বাংলারজমিন
ঢাকা-১৭
পার্থ’র পক্ষে মাঠে নামবে বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবার ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে দ্রুত ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে বিএনপি। যদিও এই আসনে বিএনপি থেকেই প্রার্থী দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি কামাল জামান মোল্লা সহ কয়েকজন নেতা দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে মনোননয়ন বোর্ডে সাক্ষাতকারও দিয়েছিলেন। দল থেকে মনোনয়নের প্রাথমিক চিঠিও পেয়েছিলেন কামাল জামান মোল্লা। অবশেষে এই আসনে বিএনপি থেকে নয় বিশ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এরপরই বৃহত্তর সার্থে এবং দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন কামাল জামান মোল্লা। তিনি সবাইকে সাথে নিয়ে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ দুই যুগ ধরে গুলশান-বনানীতে আমার বসবাস। এখানকার মানুষের সাথে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। তারা আমাকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলেন। কিন্তু এবারের নির্বাচন দল আমাকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে ২০ দলের শরিক পার্থকে। দেশনায়ক তারেক রহমান ও দলের বৃহত্তর সার্থে এই সিদ্ধান্ত মেনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা শিগগিরই তার প্রচারণায় সবাইকে নিয়ে মাঠে নামবো ইনশাল্লাহ। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন বলেন, এই আসনে অন্য কোনো দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে এমন কোন সম্ভাবনা ছিল না। আসনটি পুনরুদ্ধার করতে তারা বিগত বছরগুলোতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন। এর নেতৃত্বে ছিলেন কামাল জামান মোল্লা। তাকে বাদ দেয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে মান অভিমান দূর করে জোটের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নামানোর জন্য চেষ্টা চলছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ জানান, এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কামাল জামান মোল্লা তাদের মাথার উপর ছায়ার মতো কাজ করেছেন। যে কোনো বিপদে তিনি সবার আগে এগিয়ে আসতেন। তাকে বাদ দিয়ে অন্য দলের প্রার্থী করায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন দলের নেতাকর্মীরা। তবে কামাল জামান মোল্লা ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে তাদর নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু নেতাকর্মীরা এত তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হতে পারবে কি না সন্দেহ। একই কথা জানিয়েছেন যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম মিল্টন সহ আরো কয়েকজন।