অনলাইন
প্রতিশোধ নেবে না বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১২:৫১ অপরাহ্ন
ক্ষমতায় গেলে কারো ওপরই কোনো প্রকার প্রতিশোধ নেয়া হবে না এবং একটি প্রতিহিংসামুক্ত এবং সহমর্মী বাংলাদেশ গড়ে তোলাই বিএনপির লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেকশোরে ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি একটি উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। দেশের উন্নয়নের জন্য বিএনপির কর্মসূচিগুলো বহুমুখী ও উন্নততর।
নির্বাচনে জয়লাভ করে ঐক্যের সরকার গঠন করলে ঐকমত্য, সবার অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিহিংসাহীনতা এই মূলনীতির ভিত্তিতে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনা করবে জানিয়ে বিএনপির মহসচিব বলেন, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ, সংবিধানের এই নীতির ভিত্তিতে সরকার পরিচালনায় যাবতীয় পদক্ষেপের ভিত্তি হবে রাষ্ট্রের মালিকদের মালিকানা সুদৃঢ় করা। শুধুমাত্র নির্বাচনে জেতা দলের মানুষের নয়, এই মালিকানায় সব দল, ব্যক্তি ও মতাদর্শে অন্তর্ভুক্ত হবে।
বিগত প্রায় ১০ বছরে দেশে কোনোরকম সুশাসন ও আইনের শাসন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। মামলা-হামলা, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে এক ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব। জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। দেশে আঞ্চলিক ও শ্রেণি বৈষম্য ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। দারিদ্র্য হ্রাসের হার কমে গেছে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, ব্যাংকগুলো লুট হয়ে যাচ্ছে। দেশে সৃষ্টি হয়েছে দুর্বৃত্তায়ন, দস্যুতাবৃত্তি ও লুণ্ঠনের অর্থনীতি। এরকম একটি নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতিতে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ লড়াই শুধুমাত্র নির্বাচনে জয় পরাজয়ের লড়াই নয়। এই লড়াই অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। এ লড়াই ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুক্তজীবনে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি একটি উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। দেশের উন্নয়নের জন্য বিএনপির কর্মসূচিগুলো বহুমুখী ও উন্নততর।
নির্বাচনে জয়লাভ করে ঐক্যের সরকার গঠন করলে ঐকমত্য, সবার অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিহিংসাহীনতা এই মূলনীতির ভিত্তিতে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনা করবে জানিয়ে বিএনপির মহসচিব বলেন, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ, সংবিধানের এই নীতির ভিত্তিতে সরকার পরিচালনায় যাবতীয় পদক্ষেপের ভিত্তি হবে রাষ্ট্রের মালিকদের মালিকানা সুদৃঢ় করা। শুধুমাত্র নির্বাচনে জেতা দলের মানুষের নয়, এই মালিকানায় সব দল, ব্যক্তি ও মতাদর্শে অন্তর্ভুক্ত হবে।
বিগত প্রায় ১০ বছরে দেশে কোনোরকম সুশাসন ও আইনের শাসন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। মামলা-হামলা, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে এক ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব। জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। দেশে আঞ্চলিক ও শ্রেণি বৈষম্য ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। দারিদ্র্য হ্রাসের হার কমে গেছে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, ব্যাংকগুলো লুট হয়ে যাচ্ছে। দেশে সৃষ্টি হয়েছে দুর্বৃত্তায়ন, দস্যুতাবৃত্তি ও লুণ্ঠনের অর্থনীতি। এরকম একটি নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতিতে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ লড়াই শুধুমাত্র নির্বাচনে জয় পরাজয়ের লড়াই নয়। এই লড়াই অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। এ লড়াই ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুক্তজীবনে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই।