শেষের পাতা
মুক্তির দাবি মেয়ের
মনিরুল হক চৌধুরীর অবস্থা সংকটাপন্ন
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, কুমিল্লা-১০ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি মনিরুল হক চৌধুরীকে রাজনৈতিক কারণে গায়েবি মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে সরিয়ে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। বিজয়ের মাসেও কারাগারে বন্দি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন সংকটাপন্ন একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এ অবস্থার জন্য আমরা কার কাছে বিচার চাইব। জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াগ্রামে মনিরুল হক চৌধুরীর নিজ বাড়িতে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এমন আকুতির কথা জানান মনিরুল হক চৌধুরীর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার বাবার দীর্ঘ ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেননি। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমরা আজ কী দেখছি। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহংসার শিকার হয়ে একের পর এক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় তিনি গত ২৪শে অক্টোবর থেকে কারাগারে বন্দি আছেন। নানা জটিল রোগে তার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে, যেকোনো সময় তিনি মারাও যেতে পারেন। এর বিচারটা আমরা কার কাছে চাইব, জবাব কে দেবে। তিনি বলেন, এখানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে পারছেন না, স্লোগান দিতে পারছেন না। ধানের শীষের পক্ষে যারা মাঠে নামেন তাদের নাম-ঠিকানা খুঁজে মামলায় জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের মারধরসহ হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে। নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া হয়ে পড়েছেন।
এ আসনের বিএনপি নেতা সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অপর নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়াও কারাগারে। আমিও প্রতিনিয়ত নানাভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র। এখানে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। কারাগারে আমার বাবার সঙ্গে দলীয় নেতাদের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এ সময় তিনি রাজনৈতিক অবস্থার ঊর্ধ্বে উঠে একজন মানুষ হিসেবে ন্যায়বিচার এবং অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সময়-সুযোগ ও আইনানুগ অধিকার নিশ্চিত করে অবিলম্বে তার পিতার মুক্তিসহ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান। এরই মধ্যে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সময়-সুযোগ ও আইনানুগ অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে মনিরুল হক চৌধুরী কারাগারে আমরণ অনশনের হুমকি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার জেলা রিটার্নিং অফিসার ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের নিকট চিঠি দেন। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নাজমুস সা’দাত এবং দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার বাবার দীর্ঘ ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেননি। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমরা আজ কী দেখছি। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহংসার শিকার হয়ে একের পর এক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় তিনি গত ২৪শে অক্টোবর থেকে কারাগারে বন্দি আছেন। নানা জটিল রোগে তার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে, যেকোনো সময় তিনি মারাও যেতে পারেন। এর বিচারটা আমরা কার কাছে চাইব, জবাব কে দেবে। তিনি বলেন, এখানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে পারছেন না, স্লোগান দিতে পারছেন না। ধানের শীষের পক্ষে যারা মাঠে নামেন তাদের নাম-ঠিকানা খুঁজে মামলায় জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের মারধরসহ হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে। নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া হয়ে পড়েছেন।
এ আসনের বিএনপি নেতা সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অপর নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়াও কারাগারে। আমিও প্রতিনিয়ত নানাভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র। এখানে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। কারাগারে আমার বাবার সঙ্গে দলীয় নেতাদের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এ সময় তিনি রাজনৈতিক অবস্থার ঊর্ধ্বে উঠে একজন মানুষ হিসেবে ন্যায়বিচার এবং অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সময়-সুযোগ ও আইনানুগ অধিকার নিশ্চিত করে অবিলম্বে তার পিতার মুক্তিসহ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান। এরই মধ্যে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সময়-সুযোগ ও আইনানুগ অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে মনিরুল হক চৌধুরী কারাগারে আমরণ অনশনের হুমকি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার জেলা রিটার্নিং অফিসার ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের নিকট চিঠি দেন। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নাজমুস সা’দাত এবং দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।