রকমারি

যখন আমার মেয়ের বাবার সঙ্গে পরিচয় হল ১২ বছর পরে

৪ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৩:০০ পূর্বাহ্ন

যখন একটি সন্তানের আশায় শুক্রাণু ব্যাংক থেকে শুক্রাণু কিনেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা জেসিকা শায়ার, তখন তিনি কল্পনাও করেননি যে এক যুগ পরে সেই সন্তানের বাবার সঙ্গে তার পরিচয় হবে এবং শুরু হবে নতুন এক জীবনের।

জেসিকা শায়ারের জবানীতেই শোনা যাক সেই গল্প:

২০০৫ সালে যখন আমার বড় মেয়ের জন্ম হয়, তখন আমি ছিলাম পরিচিতদের মধ্যে প্রথম সমকামী অভিভাবক। অন্য যেসব নারী সমকামী অভিভাবকদের আমি চিনতাম, তারা সবাই আগের সম্পর্কে থাকার সময় বাবা-মা হয়েছে। কিন্তু আমার মেয়ে বন্ধু আর আমি ঠিক করেছিলাম যে আমরা শুরু করবো একেবারে গোড়া থেকে।

আমার মেয়ে বন্ধুর পরামর্শ ছিল তার ভগ্নীপতির কাছ থেকে শুক্রাণু গ্রহণ করার। কিন্তু আইনি কিছু বিষয় জানার কারণে আমি তাতে আগ্রহী হইনি।

কারণ সমকামী দম্পতিদের সন্তানদের ক্ষেত্রে জন্মদাত্রী মা মারা গেলে সেই সন্তানকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে সেই শুক্রাণু দাতা বাবার সঙ্গে গিয়ে বসবাস করতে হয় - যাকে সন্তানটি হয়তো চেনেই না।

ভাগ্যক্রমে আমরা এমন একটি শুক্রাণু ব্যাংকের খোঁজ পেলাম, যারা বাড়িতে শুক্রাণু সরবরাহ করে। সেখানে দাতাদের এমন কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে হয় যার ফলে তারা আর ভবিষ্যতে এই শিশুদের অভিভাবকত্ব দাবি করতে পারেন না।

যেহেতু সে সময় আমি একটি ডক্টরেট থিসিস লিখছিলাম, তাই আমার গর্ভেই প্রথম শিশু জন্মের সিদ্ধান্ত নিলাম আমি ও আমার মেয়েবন্ধুটি - যে তখনকার সমকামী আইন মতে আমার স্ত্রী ছিল। সে আর আমি মিলে ডোনার সংস্থাটি থেকে এমন একজনকে খুঁজে নিলাম যার উচ্চতা এবং ওজন গড়পড়তা, বাদামী রঙের চুল রয়েছে আর খেলাধুলা পছন্দ করে। ওই শুক্রাণু দাতা তার বর্ণনা সম্পর্কে লিখেছেন যে তিনি একজন লেখক, সংগীতশিল্পী এবং ট্যাক্সি চালক। আমি এবং আমার স্ত্রী রোমান্টিকভাবে ভাবতে শুরু করলাম, তিনি হয়তো এমন একজন যিনি ডেস্কের চাকরি চান না, বরং ট্যাক্সি চালিয়ে নানা মানুষের জীবনের গল্প শুনে চমৎকার কোন উপন্যাস লিখতে চান।

এছাড়া ওই দাতার সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে সামান্যই তথ্য ছিল। কিন্তু সাধারণ একজন ছেলে বন্ধুর সম্পর্কে যতটা জানা যায়, তার স্বাস্থ্য বর্ণনা শুনে আমরা যেন অনেক বেশিই জানতে পারলাম। তবে তার কোন ছবি আমরা দেখতে পাইনি।

