শেষের পাতা
অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
ফেনীতে ঘরে আটকে রেখে চার তরুণীকে গণধর্ষণ
ফেনী প্রতিনিধি
১১ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
ফেনী শহরের রামপুর এলাকায় একটি বাসায় চার তরুণীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে মো. ওমায়ের (১৯) ও আরিফুল ইসলাম ওরফে আরমান (৩৩) নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে শহরের রামপুর
এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত সোমবার রাতে এক তরুণী বাদী হয়ে কাওসার বিন কাসেম সহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রেমের প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে চার তরুণীকে এনে ফেনী শহরের রামপুর এলাকায় একটি বাসায় আটকে রাখে জনৈক কাওসার বিন কাসেম। দীর্ঘ ছয়মাস ধরে আসামি নিজেও তার সহযোগীদের সঙ্গে ওই তরুণীদের জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এসময় ওই তরুণীরা অসামাজিক কাজে অসম্মতি জানালে তাদের সিগারেটের ছেঁকা, বৈদ্যুতিক শর্ট ও মারধর করে বিভিন্নভাবে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়।
গত ৭ই জানুয়ারি ওই বাসার ভেতরে তরুণীদের কান্না ও চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে অভিযান চালিয়ে বন্দি অবস্থায় চার তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার মালিকসহ নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় ওই বাসার বিভিন্ন কক্ষ থেকে ৫৩ পিস ইয়াবা বড়িসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নির্যাতনের আলামত জব্দ করে পুলিশ।
এদিকে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও মো. আবু তাহের জানান, উদ্ধারকৃত চার তরুণীকে পুলিশ শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে আনলে ওই তরুণীদের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম জানান, উদ্ধারকৃত চার তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা শেষে ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতে উপস্থিত করলে বুধবার ‘২২ ধারায়’ তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। নারী নির্যাতনের ধর্ষণ মামলা ছাড়াও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি কাওসার বিন কাসেমকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত সোমবার রাতে এক তরুণী বাদী হয়ে কাওসার বিন কাসেম সহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রেমের প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে চার তরুণীকে এনে ফেনী শহরের রামপুর এলাকায় একটি বাসায় আটকে রাখে জনৈক কাওসার বিন কাসেম। দীর্ঘ ছয়মাস ধরে আসামি নিজেও তার সহযোগীদের সঙ্গে ওই তরুণীদের জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এসময় ওই তরুণীরা অসামাজিক কাজে অসম্মতি জানালে তাদের সিগারেটের ছেঁকা, বৈদ্যুতিক শর্ট ও মারধর করে বিভিন্নভাবে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়।
গত ৭ই জানুয়ারি ওই বাসার ভেতরে তরুণীদের কান্না ও চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে অভিযান চালিয়ে বন্দি অবস্থায় চার তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার মালিকসহ নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় ওই বাসার বিভিন্ন কক্ষ থেকে ৫৩ পিস ইয়াবা বড়িসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নির্যাতনের আলামত জব্দ করে পুলিশ।
এদিকে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও মো. আবু তাহের জানান, উদ্ধারকৃত চার তরুণীকে পুলিশ শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে আনলে ওই তরুণীদের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম জানান, উদ্ধারকৃত চার তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা শেষে ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতে উপস্থিত করলে বুধবার ‘২২ ধারায়’ তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। নারী নির্যাতনের ধর্ষণ মামলা ছাড়াও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি কাওসার বিন কাসেমকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।