বাংলারজমিন
টানা তিনদিনের যানজটে অচল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১১ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৭:৩০ পূর্বাহ্ন
তিন দিন ধরে যানজটের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ৫০ কি.মি. জুড়ে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। যার দরুন যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। বৃহস্পতিবার কাঁচপুর ব্রিজ থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দির রায়পুর পর্যন্ত ভয়াবহ যানজট দেখা যায়। কুমিল্লা থেকে ঢাকা যেতে দুই ঘণ্টার রাস্তায় সময় লাগছে ১০-১২ ঘণ্টা। এদিকে অনেকেই দীর্ঘ যানজটে আটকে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। শীতের রাতে যানজটে আটকে পড়া যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। বিশেষ করে বৃদ্ধ নারী ও শিশুরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে এ যানজট শুরু হয়। আজও যানজটে পড়া যানবাহনের গতি ছিল খুবই কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও পর চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার পর, পরবর্তীতে আমদানি-রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও টানা দুদিন ধরে মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুতে গাড়ি আটকে থাকায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা টোল প্লাজা এলাকা থেকে মহাসড়কের দুই প্রান্তে ২০ কি.মি. তীব্র যানহটের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার রাত থেকে সৃষ্ট যানজটে হাজার হাজার যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পড়তে হয়। বুধবার এ যানজট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময় অনেকে হেঁটে রওনা দেন। অনুসন্ধানে জানা-যায়, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বহীনতা, বিকল যানবাহন দ্রুত না সরানো ওজন স্কেল স্থাপন, টোল আদায়ে ধীরগতি, ৮ লেনের গাড়ি ২ লেনে চলাচল, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, পরিবহন চাঁদাবাজদের বেপরোয়া চাঁদাবাজি, মেঘনা সেতু ও কাঁচপুর সেতু এলাকায় নতুন দুটি সেতুর কাজ পরিচালনা করার কারণে প্রতিদিন মেঘনা সেতু ও কাঁচপুর এলাকাসহ এর আশপাশের এলাকায় প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়।