দেশ বিদেশ
যুক্তরাষ্ট্রকে পুতিনের সতর্কতা
মানবজমিন ডেস্ক
৬ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি মধ্যম পাল্লার পারমাণবিক শক্তি চুক্তি (আইএনএফ) থেকে বেরিয়ে যায় এবং নিষিদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে তাহলে রাশিয়াও তাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মঙ্গলবার ন্যাটোর এক বৈঠকে ঘোষণা করেন, ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি (আইএনএফ)-এর বাধ্যবাধকতা আগামী ৬০ দিনের মধ্যে স্থগিত করবে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া এ ক্ষেত্রে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মাইক পম্পেওয়ের এমন ঘোষণার অর্থ হলো ওই চুক্তির অধীনে আর থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র। এর মানে তারা ওই চুক্তির অধীনে যেসব অস্ত্র তৈরি নিষিদ্ধ রয়েছে তা উৎপাদন শুরু করবে। মাইক পম্পেওয়ের এমন ঘোষণার একদিন পর বুধবার রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলোকে প্রতিক্রিয়া দেন ভ্লাদিমির পুতিন। ওদিকে ন্যাটোভুক্ত মিত্রদের কাছে রাশিয়া সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রমাণাদি শেয়ার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কাছে রয়েছে নতুন এসএসসি-৮ নামের ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্রজ ক্ষেপণাস্ত্র। এই অস্ত্র দিয়ে সামান্য অথবা কোনো ঘোষণা না দিয়েই ইউরোপে পারমাণবিক হামলা চালানোর সক্ষমতা পেতে পারে মস্কো। তবে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। এ বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আইএনএফ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তিনি এক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনকে দায়ী করেন। বলেন, তারা আইএনএফ চুক্তি লঙ্ঘন করছে। বুধবার এর জবাব দিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অজুহাত হিসেবে এসব কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরো বলেছেন, প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপরই তারা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার জন্য কারণ খুুঁজতে শুরু করেছে। ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, এতে মনে হচ্ছে আমাদের মার্কিন অংশীদাররা বিশ্বাস করছে পরিস্থিতি এতটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ওই ধরনের অস্ত্র থাকতে হবে।
এক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য কি হওয়া উচিত? উত্তরটা খুবই সহজ। তাহলো আমাদেরকেও একই কাজ করতে হবে।
এর আগে বৈদেশিক মিলিটারি এটাচের ব্রিফিংয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ রাশিয়ার জবাব সম্পর্কে সতর্ক করেন।
১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত হয় আইএনএফ চুক্তি। তখন এটাকে বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছিল।
এক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য কি হওয়া উচিত? উত্তরটা খুবই সহজ। তাহলো আমাদেরকেও একই কাজ করতে হবে।
এর আগে বৈদেশিক মিলিটারি এটাচের ব্রিফিংয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ রাশিয়ার জবাব সম্পর্কে সতর্ক করেন।
১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত হয় আইএনএফ চুক্তি। তখন এটাকে বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছিল।