শেষের পাতা
মুক্তাদিরের অভিযোগে সাড়া দিচ্ছে না প্রশাসন
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
বিএনপির কোনো নেতাকর্মী বাড়ি-ঘরে ঘুমাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন সিলেট-১ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। গণসংযোগ থেকে পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে। আর গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। এসব বিষয় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানালেও কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তার। গতকাল নির্বাচনী প্রচারণা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
বলেন, সোমবার রাতে শহরতলীর শাহপরান এলাকা থেকে তার দলের এক নেতাকে গণসংযোগকালে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। রাতে বহু নেতাকর্মীর বাসা-বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানের কারণে কেউ বাড়িতে ঘুমাতে পারছেন না। সিনিয়র-জুনিয়র কোনো নেতাকেই পুলিশ বাদ দিচ্ছে না। প্রশাসনের এমন আচরণে হতবাকও তিনি। খন্দকার মুক্তাদির গতকাল সকালে সিলেট নগরীর সুবহানীঘাটের কাঁচাবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপি নেতারা ছাড়াও কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে মুক্তাদির জানিয়েছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিলেটবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন নি। গত ১০ বছর ধরে সিলেট সদর ও মহানগরী উন্নয়ন বঞ্চিত। তিনি বলেন, বিএনপি শাসনামলে এ আসনের সংসদ সদস্য এম সাইফুর রহমান যেসব উন্নয়নের ধারা সূচনা করেছিলেন সে ধারা অব্যাহত থাকলে সিলেট অনেক এগিয়ে যেত। পাল্টে যেত সিলেটের চেহারা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও গত ১০ বছর এ আসনের এমপি সিলেটের উন্নয়নের ব্যাপারে ছিলেন উদাসীন। তিনি বলেন, সিলেটের তেল ও গ্যাস দিয়ে সারা দেশের শিল্প কারখানা সচল থাকলেও সিলেটের মানুষ গ্যাস সংযোগ পাচ্ছেন না দীর্ঘদিন। ফলে, সিলেটের বিকাশমান আবাসন শিল্প খাত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রবাসীরা নতুন বাসা করতে পারছেন না। এমনকি, বিসিক শিল্প এলাকাগুলোতে গ্যাস সংযোগ না দেয়ায় শিল্প কারখানা মালিকরা সিলেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সিলেটে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা থাকলেও শুধুমাত্র সরকারের ব্যর্থতার কারণেই বার বার সিলেটের শিল্প ও বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে সিলেটে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের কোনো সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। সিলেটের স্থানীয় অর্থনীতি দাঁড়াতে পারেনি কোনো মজবুত ভিত্তির ওপর। হচ্ছে না সিলেটের কৃষি জমির সুষ্ঠু ব্যবহার। দলের মধ্যে কোন্দল নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুক্তাদির বলেন, আমাদের দলের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই। দলের প্রার্থিতা চাওয়া একটি সাধারণ ব্যাপার। একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন চাইবেন, পাবেন একজন। এখানে একজনের ব্যক্তিগত পছন্দের প্রার্থী থাকতেই পারেন। কিন্তু, দল থেকে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। সিলেটের সর্বশেষ দুটি সিটি নির্বাচনেই প্রমাণ হয়েছে দলের প্রার্থীর জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা কি করতে পারেন। তিনি বলেন, সিলেট-১ আসনের নির্বাচনী প্রচারণায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপির সব নেতাকর্মী তাদের সর্বস্ব দিয়ে নামবেন। মুক্তাদির বলেন, আগামী ৩০শে ডিসেম্বর দেশের ইতিহাসের গতিপথ নির্ধারণের দিন। এদিন সিলেটের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে ধানের শীষ বিপুল ভোটে জয়ী হবে। আর, ধানের শীষ বিজয়ী হলে সিলেটের বিভিন্ন খাতে চলমান স্থবিরতা কাটিয়ে কার্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সিলেটকে এগিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত সাদেক, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ফয়জুর রহমান, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম আলোসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বলেন, সোমবার রাতে শহরতলীর শাহপরান এলাকা থেকে তার দলের এক নেতাকে গণসংযোগকালে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। রাতে বহু নেতাকর্মীর বাসা-বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানের কারণে কেউ বাড়িতে ঘুমাতে পারছেন না। সিনিয়র-জুনিয়র কোনো নেতাকেই পুলিশ বাদ দিচ্ছে না। প্রশাসনের এমন আচরণে হতবাকও তিনি। খন্দকার মুক্তাদির গতকাল সকালে সিলেট নগরীর সুবহানীঘাটের কাঁচাবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপি নেতারা ছাড়াও কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে মুক্তাদির জানিয়েছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিলেটবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন নি। গত ১০ বছর ধরে সিলেট সদর ও মহানগরী উন্নয়ন বঞ্চিত। তিনি বলেন, বিএনপি শাসনামলে এ আসনের সংসদ সদস্য এম সাইফুর রহমান যেসব উন্নয়নের ধারা সূচনা করেছিলেন সে ধারা অব্যাহত থাকলে সিলেট অনেক এগিয়ে যেত। পাল্টে যেত সিলেটের চেহারা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও গত ১০ বছর এ আসনের এমপি সিলেটের উন্নয়নের ব্যাপারে ছিলেন উদাসীন। তিনি বলেন, সিলেটের তেল ও গ্যাস দিয়ে সারা দেশের শিল্প কারখানা সচল থাকলেও সিলেটের মানুষ গ্যাস সংযোগ পাচ্ছেন না দীর্ঘদিন। ফলে, সিলেটের বিকাশমান আবাসন শিল্প খাত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রবাসীরা নতুন বাসা করতে পারছেন না। এমনকি, বিসিক শিল্প এলাকাগুলোতে গ্যাস সংযোগ না দেয়ায় শিল্প কারখানা মালিকরা সিলেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সিলেটে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা থাকলেও শুধুমাত্র সরকারের ব্যর্থতার কারণেই বার বার সিলেটের শিল্প ও বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে সিলেটে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের কোনো সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। সিলেটের স্থানীয় অর্থনীতি দাঁড়াতে পারেনি কোনো মজবুত ভিত্তির ওপর। হচ্ছে না সিলেটের কৃষি জমির সুষ্ঠু ব্যবহার। দলের মধ্যে কোন্দল নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুক্তাদির বলেন, আমাদের দলের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই। দলের প্রার্থিতা চাওয়া একটি সাধারণ ব্যাপার। একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন চাইবেন, পাবেন একজন। এখানে একজনের ব্যক্তিগত পছন্দের প্রার্থী থাকতেই পারেন। কিন্তু, দল থেকে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। সিলেটের সর্বশেষ দুটি সিটি নির্বাচনেই প্রমাণ হয়েছে দলের প্রার্থীর জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা কি করতে পারেন। তিনি বলেন, সিলেট-১ আসনের নির্বাচনী প্রচারণায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপির সব নেতাকর্মী তাদের সর্বস্ব দিয়ে নামবেন। মুক্তাদির বলেন, আগামী ৩০শে ডিসেম্বর দেশের ইতিহাসের গতিপথ নির্ধারণের দিন। এদিন সিলেটের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে ধানের শীষ বিপুল ভোটে জয়ী হবে। আর, ধানের শীষ বিজয়ী হলে সিলেটের বিভিন্ন খাতে চলমান স্থবিরতা কাটিয়ে কার্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সিলেটকে এগিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত সাদেক, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ফয়জুর রহমান, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম আলোসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।