খেলা
৬ রানের জন্য জয় হাতছাড়া পূর্বাঞ্চলের
স্পোর্টস ডেস্ক
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
৩২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের এতো কাছে এসেও হতাশা সঙ্গী হলো ইস্ট জোনের। বৃথাই গেল মাহমুদুল হাসানের ক্যারিয়ার সেরা ১৩৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। গতকাল বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে ম্যাচ ড্রয়ের আগে ইস্ট জোনের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২০/৭। বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) এবারের আসরে প্রথম জয়ের সুযোগ ছিল পূর্বাঞ্চলের। আর প্রথম হারের মুখ থেকে রক্ষা পায় মধ্যাঞ্চল। চট্টগ্রামে সাউথ জোন ও নর্থ জোনের মধ্যকার তৃতীয় রাউন্ডের অপর ম্যাচটিও ড্র হয়। গতকাল চতুর্থ ও শেষ দিনে ৭১/২ সংগ্রহ নিয়ে ব্যাটিং শুরু করে ইস্ট জোন। বিসিএলের এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচেই অর্ধশতক পান বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নেয়া মোহাম্মদ আশরাফুল (৬৪)। ম্যাচ সেরা মাহমুদুল হাসান ও আশরাফুলের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১০৩ রান। দলীয় ১২৮ রানে আশরাফুলের বিদায়ে তাসামুল হককে (৩৬) নিয়ে ১১২ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল। ২৪০/৩ সংগ্রহ নিয়ে চা বিরতিতে যায় ইস্ট জোন। শেষ সেশনে দরকার ৮৬ রান। দলীয় ২৮৪ রানে আউট হন মাহমুদুল হাসান। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি। তিন উইকেট পান প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া পেসার শহীদুল ইসলাম। লো-স্কোরিং প্রথম ইনিংসের পর দুইদলই দ্বিতীয় ইনিংসে তিনশ’ ছাড়ানো সংগ্রহ পায়। প্রথম ইনিংসে ফরহাদ রেজার ৭ উইকেটের নৈপুণ্যে ১১৮ রানে অলআউট হয় সেন্ট্রাল জোন। আর শহীদুল-শাহাদাতদের পেস তোপে ১৮৬ রানে থামে ইস্ট জোনের প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে পিনাক ঘোষ, আব্দুল মজিদ, মার্শাল আইয়ুব, তাইবুর রহমান ও শহীদুলের অপরাজিত ফিফটিতে ৩৯৩ রান করে সেন্ট্রাল জোন।
রাজ্জাকের ৬ উইকেট
চট্টগ্রামের জহুল আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিষ্প্রাণ ড্রয়ে আলো ছড়ান সাউথ জোন অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৩৬তম বার পাঁচ উইকেটের নৈপুণ্য দেখান এই অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার। নর্থ জোনের দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে সাউথ জোনের সংগ্রহ ২৪৮/৫ হওয়ার পর ম্যাচ ড্র হয়। অর্ধশতক করেন এনামুল হক বিজয় (৬৬), মেহেদী হাসান (৬০*) ও আল আমিন (৭৫*)। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চলের ৩২৯ রানের জবাবে ৩৯৪ রান করে উত্তরাঞ্চল। গতকাল ৩৮২/৭ সংগ্রহ নিয়ে নামা নর্থ জোনের শেষ তিন উইকেট নেন রাজ্জাক। ৫৫.