খেলা

পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

১০ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন

প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অপ্রত্যাশিত হার নিয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছিল সোহান-মোসাদ্দেকদের। তবে, শক্তিধর পাকিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কাটলো বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। গতকাল এসিসি ইমার্জিং টিমস কাপ আসরে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে দাপুটে নৈপুণ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৪ রানের জয় দেখে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটে-বলে চৌকস নৈপুণ্য দেখালেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আগের ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির সঙ্গে বল হাতে দুই উইকেট নেন মোসাদ্দেক। করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং শেষে তিন অর্ধশতকে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের সংগ্রহ পৌঁছে ৩০৯/৫-এ। সর্বোচ্চ ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন। ওপেনার জাকির হাসান ৬৯ ও ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে ইয়াসির আলী করেন ৫৬ রান। জবাবে ৪৬.৫তম ওভারে ২২৫ রানে গুঁড়িয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। বাংলাদেশের বল হাতে ১০ ওভারের স্পেলে মাত্র ৩৬ রানে তিনউইকেট নেন সদ্য টেস্ট অভিষেক হওয়া অফস্পিনার নাঈম হাসান। মোসাদ্দেক হোসেন নেন দুই উইকেট।
আসরে টানা দুই ম্যাচে দাপুটে জয় নিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দেয় পাকিস্তান। এতে ভালো নিট রান গড় নিয়ে সেমিফাইনালের টিকিটও অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিকদের। দুই ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি হাঁকান পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। তবে, বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের জন্য সমীকরণটা ছিল কঠিন। পাকিস্তানের বিপক্ষে কেবল জয় পেলেই হতো না, বড় ব্যবধানে জয় দরকার ছিল সোহানদের। আসরে দুই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছিল আরব আমিরাতও। গতকাল গ্রুপের শেষ ম্যাচে খেলতে নামার আগে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলকে নিট রান গড়ে বড় ব্যবধানে পেছনে রেখেছিল আমিরাতিরা। তবে, করাচির সাউদেন্ড ক্লাব ক্রিকেট মাঠে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় হংকং-আরব আমিরাতের ম্যাচটি।
গতকাল করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ওপেনিংয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন মিজানুর রহমান ও জাকির হাসান। আর দ্বিতীয় উইকেটে জাকির ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৯৮ রানের জুটিতে বড় পুঁজির ভিত পায় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ১ রানের জন্য অর্ধশতক হাতছাড়া করেন শান্ত। অল্প ব্যবধানে আফিফ হোসেনের বিদায়ে ৩১.৩তম ওভার শেষে ১৬১/৪ সংগ্রহ নিয়ে চাপে পড়ে সোহান বাহিনী। এবার ইনিংস সামাল দেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মোসাদ্দেক হোসেন ও ইয়াসির আলী। পঞ্চম উইকেটে তারা গড়েন ৯৬ বলে ১২৬ রানের জুটি। ৭৪ বলে ৮৫ রানের হার না মানা ইনিংসে মোসাদ্দেক হাঁকান তিনটি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা। আর ইয়াসির আলীর ৪৬ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও দুটি ছয়ের মার।
আর ৩০৯ রানের পুঁজি নিয়ে ইনিংসের শুরু থেকেই স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখে সোহান বাহিনী। ১৪ রানে প্রথম ও দলীয় ২৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। তৃতীয় উইকেটে ৮৮ রানের জুটিতে প্রতিরোধ দেখায় স্বাগতিকরা। এতে ২১.৫তম ওভার শেষে পাকিস্তান ইমার্জিং দলের সংগ্রহ পৌঁছে ১১১/২-এ। তবে, পরের মাত্র ৩১ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগাম টানে বাংলাদেশ যুবারা। সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন পাকিস্তানের সাত নম্বর ব্যাটসম্যান খুশদিল শাহ। জাতীয় দলের বাইরে থাকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ও পাকিস্তান ইমার্জিং দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান করেন ৪৬ রান।
এসিসি ইমার্জিং কাপে অংশ নিচ্ছে এশিয়ার ক্রিকেট খেলুড়ে আট দেশের অনূর্ধ্ব-২৩ দল। তবে, প্রত্যেক দলে ২৩-ঊর্ধ্ব বয়সী পাঁচজন খেলোয়াড় সুযোগ পাচ্ছে। আগামী ১৩ই ডিসেম্বর কলম্বো ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও একই নগরীর রণসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে হবে দুটি সেমিফাইনাল। কলম্বোর প্রোমাদাসা স্টেডিয়ামে ফাইনাল আগামী ১৫ই ডিসেম্বর। আসরের ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা, ভারত, ওমান ও আফগানিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: বাংলাদেশ ইমার্জিং দল, ব্যাটিং
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল: ৫০ ওভার ৩০৯/৫ (মিজানুর ২৫, জাকির ৬৯, শান্ত ৪৯, মোসাদ্দেক ৮৫*, আফিফ ৬, ইয়াসির ৫৬, সোহান ৮*, খুশদিল ৩/৪৮, মুসা ২/৫৫)।
পাকিস্তান ইমার্জিং দল: ৪৬.৫ ওভার ২২৫ (খুশদিল ৬১, জিশান মালিক ৪৭,  রিজওয়ান ৪৬, নাঈম ৩/৩৬, মোসাদ্দেক ২/৩২, শফিউল ২/৪১, শরিফুল ১/৪৪, তানভীর ১/২৭, আফিফ ১/৪১)।
ফল: বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৮৪ রানে জয়ী
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status