বাড়িতে বসে গর্ভবতী হওয়ার ব্যাপারটি ছিল রোমাঞ্চকর।

ক্রেতাদের কাছে যতটা শুক্রাণু আসে, তার পরিমান একটি লিপস্টিকের ঢাকনির অর্ধেকের সমান তরলের মতো। কিন্তু সেটি আসে তিন ফিট লম্বা নাইট্রোজেন ভরা একটি ট্যাংকে করে। গ্লোভস পড়ে সেটির ভেতর থেকে ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের বোতলটি বের করতে হয়, তারপর হাতের তালুতে করে গরম করতে হয়। এরপর একটি ক্ষুদ্র সিরিঞ্জের মাধ্যমে সেটিকে গর্ভে স্থাপন করতে হয়।

তবে এই পুনর্জীবিত করা শুক্রাণুগুলো শুধুমাত্র একদিন বেঁচে থাকতে পারে। তাই তখন যদি তাদের জন্য কোন ডিম্বাণু অপেক্ষা করে না থাকে, তাহলে এগুলোর সব মারা যাবে।

সুতরাং ডিম্বাণুর সঙ্গে শুক্রাণু নিষিক্ত করার বিষয়টি যেন মাসিক একটি মহা অনুষ্ঠানের মতো। আমি দুইবার গর্ভসচাঁর করিয়েছি, যাতে সবদিক থেকেই শুক্রাণুগুলো পরিস্ফুট ডিম্বাণুর সঙ্গে নিষিক্ত হতে পারে। কারণ শুক্রাণুর অন্তত পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে জরায়ুর ভেতর দিয়ে ডিম্বাণু পর্যন্ত পৌঁছাতে।

দাতাদের কাছ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে গর্ভবতী হওয়ার প্রতিটি ধাপই আমি শিখে নিয়েছিলাম।

সাত মাস পরে আমি গর্ভবতী হতে পারলাম। আমরা দাতার বিষয়টি নিয়ে কোন চিন্তাভাবনাই করিনি। কারণ আমরা ধরেই নিয়েছিলাম, তিনি কখনো দেখা করতে চাইবেন না। বিশেষ করে আমার স্ত্রী চাইতেন না যে তিনি কখনো আমাদের সন্তানদের সঙ্গে পরিচিত হোন। কারণ তার মতে, ভালোবাসাই পরিবার তৈরি করে। আমিও তার সঙ্গে একমত ছিলাম।

যখন অ্যালিসের জন্ম হল, সে হল সবদিক থেকে আদর্শ।

ডিএনএ নিয়ে আমাদের সব সংশয় দূর হয়ে গেলো। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, এই চমৎকার শিশুটির আরেকটি কপি আমাদের দরকার। তাই আমরা আবার একই দাতার শুক্রাণু চেয়ে ওই শুক্রাণু ব্যাংকে যোগাযোগ করলাম এবং পুনরায় একই প্রক্রিয়া শুরু করা হল। এবার আমার সমকামী সঙ্গী - যিনি আমার স্ত্রী - আমাদের দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে ধারণ করলেন। অ্যালিসের জন্মের ১৮ মাস পরে ওর জন্ম হল।

দুই মেয়ের মধ্যেই অনেক বিষয়ে মিল দেখা গেল। দুজনেই অনেক লম্বা, লম্বা কিন্তু চাপা মুখ, ছোট নাক এবং অনেক কথা বলার ক্ষমতা।

তবে মেয়েদের বয়স যখন এক আর তিন, তখন আমার স্ত্রী ঘোষণা দিলো যে সে আমাদের সম্পর্কের সমাপ্তি টানতে চায়। আমাদের পরিবারে কোন ঝামেলা ছিল না, সুতরাং এই সিদ্ধান্তে আমি খুবই আহত হলাম এবং আমার হৃদয় ভেঙ্গে গেল। তবে সে জানালো যে এই বিষয়ে সে আর কোন কথা বলতে চায় না।

