়। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় ছেলে আবুল হাসান ও বন্ধু ইমাম হোসেন রহিমকে।
কালামের বোন জরিনা আখতার জানান, গত বৃহস্পতিবার ঘরের পাশে দুর্গন্ধ পান তিনি। এসময় পাশের ঘরের সেফটিক টাংকের ঢাকনা সামান্য ফাঁকা দেখতে পান। বিষয়টি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন। দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁঁছে ও সেফটি ট্যাংকে লাশ দেখতে পেয়ে বিকেলে লাশ উদ্ধার করে।
জরিনা আখতার আরো জানান, তার ভাই আবুল কালাম অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। ১ম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হওয়ায় রেখা আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করে ও শেষে ঢাকার এক গার্মেন্ট কর্মীকে বিয়ে করেন। বর্তমানে ২য় স্ত্রী রেখার সঙ্গে বাড়িতে বসবাস করেন। গত দুবছর আগে আবুল কালাম স্ট্রোক করার পর থেকে স্বাভাবিক আচরণ করতেন না। রাতে ঠিকমত ঘুমাতেন না। গত শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর থেকে তিনি নিখেঁাঁজের দিন দুপুরে আবুল কালামের স্ত্রী রেখা আক্তার, ৩ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। আবুল কালাম পশ্চিম মধুগ্রাম মিদ্দা বাড়ীর সামছুল হকের ছেলে।
নিহতের ছেলে হাসান ও তার বন্ধুরা মিলেই ঘটায় এ হত্যাকান্ড। গতকাল শুক্রবার রাতে ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এমএম মোর্শেদ পিপিএম ও পরিদর্শক (তদন্ত) সুদ্বীপ রায়ের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সে।
জবানবন্দীতে হাসান জানায়, বাবা আবুল কালাম পরিবারের সদস্যদের কোন কারণ ছাড়া প্রায় অমানষিক নির্যাতন করতো। এটা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আবুল হাসান। এই জন্য বন্ধু দিয়ে ভয় দেখাতে গিয়ে লাঠি দিয়ে হাল্কা আঘাত করে। এতে তার মৃত্যু হয়। সে আরো বলে, এত হাল্কা আঘাতে তার বাবার মৃত্যু হবে সেটা ভাবতে পারেন নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে সেফটি ট্যাংক থেকে আবুল কালামের লাশ উদ্ধার করা হয়। সেদিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী রেখা আক্তার ও ছেলে হাসানকে থানায় নেয় পুলিশ। পরে হাসানের বন্ধু ইমাম হোসেন রহিমকেও আটক করা হয়। রহিম কৈয়রা গ্রামের ওসমান গণির ছেলে। ঘটনার ক্লু উদঘাটন হওয়ার পর শুক্রবার রাতেই রেখা আক্তারকে ছেড়ে দেয়া হয়। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় ছেলে আবুল হাসান ও বন্ধু ইমাম হোসেন রহিমকে।
কালামের বোন জরিনা আখতার জানান, গত বৃহস্পতিবার ঘরের পাশে দুর্গন্ধ পান তিনি। এসময় পাশের ঘরের সেফটিক টাংকের ঢাকনা সামান্য ফাঁকা দেখতে পান। বিষয়টি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন। দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁঁছে ও সেফটি ট্যাংকে লাশ দেখতে পেয়ে বিকেলে লাশ উদ্ধার করে।
জরিনা আখতার আরো জানান, তার ভাই আবুল কালাম অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। ১ম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হওয়ায় রেখা আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করে ও শেষে ঢাকার এক গার্মেন্ট কর্মীকে বিয়ে করেন। বর্তমানে ২য় স্ত্রী রেখার সঙ্গে বাড়িতে বসবাস করেন। গত দুবছর আগে আবুল কালাম স্ট্রোক করার পর থেকে স্বাভাবিক আচরণ করতেন না। রাতে ঠিকমত ঘুমাতেন না। গত শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর থেকে তিনি নিখেঁাঁজের দিন দুপুরে আবুল কালামের স্ত্রী রেখা আক্তার, ৩ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। আবুল কালাম পশ্চিম মধুগ্রাম মিদ্দা বাড়ীর সামছুল হকের ছেলে।