বাংলারজমিন

শিশুর হাত পায়ে সুচ ঢুকিয়ে নির্যাতন

বরগুনা প্রতিনিধি

১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন

তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামে কাজ না করায় ১০ বছরের শিশু ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউপির কলারং গ্রামের দিনমজুর মো. সাইদুল মিয়ার ছেলে হুলাটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র পারভেজ তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী মো. শহিদুল মিয়ার বাড়িতে প্রায়ই টিভি দেখতে যেত। ঘটনার দিন মঙ্গলবার দুপুরের সময় পারভেজকে বাড়ি থেকে টিভি দেখার কথা বলে ডেকে আনে শহিদুল। ডেকে আনার পর শহিদুল তার স্ত্রী নাজমা বেগম পারভেজকে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করায়। এক পর্যায়ে নাজমা ও শহিদুল পারভেজের মাথায় প্রায় ৩০/৩৫ কেজি ওজনের বয়লারের খাবারের বস্তা তুলে দেয় বাসা থেকে শহিদুলের মুরগির খামারে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
বস্তা তুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পারভেজের মাথা থেকে বস্তা পড়ে যায়। তখন শহিদুল ও নাজমা বেগম পারভেজকে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে নাজমা পারভেজের হাত ও পায়ে সুচ ঢুকিয়ে দেয়। এতে পারভেজ তাৎক্ষণিক অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ খবর পারভেজের বাড়ি পৌঁছলে বাড়ির লোকজন পারভেজকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করে।
বৃহস্পতিবার (১৩ই ডিসেম্বর) আমতলী হাসপাতাল থেকে পারভেজ জানায়, আমি বয়লারের খাবারের বস্তা নিতে না পারায় শহিদুল ও নাজমা চাচি মারধর করে হাতে পায়ে সুচ ঢুকিয়ে দেয়- এ কথা বলে হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলে।
পারভেজের পিতা সাইদুল বলেন, আমি ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করি এ খবর শুনে ঢাকা থেকে এসেছি। বিষয়টি তালতলী থানার ওসি সাহেবকেও জানানো হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিনিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ হাজরা বলেন, পারভেজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও বুকে প্রচণ্ড আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এখন অনেকটা সুস্থ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শহিদুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তো মীমাংসা হওয়ার পথে।
তালতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, মৌখিক ভাবে শুনেছি লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status