ইলেকশন কর্নার

নিরাপত্তাহীনতায় প্রচারণায় নেই সালাহউদ্দিন পত্নী

পেকুয়া-কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৮:২৩ পূর্বাহ্ন

নিরাপত্তাহীনতায় প্রচারণায় বের হতে পারছেন না কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন পত্নী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ। তিনি যেখানেই গণসংযোগ ও প্রচারণায় যাওয়ার কর্মসূচি দিচ্ছেন সেখানেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সশস্ত্র ক্যাডারদের মহড়া এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর ও হুমকি-ধমকি দিয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করায় বিগত তিনদিন ধরে ঘরে বসেই দিন পার করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনটাই দাবি করে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের পত্নী এক বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের এই অপকর্মের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বারবার লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো ধরনের সাড়া না পাওয়ায় নিজের ও কর্মীদের জীবন শঙ্কায় তিনদিন ধরে নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। তিনি নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবারো নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি এবং তিনি ও তার নেতাকর্মীদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ বিবৃতিতে বলেন, আমরা কোনো এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভা কিংবা অন্য কোনো নির্বাচনী কর্মসূচি ঘোষণা করলেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন আমরা যাওয়ার আগেই সেখানে গোলাগুলি, নেতাকর্মীদের মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করছে। বাধ্য হয়েই তাৎক্ষণিক সেই কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন) নিজেরাই গোলাগুলি, ভাঙচুর করে উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা দিচ্ছে। চকরিয়ার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ইলিশিয়ায় নিজেদের গোলাগুলি ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের শিকলঘাট এলাকায় নিজেরাই নিজেদের নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ করে উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দিয়েছে। চকরিয়া পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডে আমাদের মিছিলে হামলা চালিয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌরমেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারসহ নেতাকর্মীদের আহত করলেও সেই ঘটনায় মামলা নিয়ে আমরা থানায় গেলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। হাসিনা আহমদ বলেন, এই হলো চকরিয়া-পেকুয়ার নির্বাচনী লেভেল প্লেইং ফিল্ড! যেখানে সরকারি দলের জন্য সব মাফ! আর বিরোধী দলের প্রার্থীদের জন্য নেই কোনো নিরাপত্তা। তিনি বিবৃতিতে বলেন, আমরা চকরিয়া-পেকুয়ার নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছি। নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ধৈর্যধারণ করছেন। কিন্তু সেই ধৈর্যেরও একটা সীমা থাকে। তার মতে, সরকারি দলের এই অরাজক পরিস্থিতিতে যদি সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তখন এই নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির ওই দায় কারা নেবে? অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চারজন নির্বাচন কমিশনার, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আবারো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status