দেশ বিদেশ
সাইবার অপপ্রচারের সূত্র বিদেশে
শুভ্র দেব
৬ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
নির্বাচনী গুজব ও অপপ্রচারকারীদের মনিটরিং করার নির্দেশের পর কাজ শুরু করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ইতিমধ্যে অন্তত পাঁচ শতাধিক সংবাদভিত্তিক পোর্টাল, ফেসবুক পেইজ, ফেসবুক আইডি শনাক্ত করা হয়েছে। রাখা হয়েছে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে। বেশ কিছু আইডি ও সাইট শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু বসে নাই গুজব ও অপপ্রচারকারীরা। অবস্থান ও নাম পরিবর্তন করে দেশে বিদেশে বসে অব্যাহত রেখেছে তাদের অপপ্রচার। দেশের ভেতর থেকে অপপ্রচারকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এলেও মূল হোতাদের অবস্থান বিদেশে। তাই বিদেশে অবস্থানকারীদের নিয়ে বেকায়দায় আছে গোয়েন্দারা।
পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা মানবজমিনকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব-উসকানির মাধ্যমে দেশে যাতে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। কোনো মহল যাতে নির্বাচন নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সংস্থাই মিডিয়া মনিটরিং করছে। এছাড়া ইসির ও বিটিসিএলের কর্মকর্তারাও এ কাজে সংযুক্ত আছেন। তিনি বলেন, আমরা বেশ কিছু সাইট ও গ্রুপকে নজরদারিতে রেখেছি। যারা নির্বাচনী গুজব ছড়াচ্ছে তাদের অধিকাংশই ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ পেইজ ও সাইট ব্যবহার করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার ও উসকানি রোধে পুলিশ সদরদপ্তরের সাইবার টিম, মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার টিম, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক গ্রুপ ও সাইট শনাক্ত করে যাচাই-বাছাই করছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, দেশের মানুষের একটা মনস্তাত্ত্বিক দিক হচ্ছে গুজব বা মিথ্যা তথ্য বিশ্বাস করা। যিনি যা ভাবছেন সেরকম কিছু পেলেই তা প্রকাশ করছেন সোস্যাল মিডিয়ায়। অন্যরাও সেটি বিশ্বাস করে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করছেন। ফলে কোনো কোনো সময় এটি কয়েকটি সমস্যা সৃষ্টি করছে। কিন্তু কেউ বোঝার চেষ্টা করে না প্রতিটি গুজবই একটি নির্দিষ্ট অসৎ উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। মনিরুল ইসলাম বলেন, ইনোসেন্ট গুজবে সহিংসতার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা তথ্য প্রচার করাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করছি। কারণ বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে গুজব মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল ও সহিংস পরিবেশ তৈরি, ভোটারের মনোভাব পরিবর্তনের চেষ্টা ও ভোট প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনি গুজব প্রতিরোধের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতি জেলায় মিডিয়া সেল গঠন করে কাজ করা হবে। গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হলে মুহূর্তের মধ্যেই সেটি চিহ্নিত করে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হবে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আলাদা সেল কাজ করবে। তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষুদ্র প্রশাসনেও গুজব প্রতিরোধে কাজ করা হবে।
সিআইডির অগ্রানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী গুজব, অপপ্রচার রোধে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু গ্রুপ, ভুয়া নিউজ পোর্টাল, আইডি শনাক্ত করেছি। এখন সেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যদি অপপ্রচারের সত্যতা পাওয়া যায় তবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেশের বাইরে থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কোনো কোনো দেশ থেকে কারা করতেছে এরকম কিছু সাইট ও আইডি আমরা নজরদারিতে নিয়ে এসেছি। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। কিন্তু দেশের বাইরে থাকার কারণে আমরা তাদেরকে ধরতে পারছি না। এজন্য আমরা ইমিগ্রেশন ও সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসে চিঠি দিয়েছি। মোল্যা নজরুল বলেন, বিদেশে অবস্থানরতদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের একটু সমস্যা হলেও দেশের ভেতর থেকে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের ধরে আমরা মামলা করেছি। