বিশ্বজমিন
নিজের দাতব্য সংস্থা বন্ধে বাধ্য হলেন ট্রাম্প
মানবজমিন ডেস্ক
১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক দাতব্য সংস্থা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্প ফাউন্ডেশন নামে ওই চ্যারিটি কর্তৃপক্ষই এতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প সহ সংস্থাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে অবৈধভাবে এর অর্থ ব্যয় করেছেন, এমন অভিযোগে মামলা করেছেন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল বারবারা আন্ডারউড। এর মধ্যেই গোটা চ্যারিটি বন্ধের ঘোষণা এলো। চ্যারিটির অবশিষ্ট অর্থ অ্যাটর্নি জেনারেলের তত্ত্বাবধানে ব্যয় করা হবে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
বারবারা আন্ডারউড মূলত ট্রাম্প ও তার তিন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের বিরুদ্ধে দাতব্য সংস্থার অর্থ ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন। তবে ফাউন্ডেশনের আইনজীবীর অভিযোগ, ডেমোক্রেট-দলীয় অ্যাটর্নি জেনারেল বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আন্ডারউড বলছেন, ট্রাম্প ও তার তিন সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা চলতে থাকবে। তার মতে, এটি আইনের শাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক বিজয়। অপরদিকে ট্রাম্প ফাউন্ডেশনের আইনজীবী অ্যালান ফুতেরফাস বলছেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের বেঠিক বক্তব্য প্রমাণ করে তিনি এ ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। তবে ট্রাম্প ও তার তিন সন্তান এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি। গত জুনে ট্রাম্প অবশ্য বলেছিলেন যে, তিনি এই মামলা মীমাংসা করার চেষ্টা করবেন না। তার দাবি, তিনি ভুল কিছু করেন নি।
জুনে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে মোট ৪৮ পৃষ্ঠার নথি দাখিল করা হয়। এতে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ট্রাম্প ফাউন্ডেশন যেভাবে আইন লঙ্ঘন করেছে তার বিবরণ ছিল।
ফাউন্ডেশনের তহবিলে ট্রাম্প ২০০৮ সাল থেকে কোনো অর্থ দেন নি। মূলত, মানুষের দেওয়া অর্থেই এই সংস্থা পরিচালিত হতো। তিনি নিজেই এই ফাউন্ডেশনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একমাত্র স্বাক্ষরকারী ছিলেন। এই চ্যারিটি অন্যান্য চ্যারিটিকে যেসব অনুদান দিয়েছে সেগুলোর অনুমোদন দিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।
অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়ের করা নথির কয়েক পৃষ্ঠাজুড়েই বর্ণিত আছে কীভাবে আইওয়া রাজ্যে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান আয়োজন করেন তখনকার প্রার্থী ট্রাম্প। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় ২৮ লাখ ডলার সংগৃহীত হয়। কিন্তু মানুষের দেওয়া সেই অর্থ ট্রাম্পের প্রচারণায় ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও এই চ্যারিটির অর্থ থেকে ট্রাম্প নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জরিমানা চুকিয়েছেন। নথিপত্রে বলা হয়, ট্রাম্পের মার-এ-লাগো রিসোর্টের বিরুদ্ধে ১ লাখ ডলারের জরিমানা, তার একটি গলফ ক্লাবের বিরুদ্ধে করা মামলা ১ লাখ ৫৮ হাজার ডলারের বিনিময়ে নি®পত্তি ও ১০ হাজার ডলারে ট্রাম্পের পেইন্টিং ক্রয় - সবই চ্যারিটির অর্থ দিয়ে করা হয়েছে।
বারবারা আন্ডারউড মূলত ট্রাম্প ও তার তিন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের বিরুদ্ধে দাতব্য সংস্থার অর্থ ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন। তবে ফাউন্ডেশনের আইনজীবীর অভিযোগ, ডেমোক্রেট-দলীয় অ্যাটর্নি জেনারেল বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আন্ডারউড বলছেন, ট্রাম্প ও তার তিন সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা চলতে থাকবে। তার মতে, এটি আইনের শাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক বিজয়। অপরদিকে ট্রাম্প ফাউন্ডেশনের আইনজীবী অ্যালান ফুতেরফাস বলছেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের বেঠিক বক্তব্য প্রমাণ করে তিনি এ ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। তবে ট্রাম্প ও তার তিন সন্তান এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি। গত জুনে ট্রাম্প অবশ্য বলেছিলেন যে, তিনি এই মামলা মীমাংসা করার চেষ্টা করবেন না। তার দাবি, তিনি ভুল কিছু করেন নি।
জুনে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে মোট ৪৮ পৃষ্ঠার নথি দাখিল করা হয়। এতে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ট্রাম্প ফাউন্ডেশন যেভাবে আইন লঙ্ঘন করেছে তার বিবরণ ছিল।
ফাউন্ডেশনের তহবিলে ট্রাম্প ২০০৮ সাল থেকে কোনো অর্থ দেন নি। মূলত, মানুষের দেওয়া অর্থেই এই সংস্থা পরিচালিত হতো। তিনি নিজেই এই ফাউন্ডেশনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একমাত্র স্বাক্ষরকারী ছিলেন। এই চ্যারিটি অন্যান্য চ্যারিটিকে যেসব অনুদান দিয়েছে সেগুলোর অনুমোদন দিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।
অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়ের করা নথির কয়েক পৃষ্ঠাজুড়েই বর্ণিত আছে কীভাবে আইওয়া রাজ্যে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান আয়োজন করেন তখনকার প্রার্থী ট্রাম্প। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় ২৮ লাখ ডলার সংগৃহীত হয়। কিন্তু মানুষের দেওয়া সেই অর্থ ট্রাম্পের প্রচারণায় ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও এই চ্যারিটির অর্থ থেকে ট্রাম্প নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জরিমানা চুকিয়েছেন। নথিপত্রে বলা হয়, ট্রাম্পের মার-এ-লাগো রিসোর্টের বিরুদ্ধে ১ লাখ ডলারের জরিমানা, তার একটি গলফ ক্লাবের বিরুদ্ধে করা মামলা ১ লাখ ৫৮ হাজার ডলারের বিনিময়ে নি®পত্তি ও ১০ হাজার ডলারে ট্রাম্পের পেইন্টিং ক্রয় - সবই চ্যারিটির অর্থ দিয়ে করা হয়েছে।