পরের কয়েক বছর ধরে সপ্তাহে পাঁচদিন আমি দুই মেয়ের দেখাশোনা করতে লাগলাম। কিন্তু অ্যালিসের বয়স যখন ১০, তখন আমার সাবেক সঙ্গী অ্যালিসকে তার ফোনে ব্লক করে রাখতে শুরু করে, তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং এক ছুটির পরে তার ছোট বোনকে ফেরত দিতেও অস্বীকার করে।

এখনো সেই অবস্থাই চলছে। কিন্তু অ্যালিস সবসময়েই তার বোনের কথা ভাবতো। অ্যালিস সব সময়েই জানতো, পরিবার শুধুমাত্র জিনগত কারণেই তৈরি হয় না বা সে কারণে কেউ ভালো অভিভাবকও হতে পারে না। বরং তার জীবনে জিনগত ব্যাপারটির গুরুত্ব সামান্যই।

তারপরেও অ্যালিস তার পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে ভাবতে শুরু করলো। নিজের জিনগত ঐতিহ্যের বিষয়টি জানতে ১১ বছর বয়সের ক্রিসমাসে তার নানীর কাছে একটি ডিএনএ টেস্টিং কিট চাইলো অ্যালিস।

আট সপ্তাহ পরে তার ফলাফল জানা গেল। ওই ওয়েবসাইটের একই ডিএনএ'র আত্মীয়-স্বজনদের তালিকায় আমি ক্লিক করলাম। তবে আমি আশা করিনি যে কিছু বেরিয়ে আসবে। কিন্তু প্রথম যে বিষয়টি সেখানে দেখা গেল: ''অ্যারন লঙ, ৫০ শতাংশ, পিতা''।

এর পাশেই ''ব্রিস গ্যালিও, ২৫ শতাংশ, সৎ ভাই''।

আমি জানতাম, এমনটা হতে পারে। অ্যারন সম্পর্কে আরেকটু জানার জন্য আমি অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করলাম। দেখা গেল, বিশ্বে অনেক অ্যারন লঙ রয়েছেন।

তখন আমি নির্দিষ্ট একজনকে খোঁজার জন্য ফিল্টারিং করতে শুরু করলাম। যেমন শুক্রাণুর একটি ভায়ালে শুক্রাণু দেয়ার তারিখ লেখা ছিল। সেটার মাধ্যমে আমি জন্ম তারিখ আর কলেজের স্নাতকের তারিখ বের করলাম। সেই বয়সের মধ্যে মধ্যে একজন অ্যারন লঙকে পাওয়া গেল, যিনি কাছাকাছি সময়ে সাহিত্যে স্নাতক করেছেন।

ইন্টারনেটে তার ছবিতে দেখা গেল তিনি একটি সিল্কের পাগড়ি পড়ে বিশাল বাঁশি বাজাচ্ছেন। তার প্রোফাইলে লেখা রয়েছে, তিনি একজন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, সিয়াটলে বসবাস করেন। তিনি একজন লেখক ও সংগীত শিল্পী।

অন্যসব সামাজিক মাধ্যমে আমি সিয়াটলে বসবাসকারী অ্যারন লঙকে খুঁজে পেলাম যেখানে তার কাজের ঠিকানা এবং প্রতি বছরের ছবি রয়েছে। সন্দেহের আর কোন অবকাশ রইলো না। কারণ আমার মেয়েরাও ওই একই চেহারা পেয়েছে।

আমি তাড়াতাড়ি ওই ডিএনএ সাইটের মাধ্যমে তার কাছে একটি চিঠি লিখলাম। আমি লিখলাম: ''হাই অ্যারন, আমার দুইটি মেয়ে রয়েছে, যাদের সঙ্গে তোমার ডিএনএ মিল রয়েছে। (আমার সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে ছোট মেয়েটি থাকে, তবে সে এই সাইটে নেই) তুমি যদি পারিবারিক ছবি লেনদেন করতে চাও, আমরা এখানে আছি।''

আমি খানিকটা আশংকায় ছিলাম যে সে হয়তো ছোট মেয়েটির ছবি দেখতে চাইবে।

অ্যারন তাড়াতাড়ি উত্তর দিল। অনেক তথ্য তিনি শেয়ার করলেন - যা এর মধ্যেই আমি খোঁজখবর করে জেনে ফেলেছি। তিনি জানতে চাইলেন, আমার কোন প্রশ্ন আছে কিনা?

আমরা দুজনে সামাজিক মাধ্যমে বন্ধু হওয়ার বিষয়ে একমত হলাম। অ্যারন ৫০ পাতার বিশাল জীবন কাহিনী পাঠালো, যা আমি গোগ্রাসে পড়ে ফেললাম। তিনি বেশ কয়েক বছর একটি ব্যান্ডের সদস্য হিসাবে আমাদের শহরেই ছিলেন। ভাবলাম,কতবার না জানি তাকে সুপার মার্কেটে পাশ কাটিয়েছি!!আমি ব্রিসের কাছেও একটি চিঠি লিখলাম, যে সবে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছে। সে আমাকে জানালো, ম্যাডি নামের ১৯ বছর বয়সী একজন সৎ বোনের খোঁজ পেয়েছে এবং অন্য অভিভাবকদের সঙ্গেও যোগাযোগ আছে।

সে জানালো, অ্যারনের মোট ছয় জন সন্তানের কথা সে জানে এবং তার আরেকটি ছোট বোন আছে। তবে একমাত্র বোন ম্যাডি হয়তো অ্যালিসের সঙ্গে একটি সম্পর্ক তৈরির ব্যাপারে আগ্রহী হতে পারে।

কয়েকমাস পরে ব্রিস এবং ম্যাডির সঙ্গে সিয়াটলে দেখা করার পরিকল্পনা শুরু হয়। অ্যালিসও দেখতে চাইছিল যে তার সৎ ভাই-বোন এবং অ্যারনের সঙ্গে তার কতটা মিল আছে। আমি তার সঙ্গে যেতে সম্মত হলাম।

অ্যারন একটি পার্টির আয়োজন করলো, যেখানে সে তাদের সাবেক সঙ্গী, স্কুল ও কলেজের বন্ধু, সাবেক সব বান্ধবী এবং তাদের সঙ্গী ও সন্তানদের নিমন্ত্রণ করলো। বাড়ির ছাদে সবাই ক্যাম্প করে রক্তের সন্তানদের সঙ্গে দেখার করার বিষয়টি উদযাপন করতে শুরু করলো।

এরপর আমরা ভাস্কর্য বাগানে বেড়াতে গেলাম, গাড়িতে করে দূরের একটি শিল্প উৎসবে গেলাম, এক সঙ্গে রাতের খাবার খেলাম। বেশ কয়েক বছর ধরে আমি একজন পুরুষের সঙ্গে প্রেম করছিলাম, যার নাম অ্যারন ডেভিড। এক ছুটির সময় শুক্রাণু দাতা অ্যারন এ নিয়ে মজা করে বললো, ব্যুরো অব বয়ফ্রেন্ডের ভুলে এক অ্যারনের জায়গায় আরেক অ্যারন চলে গেছে।

আমি হাসলাম, তবে সংকোচও বোধ করলাম। কারণ আমি একটি সম্পর্কের মধ্যে ছিলাম আর ডোনার অ্যারন আমার সন্তানদের কাছে একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, কিন্তু তাই বলে আমার জীবনের কোন অংশ হওয়ার কারণ নেই।

তবে আমার সেই ছেলে বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক যখন ভেঙ্গে গেল, তখন আমি ভাবতে শুরু করলাম যে আমার সন্তানের প্রিয় মানুষ কি আমার মানুষ হতে পারে! আর সিয়াটল কি আমাদের নতুন ঠিকানা হয়ে উঠতে পারে!