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (রাব-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার উজ জামান মানবজমিনকে বলেন, গুজব-অপপ্রচার নিয়ে আমরা আগে থেকেই কাজ করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করার জন্য আমাদের আলাদা একটি সেল আছে। ইসির নির্দেশনার পর সেটি আরো জোরদার করেছি। তিনি বলেন, ভুয়া সাইট তৈরি করে অপপ্রচার চালানোর জন্য আমরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়েছি। তারা স্বীকৃত পত্রিকার সাইট নকল করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তৎপরতা শুরু করেছিল। আমরা চেষ্টা করছি কোনো মহল কর্তৃক যেন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। এজন্য আমাদের সাইবার সেলকে আরো শক্তিশালী করে সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা মানবজমিনকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব-উসকানির মাধ্যমে দেশে যাতে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। কোনো মহল যাতে নির্বাচন নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সংস্থাই মিডিয়া মনিটরিং করছে। এছাড়া ইসির ও বিটিসিএলের কর্মকর্তারাও এ কাজে সংযুক্ত আছেন। তিনি বলেন, আমরা বেশ কিছু সাইট ও গ্রুপকে নজরদারিতে রেখেছি। যারা নির্বাচনী গুজব ছড়াচ্ছে তাদের অধিকাংশই ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ পেইজ ও সাইট ব্যবহার করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার ও উসকানি রোধে পুলিশ সদরদপ্তরের সাইবার টিম, মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার টিম, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক গ্রুপ ও সাইট শনাক্ত করে যাচাই-বাছাই করছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, দেশের মানুষের একটা মনস্তাত্ত্বিক দিক হচ্ছে গুজব বা মিথ্যা তথ্য বিশ্বাস করা। যিনি যা ভাবছেন সেরকম কিছু পেলেই তা প্রকাশ করছেন সোস্যাল মিডিয়ায়। অন্যরাও সেটি বিশ্বাস করে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করছেন। ফলে কোনো কোনো সময় এটি কয়েকটি সমস্যা সৃষ্টি করছে। কিন্তু কেউ বোঝার চেষ্টা করে না প্রতিটি গুজবই একটি নির্দিষ্ট অসৎ উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। মনিরুল ইসলাম বলেন, ইনোসেন্ট গুজবে সহিংসতার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা তথ্য প্রচার করাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করছি। কারণ বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে গুজব মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল ও সহিংস পরিবেশ তৈরি, ভোটারের মনোভাব পরিবর্তনের চেষ্টা ও ভোট প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনি গুজব প্রতিরোধের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতি জেলায় মিডিয়া সেল গঠন করে কাজ করা হবে। গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হলে মুহূর্তের মধ্যেই সেটি চিহ্নিত করে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হবে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আলাদা সেল কাজ করবে। তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষুদ্র প্রশাসনেও গুজব প্রতিরোধে কাজ করা হবে।
সিআইডির অগ্রানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী গুজব, অপপ্রচার রোধে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু গ্রুপ, ভুয়া নিউজ পোর্টাল, আইডি শনাক্ত করেছি। এখন সেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যদি অপপ্রচারের সত্যতা পাওয়া যায় তবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেশের বাইরে থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কোনো কোনো দেশ থেকে কারা করতেছে এরকম কিছু সাইট ও আইডি আমরা নজরদারিতে নিয়ে এসেছি। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। কিন্তু দেশের বাইরে থাকার কারণে আমরা তাদেরকে ধরতে পারছি না। এজন্য আমরা ইমিগ্রেশন ও সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসে চিঠি দিয়েছি। মোল্যা নজরুল বলেন, বিদেশে অবস্থানরতদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের একটু সমস্যা হলেও দেশের ভেতর থেকে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের ধরে আমরা মামলা করেছি। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (রাব-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার উজ জামান মানবজমিনকে বলেন, গুজব-অপপ্রচার নিয়ে আমরা আগে থেকেই কাজ করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করার জন্য আমাদের আলাদা একটি সেল আছে। ইসির নির্দেশনার পর সেটি আরো জোরদার করেছি। তিনি বলেন, ভুয়া সাইট তৈরি করে অপপ্রচার চালানোর জন্য আমরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়েছি। তারা স্বীকৃত পত্রিকার সাইট নকল করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তৎপরতা শুরু করেছিল। আমরা চেষ্টা করছি কোনো মহল কর্তৃক যেন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। এজন্য আমাদের সাইবার সেলকে আরো শক্তিশালী করে সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে।