এক্সক্লুসিভ
সালাম বললেন, সবাই মনোনয়ন পায় না-
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
শেষ মুহূর্তে এসে মনোনয়ন বঞ্চিত হলেন সিলেট-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মো. আবদুস সালাম। সিলেট-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তিনি। কিন্তু এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরীকে। শুধু ব্যারিস্টার সালামই নয়, এ আসনে মনোনয়ন পাননি প্রবীণ বিএনপি নেতা এমএ হক, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি এমএ কাইয়ুম চৌধুরী। বাকি তিনজনকে বঞ্চিত করে দল থেকে মনোনয়ন পেলেন শফি চৌধুরী। এ নিয়ে মনোনয়ন বঞ্চিত তিন নেতার অনুসারীদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে মানতে নারাজ। তবে মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা নিজেদের অনুসারীদের শান্ত রাখছেন। নানাভাবে তারা দলের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকা ব্যারিস্টার সালাম দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ওই মন্তব্যে তিনি সবাইকে দলের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যারিস্টার এম এ সালামের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। সেই ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ব্যারিস্টারি পড়তে বিলেতে গিয়ে তিনি ওখানে বসবাস করছেন। ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদকও। বিএনপির বিগত কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন। বহির্বিশ্বে বিএনপিকে তুলে ধরতে তিনি অবিরাম কাজ করে চলেছেন। এতে তিনি পেয়েছেন সফলতা। ২০০৮ সাল থেকে নিজ এলাকায় কাজ করছেন ব্যারিস্টার সালাম। তার দল বিএনপির কাছে চান দলীয় মনোনয়ন। কিন্তু পাননি। এবারো তিনি দলের কাছে সিলেট-৩ আসনের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। বিএনপির তরফ থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়াও হয়েছিলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পিছিয়ে পড়েন তিনি। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শফি চৌধুরীকে বেছে নিলো বিএনপি। বাদ পড়লেন সালাম। বিএনপির এই সিদ্ধান্তকেও তিনি মেনে নিলেন। আর ফেসবুক স্ট্যাটাসে তুলে ধরলেন সেটি।
স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সম্মানিত সর্বস্তরের দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত নেতৃবৃন্দ, কর্মীবৃন্দ, আমার সহকর্মীবৃন্দ, সমর্থক শুভানুধ্যায়ী ও বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসী সবাইকে আমার সালাম, আদাব ও শুভেচ্ছা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষে আমার প্রার্থিতা পাওয়ার জন্য আপনারা অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টা করেছেন, আমি আপনাদের সবাইকে আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের কারো মনঃক্ষুণ্ন হওয়ার কোনো কারণ নাই। সবাই এমপি হতে পারে না!!! দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাকেই আমাদের স্বাগত জানাতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন, এটাকে সত্যিকার নির্বাচন না ধরে মূলত আন্দোলন হিসেবে গণ্য করতে হবে।’ স্ট্যাটার্সে তিনি আরো উল্লেখ করেন এই আন্দোলনের বিজয় সূচিত করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সর্বাগ্রে মুক্ত করে গণতন্ত্রের ঝাণ্ডাকে সমুন্নত করতে হবে, তারপর ঐ পতাকা তলে দাঁড়িয়ে যেদিন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব এবং গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব অর্পণ করতে পারবো!!! সেদিন আমাদের মিশন পূর্ণ হবে।
স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সম্মানিত সর্বস্তরের দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত নেতৃবৃন্দ, কর্মীবৃন্দ, আমার সহকর্মীবৃন্দ, সমর্থক শুভানুধ্যায়ী ও বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসী সবাইকে আমার সালাম, আদাব ও শুভেচ্ছা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষে আমার প্রার্থিতা পাওয়ার জন্য আপনারা অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টা করেছেন, আমি আপনাদের সবাইকে আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের কারো মনঃক্ষুণ্ন হওয়ার কোনো কারণ নাই। সবাই এমপি হতে পারে না!!! দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাকেই আমাদের স্বাগত জানাতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন, এটাকে সত্যিকার নির্বাচন না ধরে মূলত আন্দোলন হিসেবে গণ্য করতে হবে।’ স্ট্যাটার্সে তিনি আরো উল্লেখ করেন এই আন্দোলনের বিজয় সূচিত করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সর্বাগ্রে মুক্ত করে গণতন্ত্রের ঝাণ্ডাকে সমুন্নত করতে হবে, তারপর ঐ পতাকা তলে দাঁড়িয়ে যেদিন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব এবং গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব অর্পণ করতে পারবো!!! সেদিন আমাদের মিশন পূর্ণ হবে।