খেলা

মাইলফলকের ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী মাশরাফি

ইশতিয়াক পারভেজ, সিলেট থেকে

১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন

এক এক করে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে পেরিয়ে এসেছেন ১৮ বছর। হয়তো আগামী বছরই বিদায় বলে দিবেন ক্রিকেটকে। তবে দেশসেরা অধিনায়কই হয়ে থাকবেন মাশরাফি বিন মুতর্জা। ইনজুরির সঙ্গে একের পর এক লড়াইয়ে ছিল দলে আসা যাওয়া। তবে হার মানেননি, থেমেও যাননি। ২০০৯-এ অধিনায়ক হয়ে নতুন পথ চলা শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই বছরই ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েন টেস্ট দল থেকে। পরের বছরটা নেতৃত্ব দিয়েছেন শুধু ওয়ানডেতে। আবারও ছিটকে পড়েন। সেখান থেকে ফিরে আসেন চার বছর পর। আর থেমে থাকেননি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৬৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সমান ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামলে মাশরাফি ছাড়িয়ে যাবেন তাকেও। তবে এমন ম্যাচে মাশরাফির সামনে ভীষণ চ্যালেঞ্জ। হারলে সিরিজ খোয়াবেন। তার ওপর সিলেট আন্তর্জাতিক মাঠের ওয়ানডে অভিষেক বলে কথা। ১-১ সমতায় লড়াই যেন এখন- বাঁচ নয় মর। তবে নিজের মাইলফলকের ম্যাচে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী টাইগার অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘দেখেন এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও এমন হয়েছিল। কিন্তু আমরা পরের ম্যাচে আরো ভালোভাবে জিতেছি। আমরা একটি ম্যাচ হেরেছি বলে এমন নয় যে শেষ হয়ে গেছি। আমি ঢাকা থেকেই বলে এসেছি। সিলেটে কম খেলেছি তাতে কি! আমাদের ঘরের মাঠ, এমন নয় যে আবহাওয়া বদলে গেছে। আশা করি আগের ম্যাচের ভুলগুলো না করলে জিততে পারবো।’  
 দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে নামবেন মাশরাফি। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ে যেন হারিয়েই গিয়েছিলেন। এরপর ২০১৪ তে ফিরে এসে দলের হাল ধরেন। এমন মাইলফলকের ম্যাচে ভীষণ গর্বিতও মাশরাফি। শুধু টাইগার অধিনায়কই নয় তার পরিবারও দারুণ গর্বিত। বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের হয়ে দীর্ঘসময় অধিনায়কত্ব করতে পেরেছি। এটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুব গর্বের। কাল যদি মাঠে নামতে পারি, ওয়ানডে সংস্করণে সবথেকে বেশি ম্যাচ অধিনায়কত্ব করার সুযোগ হবে। অবশ্যই এটা দারুণ অনুভূতি। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশ দলের ১১ জন বা ১৫ জনের একজন হয়ে থাকা। বাংলাদেশ দলের একজন সদস্য হয়ে থাকাও কিন্তু বিরাট গর্বের ব্যাপার।’
তবে তার শুরুর সঙ্গে বর্তমান অভিজ্ঞতা একেবারেই ভিন্ন। এখন তিনি অনেক পরিপক্ব। নিজের নেতৃত্বের সময়টা তুলনা করে মাশরাফি বলেন, ‘অধিনায়কত্ব আমার ইস্যুতে ছিল না। আমার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলা। তবে প্রথমবার (২০০৯ সাল) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যখন অধিনায়কত্ব পাই, তখন অনেক আশা ছিল। টেস্ট ক্রিকেটে তখন পুরোপুরি ছন্দে ছিলাম। ২০০৮ সালে টেস্টে খুব ভালো ফর্মেও ছিলাম। তখন অনেক আশা ছিল। ২০১৪ সালে যখন আবার দায়িত্ব পাই, তখন নিজেকে নিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা করা বা খেলোয়াড় হিসেবে নিজে কোনো কিছু সেট করতাম না। চলতে থাকুক যতদিন চলতে থাকে। এভাবেই চিন্তা করেছি। এভাবে করতে করতে প্রায় চার বছর হতে যাচ্ছে।’
আজ ক্যারিবীয়দের ম্যাচে জয় চান টাইগার অধিনায়ক। তবে মাইলফলকের ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে নয় নিজেদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাসের পাল্লা ভারি করতে চান তিনি। মাশরাফি বলেন, ‘অবশ্যই এ ম্যাচটা জিততে পারলে পরবর্তী সিরিজে আত্মবিশ্বাস ভালো থাকবে। টি-টোয়েন্টি হবে যে সিরিজটি সেটাতে অনেক সাহায্য করবে। পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড সফর আছে। যদিও ফরম্যাট আলাদা থাকবে। স্পোর্টসে যেটা হয় আসলে, আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় আপনি উইনিং বা লুজিং সাইড সেটার ওপর। তাই আত্মবিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ সেই সঙ্গে বছরটাও রাঙিয়ে নিতে চান জয়ের রংয়ে। তিনি বলেন, ‘জয় দিয়ে শেষ করতে পারলে ভালো হবে। প্রথম ম্যাচের পর বলেছিলাম যে, এ বছরের জয়ের পার্সেনটেজ বেশ ভালো। জয় দিয়ে শেষ করতে পারলে খুব ভালো হবে। পাশাপাশি খুব বড় একটা টুর্নামেন্ট জেতার সুযোগ ছিল। বছরের শুরুতেও একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ হেরেছি। এ ছাড়া সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় ওয়ানডে ফরম্যাট বেশ ভালো গিয়েছে। শেষটায়ও উইনিং সাইডে থাকতে পারলে ভালো হবে।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status