দেশ বিদেশ
আগেই সেনা নামানোর দাবি বিএনপির
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এসব ঘটনায় ইসির ভূমিকা পুতুলের মতো বলে মন্তব্য করেছে দলটির নেতারা। গতকাল বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার ও আতাউর রহমান ঢালী। সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা ঐক্যফ্রন্ট, ২০দলীয় জোট ও বিএনপি প্রার্থীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকাতে এখন পর্যন্ত বিএনপির কোনো প্রার্থী প্রচারণায় নামতে পারেনি। পুলিশ যেন আমাদের প্রতিপক্ষ। তারা আমাদের মাঠে থাকতে দিচ্ছে না। ২০১৪ সালের মতো আবারো একতরফা নির্বাচন করতে চাচ্ছে সরকার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা গত শনিবার বলেছেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। সিইসির এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সেলিমা রহমান বলেন, যেখানে আমাদের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে, সেখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কী করে থাকলো? লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের সংজ্ঞা কী? সিইসি আরো বলেছেন, তৃতীয় শক্তির উত্থান হতে পারে। আমরা তো নির্বাচনের জন্য আছি।
আমাদের মাঠে থাকতে দিতে হবে। বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গেই আমরা দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু তারা না থাকায় ইসি সচিবের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সচিব আমাদের জানিয়েছেন, বিএনপির অভিযোগগুলো কমিশনের কাছে তোলা হয়, কমিশন আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়। আমরা বলেছি, পুলিশ তো কমিশনের কথা শুনছে না। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ একটা পাপেট। এই মুহূর্তে সেনাবাহিনী মাঠে নামান। বিএনপি এখনো প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি। সেনা নামানো না হলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।
বিএনপির এ নেত্রী আরো বলেন, এই নির্বাচনটা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকতে চাই। আমরা চাই না কোনো ধরনের সহিংসতা হোক। এরপর তো আর কিছু বলার নেই।
বিএনপির লিখিত অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। তাদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে সাদা পোশাকে গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং গ্রেপ্তার করছে। ভীতিকর এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ, ঢাকা-৮ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা, পটুয়াখালী-৩ আসনে গোলাম মওলা রনির স্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া হবিগঞ্জে বিএনপির ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, সাবেক এমপি ও কুমিল্লা জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আবদুল গফুর ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার, চট্টগ্রাম-৯ আসনে নগর বিএনপির সহ-সভাপতি সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কিকে গ্রেপ্তার এবং ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিএনপির ৮ নেতাকর্মীর গ্রেপ্তারের বিষয়েও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এদিকে নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তার ছেলে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব ইসিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, সোনাইমুড়ি থানার ওসি আবদুল মজিদ অস্ত্র ব্যবহার করে মাহবুব উদ্দিন খোকনকে সরাসরি হত্যাচেষ্টায় জড়িত। ওই ওসিকে দ্রুত প্রত্যাহার করে ১২ ঘণ্টার মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
আমাদের মাঠে থাকতে দিতে হবে। বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গেই আমরা দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু তারা না থাকায় ইসি সচিবের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সচিব আমাদের জানিয়েছেন, বিএনপির অভিযোগগুলো কমিশনের কাছে তোলা হয়, কমিশন আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়। আমরা বলেছি, পুলিশ তো কমিশনের কথা শুনছে না। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ একটা পাপেট। এই মুহূর্তে সেনাবাহিনী মাঠে নামান। বিএনপি এখনো প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি। সেনা নামানো না হলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।
বিএনপির এ নেত্রী আরো বলেন, এই নির্বাচনটা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকতে চাই। আমরা চাই না কোনো ধরনের সহিংসতা হোক। এরপর তো আর কিছু বলার নেই।
বিএনপির লিখিত অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। তাদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে সাদা পোশাকে গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং গ্রেপ্তার করছে। ভীতিকর এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ, ঢাকা-৮ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা, পটুয়াখালী-৩ আসনে গোলাম মওলা রনির স্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া হবিগঞ্জে বিএনপির ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, সাবেক এমপি ও কুমিল্লা জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আবদুল গফুর ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার, চট্টগ্রাম-৯ আসনে নগর বিএনপির সহ-সভাপতি সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কিকে গ্রেপ্তার এবং ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিএনপির ৮ নেতাকর্মীর গ্রেপ্তারের বিষয়েও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এদিকে নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তার ছেলে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব ইসিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, সোনাইমুড়ি থানার ওসি আবদুল মজিদ অস্ত্র ব্যবহার করে মাহবুব উদ্দিন খোকনকে সরাসরি হত্যাচেষ্টায় জড়িত। ওই ওসিকে দ্রুত প্রত্যাহার করে ১২ ঘণ্টার মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।