খেলা
‘হ্যাটট্রিক হয় না হয়ে যায়’
স্পোর্টস রিপোর্টার
১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
অচেনা ক্রিকেটার, আলিস আল ইসলাম। ঢাকা ডায়নামাইটস ও রংপুরের ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়েই আলোচনা। ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার নিজেই জানালেন ঢাকার সাভারে তার বাড়ি। খেলেছেন প্রথম বিভাগের ক্রিকেটে। এরপর ঢাকার নেট বোলার। সেখান থেকেই দলের আস্থার কারণে বিপিএল মঞ্চে আসা। অচেনা-অখ্যাত এই বোলার যে একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেকে হ্যাটট্রিকের কীর্তি আর কারও ছিল না। না ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে, না আন্তর্জাতিক ম্যাচেও। সেই রেকর্ডটা গতকাল হয়ে গেল। নেট থেকে তুলে আনা এই বোলারকে তার জীবনের স্মরণীয় একটা দিন উপহার দেয়ার কৃতিত্ব ঢাকা ডায়নামাইটস কোচ খালেদ মাহমুদের। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে খালেদ মাহমুদ সুজনকে কৃতিত্ব দিতে ভোলেনি আলিস। সেখানে তিনি বলেন, আমি ঢাকা ডায়নামাইটসের নেট বোলার ছিলাম। নেট বোলিং করার সময় সুজন (ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন) স্যার আমাকে দেখেন। দেখে ওনার বিশ্বাস হয় যে আমি ভালো করতে পারবো, তারপর আমাকে টিমে নেয়। তারপর টিম ম্যানেজমেন্ট, প্লেয়াররা আমাকে সাপোর্ট করে। তারপর আমি সেরা একাদশে। অভিষেক ম্যাচ নিয়ে আলিস বলেন, আসলে এটা আমার বিপিএলে প্রথম ম্যাচ। খোলাসা করে বলতে গেলে স্টেডিয়ামেই এটা আমার প্রথম ম্যাচ। আমি আসলে অনেক নার্ভাস ছিলাম। তবে, ক্যাচ দুটি ছাড়ার পর দলের সবাই অনেক সাপোর্ট করেছে আমাকে। কোচও সাপোর্ট করেছেন। সবাই আসলে অনেক সাহস দিয়েছেন। তাতে আমার মনে হয়েছে যে, ভালো জায়গায় বলটা করতে পারি তাহলে ভালো কিছু হতে পারে। আমি শুধু ভালো জায়াগায় বল করতে চেয়েছি। নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে এই অফস্পিনার বলেন, আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করি কাঠালবাগান গ্রিন ক্রিসেন্ট ক্লাব থেকে। তারপর কয়েক বছর সেকেন্ড ডিভিশন খেলার পর ফাস্ট ডিভিশন খেলি। এরপর ছিলাম ঢাকার নেট বোলার। সেখান থেকে দলের সবাই চেয়েছে। সমর্থন দিয়েছে, সে কারণেই আমি বিপিএলে আজ খেলতে পেরেছি। হ্যাটট্রিক নিয়ে বলতে গিয়ে আলিস জানান, আসলে হ্যাটট্রিক করা যায় না, হয়ে যায়। আমি ভালো জায়গাতে বল করেছি পরিস্থিতি আমার পক্ষে ছিল।