অ্যারনের উদারতা এবং তার সাবেকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়টি আমাকে ভাবতে বাধ্য করলো যে একবার সেই চেষ্টা করা যেতে পারে।

যখন একটি ছেলে মেয়ে পরস্পরকে ভালোভাসে এবং বিয়ে করে, তখন তারা সন্তানের কথা ভাবে যে তাদের মাধ্যমে তারা নিজেদেরই দেখতে পাবে। আমি এর মধ্যেই অনেক বছর ধরে সেই মানুষের মধ্যে বসবাস করছি।

আমি বুঝতে শুরু করলাম, তাকে আমি এর মধ্যেই চিনি এবং অ্যারন হচ্ছে সেই মানুষ যাদের একজনকে (অ্যালিস) আমি সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসি। অনেক দিক থেকেই সে এর মধ্যেই পরিবারের একজন হয়ে গেছে। তার হাসিখুশির প্রবণতা আমার মেয়ের মতো। আর তার দয়ামায়া এবং সামাজিকতা? - তাও আমার মেয়ের মতো।

এটা বলা কঠিন যে, আমাদের সম্পর্কে ডিএনএ কোন ভূমিকা রেখেছে কি-না।

২০১৭ সালে অ্যালিস এবং আমি অ্যারনের বাড়িতে উঠে এলাম। এটা এমন বিশাল একটি ভবন যেখানে অ্যারনের আরো অনেক ছেলেপিলে এসে থাকতে পারবে। ম্যাডিও আমাদের সঙ্গে বসবাস করতে এলো। সিয়াটলের কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে বসবাস করা অ্যারনের আরেক সন্তানের সঙ্গেও আমাদের দেখা হল এবং তার সঙ্গে আমাদের গার্ল স্কাউট ট্যুরও হয়ে গেল।

আমি খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারলাম, একজন মা হিসাবে আমি অ্যালিসের যেকোনো ভাইবোনকেই গ্রহণ করতে পারবো। তাদের জন্য খাবার তৈরি করা, লন্ড্রির কাজ করা বা তাদের যত্ন করার কাজ করতে পারছি। তারা আমার সন্তানের ভাইবোন, আমার নাতি-নাতনির মামা বা খালা হবে।

তাদের সবাই হয়তো অ্যারনের মতো দেখতে নয়, তবে অবশ্যই সবাই রক্তের সম্পর্কে জড়িত।

অ্যারনের বয়স্ক মা তার বিড়াল সঙ্গে নিয়ে সেখানে থাকতে এলেন। নতুন সম্পর্কের এই পরিবারের মাধ্যমে আমি যেন পরিবারকে নতুন করে চিনতে শিখলাম।

শুক্রাণু দাতা বাছাই করতে গিয়ে ডিএনএ'র বিষয়টি নিয়ে আমি ভেবেছিলাম, কিন্তু এখন সেই ডিএনএ'র বিষয়টি যেন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো।

তবে আমি এখনো বিশ্বাস করি, জিন নয় ভালোবাসাই পরিবার তৈরি করে। কিন্তু সেই ভালোবাসার প্রতি খোলামেলা থাকলে সেটি একটি পরিবারে রূপান্তরিত হয় - সবাই আসতে পারে এবং জায়গা করে নিতে পারে। অনেক ধরণের সম্পর্কের জন্যই আসলে অনেক জায়গা থাকে।

কে জানে, অ্যারনের আরো কতো জিনগত সন্তান রয়েছে!

তার ধারণা, এই সংখ্যা হয়তো ৬৭ জনের মতো হতে পারে। এতজন থাকতে এলে বাড়িটি হয়তো ধসেই যাবে, তবে তাদের সবার জন্যই আমার কাছে স্যান্ডউইচ আছে আর দরজাও খোলা আছে।

সূত্রঃ বিবিসি
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status