নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে নাসের রহমান

 মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র এম নাসের রহমান ঐক্যবদ্ধ বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন। দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর গতকাল সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মৌলভীবাজার শহরের বড় হাট এলাকা থেকে তিনি এই গণসংযোগে নামেন। এরপর কুসমবাগ পয়েন্ট হয়ে চৌমুহনা পয়েন্ট, টিসি মার্কেট, চাঁদনীঘাট ব্রিজের দক্ষিণপাড়, শমসের নগর রোড, কোর্ট রোড, গভর্মেন্ট স্কুল পয়েন্ট, এম সাইফুর রহমান রোডসহ বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে ধানের শীষের পোস্টার বিতরণ করেন। এসময় তার সাথে সাবেক এমপি বেগম খালেদা রব্বানী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান মিজান, জেলা সহ-সভাপতি এমএ মুকিত, সহ-সভাপতি আশিক মোশারফ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মো. হেলু মিয়া, পৌর বিএনপির সম্পাদক মনোয়ার আহমদ রহমান, জেলা যুবদলের সম্পাদক এমএ মুহিত, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল আহমেদ, সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহানসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল, জাসাসসহ অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে গণসংযোগে যোগ দেন। গণসংযোগকালে ধানের শীষের সমর্থনে নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন স্লোগানে এসব এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।

এ সময় তিনি তার পিতা এম সাইফুর রহমানের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে সাধারণ মানুষসহ সবার কাছে ধানের শীষে ভোট চান এবং লিফলেট বিতরণ করেন। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ। আমাদের দলের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ধানের শীষে ভোট দিলে মানুষ কথার বলার ও ভোটের অধিকার ফিরে পাবে। বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি আরো বলেন, এম সাইফুর রহমান ও নাসের রহমান এই মৌলভীবাজার ও রাজনগরে ব্যাপক উন্নয়নকাজ করেন। প্রয়াত সাইফুর রহমান ও এম নাছের রহমান হলেন আধুনিক মৌলভীবাজারের উন্নয়নের রূপকার। ভিপি মিজান বলেন, নির্বাচনে এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। আমার দলের ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীরা বাসাবাড়িতে থাকতে পারছেন না। অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে এসব বন্ধের নির্দেশ দিতে হবে।