বাংলারজমিন
কালুর অভিনব প্রচারণা
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
৮ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
এক সময়ের দক্ষ মোটরসাইকেল মিস্ত্রি শফিউল মণ্ডল কালু। পঞ্চাশোর্ধ এই ব্যক্তি ভাঙাচোরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে বানিয়েছেন মোটরসাইকেল। আওয়ামী লীগ ও তার দলীয় প্রতীক নৌকার প্রতি ভীষণভাবে আসক্ত কালু সেই মোটরসাইকেলের পেছনে লোহার ফ্রেমে বসিয়েছেন সুসজ্জিত কাঠের নৌকা। আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরামহীনভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন নৌকার প্রচারণা। সবাই তাকে নাম দিয়েছেন ‘নৌকা পাগল কালু’। পাবনার চাটমোহর পৌর শহরের আফ্রাতপাড়া মহল্লার মৃত বয়তুল্লাহ প্রামাণিকের ছেলে তিনি।
যেখানেই লোকজনের আনাগোনা সেখানেই গিয়ে হাজির হচ্ছেন কালু। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর ভোট চাচ্ছেন নৌকা মার্কার জন্য। ঘরে চাল আছে কি নেই সে ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই তার। বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা করে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে মোটরসাইকেলটি বানিয়েছেন তিনি। নৌকার গায়ে এঁকেছেন লাল সবুজ পতাকা। নৌকার পুরো শরীর জুড়ে লাগিয়েছেন রঙিন আলো। পাশে রয়েছে কাঠের তৈরি বৈঠা। আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ ভক্ত কালুর এমন প্রচার দেখে যুবলীগ নেতা হুমায়ন কবির রাজিব ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আলীম মাঝে মধ্যে পেট্রোল (তেল) কেনার জন্য আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছেন। কালুর একমাত্র প্রতিজ্ঞা এবারো নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। চাটমোহর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শফিউল মণ্ডল কালু জানান, ছোট বেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া তার। দলের দুঃসময়ে রাজপথে নেতাদের সঙ্গে একজন কর্মী হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন। তার সময়কার অনেক কর্মী এখন অনেক ‘বড় নেতা’। দল ক্ষমতায় আসার পর সেই সব ‘বড় নেতা’দের ভিড়ে হারিয়ে যান কালু। বাবার রেখে যাওয়া পৌনে তিন শতক জায়গার ওপর দু’টি কুড়ে ঘর ছাড়া কিছুই নেই তার। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। স্ত্রী ও এক ছেলে-মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্টে চলে তার সংসার। দলের সু-সময়ে কেউ খোঁজ রাখেনি কালুর। বেশ কিছুদিন আগে পৌর আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহসভাপতি করা হয় তাকে। পদবি পেলেও তিনি ছিলেন অবহেলিত। তবে, এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই কালু’র।
শফিউল মণ্ডল কালু বলেন, ‘কী পেলাম, না পেলাম সেটা বড় কথা না। বঙ্গবন্ধু ও তার মেয়েকে
ভালবাসি বলেই নৌকার জন্য ভোট চাচ্ছি। যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন নৌকাকে ভালোবেসে যাব। দলের দুঃসময়ে আমাদের মতো কালুরা থাকবে। সু-সময়ে আমরা না থাকলেও দল চলবে।’ কালুর ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কালুর মতো কর্মীরা আওয়ামী লীগের সম্পদ। তাদের মতো কর্মীদের জন্যই আওয়ামী লীগ টিকে আছে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। নৌকা মার্কার জন্য সে (কালু) যেভাবে ভোট প্রার্থনা করছেন তাকে স্যালুট জানাই।’
যেখানেই লোকজনের আনাগোনা সেখানেই গিয়ে হাজির হচ্ছেন কালু। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর ভোট চাচ্ছেন নৌকা মার্কার জন্য। ঘরে চাল আছে কি নেই সে ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই তার। বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা করে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে মোটরসাইকেলটি বানিয়েছেন তিনি। নৌকার গায়ে এঁকেছেন লাল সবুজ পতাকা। নৌকার পুরো শরীর জুড়ে লাগিয়েছেন রঙিন আলো। পাশে রয়েছে কাঠের তৈরি বৈঠা। আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ ভক্ত কালুর এমন প্রচার দেখে যুবলীগ নেতা হুমায়ন কবির রাজিব ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আলীম মাঝে মধ্যে পেট্রোল (তেল) কেনার জন্য আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছেন। কালুর একমাত্র প্রতিজ্ঞা এবারো নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। চাটমোহর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শফিউল মণ্ডল কালু জানান, ছোট বেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া তার। দলের দুঃসময়ে রাজপথে নেতাদের সঙ্গে একজন কর্মী হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন। তার সময়কার অনেক কর্মী এখন অনেক ‘বড় নেতা’। দল ক্ষমতায় আসার পর সেই সব ‘বড় নেতা’দের ভিড়ে হারিয়ে যান কালু। বাবার রেখে যাওয়া পৌনে তিন শতক জায়গার ওপর দু’টি কুড়ে ঘর ছাড়া কিছুই নেই তার। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। স্ত্রী ও এক ছেলে-মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্টে চলে তার সংসার। দলের সু-সময়ে কেউ খোঁজ রাখেনি কালুর। বেশ কিছুদিন আগে পৌর আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহসভাপতি করা হয় তাকে। পদবি পেলেও তিনি ছিলেন অবহেলিত। তবে, এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই কালু’র।
শফিউল মণ্ডল কালু বলেন, ‘কী পেলাম, না পেলাম সেটা বড় কথা না। বঙ্গবন্ধু ও তার মেয়েকে
ভালবাসি বলেই নৌকার জন্য ভোট চাচ্ছি। যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন নৌকাকে ভালোবেসে যাব। দলের দুঃসময়ে আমাদের মতো কালুরা থাকবে। সু-সময়ে আমরা না থাকলেও দল চলবে।’ কালুর ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কালুর মতো কর্মীরা আওয়ামী লীগের সম্পদ। তাদের মতো কর্মীদের জন্যই আওয়ামী লীগ টিকে আছে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। নৌকা মার্কার জন্য সে (কালু) যেভাবে ভোট প্রার্থনা করছেন তাকে স্যালুট জানাই।’