এক্সক্লুসিভ
ঢাকা-১৫
দৃশ্যপটে নৌকা, নীরবে সরব ধানের শীষ
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
ঢাকা-১৫ আসনে অন্যরকম লড়াইয়ে নেমেছেন নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীরা। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে নৌকা ও ধানের শীষ ছাড়াও আরো ৯ জন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তবে, মূল লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার এবং ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. শফিকুর রহমানের মধ্যে। আওয়ামী লীগ দৃশ্যপট প্রচারণায় থাকলেও থেমে নেই জামায়াতের প্রার্থী। প্রকাশ্যে আসতে না পারলেও নীরবে সরব ভোট চাচ্ছে দলটির সহস্রাধিক নেতাকর্মী।
গতকাল মিরপুর-১০সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শুধু নৌকার পোস্টার, লিফলেট, আর প্রচারণা দেখা যায়। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রতিদিন ১শ’র বেশি গাড়িতে লিফলেট ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রচারণায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে নির্বাচনী গান বাজানো হচ্ছে। এ ধরনের কোনো দৃশ্যমান প্রচারণায় নেই ধানের শীষের প্রার্থী। তবে, নীরবে ভোট চাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত নীরব থেকেই এ প্রচারণার কাজ শেষ করতে হবে এমনটা ধরেই নির্বাচনের মাঠে থাকতে চায় দলটি। নির্বাচনের দিন কেন্দ্র পাহারা দেয়াই হবে মূল প্রচারণা এমনটি জানালেন ১৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের একজন নেতা। তিনি বলেন, প্রচারণায় যারাই প্রকাশ্যে আসছে পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তার ভাষ্য, এখানে বুঝবেন না কে ভোট চাচ্ছে। ভোটের দিন সর্বশক্তি নিয়োগ করে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়া হবে বলে আভাস দিলেন দলটির নেতা।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর দাবি, পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি এ আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি। জামায়াতের প্রার্থী বিজয়ের মাসে কোন মুখে ভোট চাইবে। এ জন্য তিনি কোনো ভোটারের কাছে যাচ্ছেন না। বিভিন্ন স্থানে হামলার শিকার হচ্ছে বিএনপির প্রার্থীরা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতীক পাওয়ার পর কোনোদিন প্রচারণার চেষ্টাও করেনি তারা। তিনি বলেন, ভোট চাওয়ার অধিকার সবার আছে। আমি কাউকে বাধা দেবো না। জনগণই স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিরোধ করবে। গত ১০ বছর এলাকায় যে উন্নয়ন করেছি তাতে ভোটার আবার আমাকে নির্বাচিত করবেন এমন আশার কথা শোনান তিনি।
ভোটাররা বলছেন, এই প্রথম বিএনপির বাইরে কোনো প্রার্থী এখানে নির্বাচন করছেন। জামায়াতের প্রার্থী হলেও মার্কা যেহেতু ধানের শীষ তাই নির্বাচন হবে হাড্ডাহাড্ডি। দলের লোকজন প্রকাশ্যে প্রচারণায় না নামলেও বাসায় বাসায় ভোটারদের কাছে যাচ্ছে দলের নেতাকর্মীরা। ভোটারদের কাছে যাওয়া এবং কেন্দ্র পাহারা দেয়ার জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি করেছে দলটি। জামায়াতের দাবি, এ আসনে নীরব বিপ্লব হবে। ভোটাররা বাধাহীন ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। অন্যদিকে, প্রকাশ্যে প্রচারণায় আওয়ামী লীগের এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারের দাবি, নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। জামায়াত ও বিএনপি কর্মীরা বলেন, বিএনপি-জামায়াত প্রচারণায় নামলেই হামলা করার জন্য মহল্লা ভিত্তিক কমিটি করে দিয়েছেন এমপি। আপনি মহল্লায় মহল্লায় গেলেই দেখতে পাবেন, আওয়ামী লীগের লোকজন পাহারা দিচ্ছে। এ জন্য আমরা গণসংযোগে নামতে পারছি না। তবে, নির্বাচনী মাঠে প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী ভিন্ন কৌশলে প্রচার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা ঢাকা-১৫ আসনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে লিফলেট ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান মিরপুর জামায়াতের একজন নেতা। তিনি জানান, কেন্দ্র পাহারা বলতে যা বুঝায় ঢাকায় এ আসনে তা করে দেখানো হবে।
গতকাল মিরপুর-১০ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪, ১৩, ১৪ ও ১৬নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনে আওয়ামী লীগ, জামায়াত ছাড়াও আরো ৯ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রতীকে নির্বাচন করছেন মো. শামসুল হক। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হেমায়েতুল্লাহ (হাতপাকা), বিকল্পধারা এইচএম গোলাম রেজা (কুলা), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির আহাম্মদ সাজেদুল হক (কাস্তে), বাংলাদেশ ন্যাশানলিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) প্রার্থী এসএম ইসলাম (টেলিভিশন), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) সাইফুল ইসলাম (কাঁঠাল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির প্রার্থী মো. শামসুল আলম চৌধুরী (বাঘ), জাকের পার্টির মো. আবদুল হান্নান মিয়া (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র হিসেবে মোহাম্মদ আব্দুর রহিম (বিল্ডিং) প্রতীকে নির্বাচন করছেন। ভোটাররা বলছেন, এ আসনে জয়ের ব্যাপারে মূল ফ্যাক্টর হবে ভাসমান ভোটাররা। বেশিরভাগ ভোটার এখানে ভাড়াটিয়া। তারাই জয় পরাজয় নির্ধারণ করবেন। তবে, শেষ পর্যন্ত জামায়াতের পক্ষে বিএনপির প্রকাশ্য সমর্থন ভোটের চিত্র পাল্টে দিতে পারে।
গতকাল মিরপুর-১০সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শুধু নৌকার পোস্টার, লিফলেট, আর প্রচারণা দেখা যায়। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রতিদিন ১শ’র বেশি গাড়িতে লিফলেট ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রচারণায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে নির্বাচনী গান বাজানো হচ্ছে। এ ধরনের কোনো দৃশ্যমান প্রচারণায় নেই ধানের শীষের প্রার্থী। তবে, নীরবে ভোট চাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত নীরব থেকেই এ প্রচারণার কাজ শেষ করতে হবে এমনটা ধরেই নির্বাচনের মাঠে থাকতে চায় দলটি। নির্বাচনের দিন কেন্দ্র পাহারা দেয়াই হবে মূল প্রচারণা এমনটি জানালেন ১৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের একজন নেতা। তিনি বলেন, প্রচারণায় যারাই প্রকাশ্যে আসছে পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তার ভাষ্য, এখানে বুঝবেন না কে ভোট চাচ্ছে। ভোটের দিন সর্বশক্তি নিয়োগ করে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়া হবে বলে আভাস দিলেন দলটির নেতা।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর দাবি, পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি এ আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি। জামায়াতের প্রার্থী বিজয়ের মাসে কোন মুখে ভোট চাইবে। এ জন্য তিনি কোনো ভোটারের কাছে যাচ্ছেন না। বিভিন্ন স্থানে হামলার শিকার হচ্ছে বিএনপির প্রার্থীরা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতীক পাওয়ার পর কোনোদিন প্রচারণার চেষ্টাও করেনি তারা। তিনি বলেন, ভোট চাওয়ার অধিকার সবার আছে। আমি কাউকে বাধা দেবো না। জনগণই স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিরোধ করবে। গত ১০ বছর এলাকায় যে উন্নয়ন করেছি তাতে ভোটার আবার আমাকে নির্বাচিত করবেন এমন আশার কথা শোনান তিনি।
ভোটাররা বলছেন, এই প্রথম বিএনপির বাইরে কোনো প্রার্থী এখানে নির্বাচন করছেন। জামায়াতের প্রার্থী হলেও মার্কা যেহেতু ধানের শীষ তাই নির্বাচন হবে হাড্ডাহাড্ডি। দলের লোকজন প্রকাশ্যে প্রচারণায় না নামলেও বাসায় বাসায় ভোটারদের কাছে যাচ্ছে দলের নেতাকর্মীরা। ভোটারদের কাছে যাওয়া এবং কেন্দ্র পাহারা দেয়ার জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি করেছে দলটি। জামায়াতের দাবি, এ আসনে নীরব বিপ্লব হবে। ভোটাররা বাধাহীন ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। অন্যদিকে, প্রকাশ্যে প্রচারণায় আওয়ামী লীগের এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারের দাবি, নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। জামায়াত ও বিএনপি কর্মীরা বলেন, বিএনপি-জামায়াত প্রচারণায় নামলেই হামলা করার জন্য মহল্লা ভিত্তিক কমিটি করে দিয়েছেন এমপি। আপনি মহল্লায় মহল্লায় গেলেই দেখতে পাবেন, আওয়ামী লীগের লোকজন পাহারা দিচ্ছে। এ জন্য আমরা গণসংযোগে নামতে পারছি না। তবে, নির্বাচনী মাঠে প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী ভিন্ন কৌশলে প্রচার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা ঢাকা-১৫ আসনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে লিফলেট ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান মিরপুর জামায়াতের একজন নেতা। তিনি জানান, কেন্দ্র পাহারা বলতে যা বুঝায় ঢাকায় এ আসনে তা করে দেখানো হবে।
গতকাল মিরপুর-১০ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪, ১৩, ১৪ ও ১৬নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনে আওয়ামী লীগ, জামায়াত ছাড়াও আরো ৯ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রতীকে নির্বাচন করছেন মো. শামসুল হক। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হেমায়েতুল্লাহ (হাতপাকা), বিকল্পধারা এইচএম গোলাম রেজা (কুলা), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির আহাম্মদ সাজেদুল হক (কাস্তে), বাংলাদেশ ন্যাশানলিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) প্রার্থী এসএম ইসলাম (টেলিভিশন), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) সাইফুল ইসলাম (কাঁঠাল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির প্রার্থী মো. শামসুল আলম চৌধুরী (বাঘ), জাকের পার্টির মো. আবদুল হান্নান মিয়া (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র হিসেবে মোহাম্মদ আব্দুর রহিম (বিল্ডিং) প্রতীকে নির্বাচন করছেন। ভোটাররা বলছেন, এ আসনে জয়ের ব্যাপারে মূল ফ্যাক্টর হবে ভাসমান ভোটাররা। বেশিরভাগ ভোটার এখানে ভাড়াটিয়া। তারাই জয় পরাজয় নির্ধারণ করবেন। তবে, শেষ পর্যন্ত জামায়াতের পক্ষে বিএনপির প্রকাশ্য সমর্থন ভোটের চিত্র পাল্টে দিতে পারে।