বাংলারজমিন
গাজীপুরে ২ খুন
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ও কালীগঞ্জ প্রতিনিধি
১০ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
গাজীপুরের কালীগঞ্জ ও কালিয়াকৈরে ছেলের হাতে পিতা ও শ্যালকের হাতে ভগ্নিপতি খুন হয়েছেন। পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানায়, কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর সোম গ্রামের রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী হাই মিয়া (৫৭)কে তার ছেলে হৃদয় (১৭) রোববার ভোরে ছুরিকাঘাত ও ওজন মাপার পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। মানসিক ভারসাম্যহীন হৃদয়কে রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হবে, এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে সে তার পিতাকে খুন করেছে।
তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হৃদয় গত বছর কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়। এর পর থেকেই সে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল বলে তার পরিবারের লোকজন জানায়।
ঘাতক হৃদয় জানায়, রোববার ভোরে স্বপ্নে দেখতে পায় যে, তার আত্মা বদল হয়ে বাবার শরীরে প্রবেশ করেছে এবং বাবার আত্মা তার শরীরে প্রবেশ করেছে। সে নিজেকে বাবার মত বৃদ্ধ আর বাবাকে যুবক দেখাচ্ছে। তখন সে সিদ্ধান্ত নেয় যে, বাবাকে আর বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। বিষয়টি চিন্তা করে একটি ছুরি দিয়ে প্রথমে বাবার বাম বুকে ও তলপেটে ছুরিকাঘাত করে। নিজেকে বাঁচাতে হৃদয়ের বাবা হাতের কাছে থাকা ৫ কেজি ওজনের পাথর দিয়ে ছেলের মাথায় আঘাত করে। পরে হৃদয় ওই পাথর কুড়িয়ে তার বাবার মাথায় মেরে থেঁতলিয়ে দিলে বাবা আবদুল হাই ঘটনাস্থলেই মারা যান। হৃদয়ের মা এবং বড় ভাই নিলয় স্থানীয়দের সহযোগিতায় দ্রুত আবদুল হাইকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে শ্যালক সজিব হোসেন তার ভগ্নিপতির কাছে টাকা চেয়ে না পাওয়ার জের ধরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আব্দুর রহিমকে মারধর করে শনিবার সন্ধ্যায়। পরে আহত রহিমকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান। স্থানীয়রা জানায়, সজিব ছিল মাদকাসক্ত। আর নেশার জন্য টাকা চাইলে তার ভগ্নিপতি টাকা দিতে অস্বীকার করে। নিহতের খবর পেয়ে রোববার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করাতে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, সজিব ছিল মাদকাসক্ত। টাকা না দেয়ার ঝগড়ার একপর্যায়ে সজিব তার দুলাভাই রহিম মিয়াকে একতারা দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে ও গলায় হাত দিয়ে চেপে ধরে। ঘটনার পর থেকে সজিব পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় নিহতের ভাই জব্বার মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হৃদয় গত বছর কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়। এর পর থেকেই সে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল বলে তার পরিবারের লোকজন জানায়।
ঘাতক হৃদয় জানায়, রোববার ভোরে স্বপ্নে দেখতে পায় যে, তার আত্মা বদল হয়ে বাবার শরীরে প্রবেশ করেছে এবং বাবার আত্মা তার শরীরে প্রবেশ করেছে। সে নিজেকে বাবার মত বৃদ্ধ আর বাবাকে যুবক দেখাচ্ছে। তখন সে সিদ্ধান্ত নেয় যে, বাবাকে আর বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। বিষয়টি চিন্তা করে একটি ছুরি দিয়ে প্রথমে বাবার বাম বুকে ও তলপেটে ছুরিকাঘাত করে। নিজেকে বাঁচাতে হৃদয়ের বাবা হাতের কাছে থাকা ৫ কেজি ওজনের পাথর দিয়ে ছেলের মাথায় আঘাত করে। পরে হৃদয় ওই পাথর কুড়িয়ে তার বাবার মাথায় মেরে থেঁতলিয়ে দিলে বাবা আবদুল হাই ঘটনাস্থলেই মারা যান। হৃদয়ের মা এবং বড় ভাই নিলয় স্থানীয়দের সহযোগিতায় দ্রুত আবদুল হাইকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে শ্যালক সজিব হোসেন তার ভগ্নিপতির কাছে টাকা চেয়ে না পাওয়ার জের ধরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আব্দুর রহিমকে মারধর করে শনিবার সন্ধ্যায়। পরে আহত রহিমকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান। স্থানীয়রা জানায়, সজিব ছিল মাদকাসক্ত। আর নেশার জন্য টাকা চাইলে তার ভগ্নিপতি টাকা দিতে অস্বীকার করে। নিহতের খবর পেয়ে রোববার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করাতে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, সজিব ছিল মাদকাসক্ত। টাকা না দেয়ার ঝগড়ার একপর্যায়ে সজিব তার দুলাভাই রহিম মিয়াকে একতারা দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে ও গলায় হাত দিয়ে চেপে ধরে। ঘটনার পর থেকে সজিব পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় নিহতের ভাই জব্বার মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন।