এক্সক্লুসিভ

মাঠে আওয়ামী লীগ, গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৮:২৫ পূর্বাহ্ন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৩০শে ডিসেম্বর। মাঠে-ময়দানে প্রচারণায় ব্যস্ত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। পোস্টার টাঙানো, লিফলেট বিতরণ চলছে পুরোদমে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। উৎসবের আমেজ নেতা-কর্মীদের ভেতর। অন্যদিকে প্রচারণার সময় শুরু হয়ে গেলেও নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে নামতে পারছে না বিএনপি। দলটির নেতা-কর্মীদের মাঝে ভর করছে গ্রেপ্তার আতঙ্ক। এরকম চিত্রই পুরো রাজবাড়ী-১ আসনের সব এলাকাতে। রাজবাড়ী ২টি আসনের চিত্র একই রকম। এখানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বর্তমান রাজবাড়ী-১ আসন এমপি কাজী কেরামত আলী। অন্যদিকে তার বিপক্ষে লড়ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অন্যতম নেতা রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। বিএনপি যেখানেই নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে যাচ্ছে সেখানেই নেতা-কর্মীদের প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী দ্বারা আক্রমণ করা হচ্ছে। কোথাও মাঠে বিএনপিকে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। সব জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে। গত ১০ই ডিসেম্বর পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে ও ১১ই ডিসেম্বর রাজবাড়ী বাজারের খলিফাপট্টি চত্বরে নির্বাচনী সভা করার কথা থাকলেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির সভাস্থলে কয়েক দফা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে নেতা-কর্মীদের মারপিট করে। দুটি স্থানেই কমপক্ষে ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। রাজবাড়ী-১ আসনের প্রায় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জাতীয় নির্বাচনী হাওয়া শুধু যেন আওয়ামী লীগের জন্যই। এসব এলাকার অলি-গলি সবত্রই শুধু নৌকার প্রচারণা। পোস্টার, ব্যানার এবং লিফলেটসহ সব ধরনের প্রচারণা চলছে এই আসনে। নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকলেও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযানে কেউ বাসায় থাকতে পারছে না। রাত হলেই নেতা-কর্মীদের বাসায় বাসায় হানা দেয় পুলিশ। ইতিমধ্যে মিথ্যা মামলায় বিএনপির জেলার শীর্ষ স্থানীয় শতাধিক নেতা-কর্মী জেলে থাকলেও নামে বে-নামে আরো কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা রয়েছে। তবে এসব প্রতিকূলতার মাঝেও নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে থাকার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন, ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির অন্যতম নেতা রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের হাইকোর্ট থেকে জামিন করালেও ছাড়া পাবার আগেই অন্য মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখিয়ে নেতা-কর্মীদের জামিনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন মামলাসহ বিভিন্ন হয়রানি ও ধরপাকড় নিয়েই বেশি আতঙ্কে রয়েছেন এ আসনটির নেতা-কর্মীরা।  ধানের শীষ প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির অন্যতম নেতা রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, দীর্ঘদিন বিএনপি ক্ষমতার বাইরে থাকায় এখানকার বর্তমান এমপি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী তার আধিপত্যকে টিকিয়ে রাখতে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের নেতা-কর্মীদের হামলা করে তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা মামলা দিয়ে জুলুম নির্যাতন চালিয়েই যাচ্ছে। বিষয়টি আমরা একাধিকবার প্রশাসনকে অবহিত করলেও এর তেমন কোনো প্রতিকার পাইনি। গায়ের জোরে ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখতে নিরীহ জনগণের ওপর জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে, আমার বিশ্বাস আগামী ৩০শে ডিসেম্বর সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমরা বিজয়ী হবো ইন্‌শাআল্লাহ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status