১ ওভারে ১২৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন নর্থ জোনের সানজামুল ইসলাম। ম্যাচ সেরা হন একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান নর্থ জোনের জুনায়েদ সিদ্দিক (১১২)। তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরি মিস করেন উত্তরাঞ্চলের নাঈম ইসলাম (৮৩) ও জিয়াউর রহমান (৯০)। রাজশাহীতে আগামী ১১ই ডিসেম্বর চতুর্থ রাউন্ডে মুখোমুখি হবে নর্থ জোন ও ইস্ট জোন। চট্টগ্রামে সাউথ জোনের বিপক্ষে নামবে সেন্ট্রাল জোন। তিন ম্যাচে ১ জয় ও ২ ড্রয়ে ১৬.৮২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সেন্ট্রাল জোন। নর্থ ও ইস্ট জোন তিন ম্যাচেই ড্র করে। ২ ড্র ও ১ ম্যাচে হার দেখে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সাউথ জোন। তিন দলের পয়েন্ট যথাক্রমে ১১.৪৯, ১১.৪৪, ৬.৪৫।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ (বিসিএল)
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সেন্ট্রাল জোন-ইস্ট জোন
টস: ইস্ট জোন (ফিল্ডিং)
সেন্ট্রাল জোন: ১১৮ ও ৩৯৩
ইস্ট জোন: ১৮৬ ও ৩২০/৭
ফল: ড্র
ম্যাচসেরা: মাহমুদুল হাসান
সাউথ জোন-নর্থ জোন
নর্থ জোন (ফিল্ডিং)
সাউথ জোন: ৩২৯ ও ২৪৮/৫
নর্থ জোন: ৩৯৪, ফল: ড্র
ম্যাচসেরা: জুনায়েদ সিদ্দিক
রাজ্জাকের ৬ উইকেট
চট্টগ্রামের জহুল আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিষ্প্রাণ ড্রয়ে আলো ছড়ান সাউথ জোন অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৩৬তম বার পাঁচ উইকেটের নৈপুণ্য দেখান এই অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার। নর্থ জোনের দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে সাউথ জোনের সংগ্রহ ২৪৮/৫ হওয়ার পর ম্যাচ ড্র হয়। অর্ধশতক করেন এনামুল হক বিজয় (৬৬), মেহেদী হাসান (৬০*) ও আল আমিন (৭৫*)। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চলের ৩২৯ রানের জবাবে ৩৯৪ রান করে উত্তরাঞ্চল। গতকাল ৩৮২/৭ সংগ্রহ নিয়ে নামা নর্থ জোনের শেষ তিন উইকেট নেন রাজ্জাক। ৫৫.১ ওভারে ১২৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন নর্থ জোনের সানজামুল ইসলাম। ম্যাচ সেরা হন একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান নর্থ জোনের জুনায়েদ সিদ্দিক (১১২)। তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরি মিস করেন উত্তরাঞ্চলের নাঈম ইসলাম (৮৩) ও জিয়াউর রহমান (৯০)। রাজশাহীতে আগামী ১১ই ডিসেম্বর চতুর্থ রাউন্ডে মুখোমুখি হবে নর্থ জোন ও ইস্ট জোন। চট্টগ্রামে সাউথ জোনের বিপক্ষে নামবে সেন্ট্রাল জোন। তিন ম্যাচে ১ জয় ও ২ ড্রয়ে ১৬.৮২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সেন্ট্রাল জোন। নর্থ ও ইস্ট জোন তিন ম্যাচেই ড্র করে। ২ ড্র ও ১ ম্যাচে হার দেখে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সাউথ জোন। তিন দলের পয়েন্ট যথাক্রমে ১১.৪৯, ১১.৪৪, ৬.৪৫।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ (বিসিএল)
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সেন্ট্রাল জোন-ইস্ট জোন
টস: ইস্ট জোন (ফিল্ডিং)
সেন্ট্রাল জোন: ১১৮ ও ৩৯৩
ইস্ট জোন: ১৮৬ ও ৩২০/৭
ফল: ড্র
ম্যাচসেরা: মাহমুদুল হাসান
সাউথ জোন-নর্থ জোন
নর্থ জোন (ফিল্ডিং)
সাউথ জোন: ৩২৯ ও ২৪৮/৫
নর্থ জোন: ৩৯৪, ফল: ড্র
ম্যাচসেরা: জুনায়েদ সিদ্দিক