দেশ বিদেশ
আশুলিয়ায় ২০ কারখানা বন্ধ ঘোষণা উস্কানির অভিযোগে আটক ৪
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
মজুরি বৈষম্যের অভিযোগ তুলে টানা তৃতীয় দিনের মতো সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানায় বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দাবি আদায়ে বিভিন্ন কারখানায় ভাঙচুর চালালে প্রায় ২০টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া শ্রমিক বিক্ষোভে উস্কানির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ঝুট ব্যবসায়ীসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আশুলিয়ার জিরাবো ও কাঠগড়া এলাকার বিভিন্ন কারখানার সামনে এ বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। শিল্প পুলিশ, শ্রমিক কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে জিরাবো ও কাঠগড়া এলাকার বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্যের অভিযোগ তুলে কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বেশ কিছু কারখানায় ভাঙচুর করলে পুলিশ বাধা প্রদান করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ভাঙচুর এড়াতে শিল্প এলাকার প্রায় ২০টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কাঠগড়া এলাকার পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানার ম্যানেজার (অ্যাডমিন) গাজী শফিকুর রহমান জানান, বিজিএমই’র আওতাভুক্ত না হলেও তাদের কারখানায় শ্রমিকদের সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। আর তাই তাদের কারখানার শ্রমিকরা গতকালও সকালে কাজে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা সকালে তাদের কারখানার সামনে জড়ো হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় কারখানার প্রধান ফটকেও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিক্ষোভের ঘটনায় উস্কানির অভিযোগে এক ঝুট ব্যবসায়ীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে আটকদের মধ্যে জামগড়া এলাকার দিব্ব ফ্যাশন নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবেল আহমদের পরিচয় জানালেও বাকিদের বিস্তারিত জানাতে পারেননি। উল্লেখ্য, রোববার সকালে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার মেট্রো নিটিং লিমিটেড কারখানা থেকে শ্রমিক বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। এদিন পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে রোবাবার দুপুরে একই ঘটনায় বিশমাইল-জিরাবো সড়কে বিক্ষোভ করে প্রায় ১৭টি কারখানার শ্রমিক। এ সময় তারা বেশ কিছু কারখানায় ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।