বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনা

বিজয় দিবসে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও তাঁর সহধর্মিনী রাশিদা খানম বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ওই সংবর্ধনায় অংশ নেন। বেলা ৩টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা অবধি চলা বঙ্গভবনের সবুজ লনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস। দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পন করলে জন্মলাভ করে বাংলাদেশ। তাই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে ছুটির দিন। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পরে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও তাঁর সহধর্মিনী রাশিদা খানম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ, সংসদ সদস্যগণ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধূরী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীগণ, তিন বাহিনীর প্রধান, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট নাগরিকগণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালদ্বীপের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের ৪৩ জন সদস্যও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই সময় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবসের কেক কাটেন। তারা আহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী উভয়েই আহত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। দেশের খ্যাতিমান শিল্পী রফিকুল ইসলাম, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার, মেহেরিন ও মুনিয়া বাউলা গান পরিবেশন করেন এবং শিশু ও একটি আর্মি ব্যান্ড অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন।