দেশ বিদেশ
নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিবিদদের প্রতি দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিতের আহ্বান
মানবজমিন ডেস্ক
৬ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
আসন্ন নির্বাচনে ভোটাররা প্রার্থীদের কাছে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসনের নিশ্চয়তা চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ পদাধিকারী আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর আগামী ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের একাদশতম জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ক্রাক্স নাউয়ের সঙ্গে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাগাতার তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসতে সচেষ্ট। অপরদিকে, দেশের প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন জেলে। কিন্তু তিনি তার সমর্থকদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার দল বিএনপি এখন কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অংশ হিসেবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরইমধ্যে রোববার সরকার জানিয়ে দিয়েছে, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ডি রোজারিও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের দরজা খুলে দিয়েছেন। সেপ্টেম্বরে তিনি সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছেন। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে নির্বাচনের দাবিতে খালেদা জিয়ার দল ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বয়কট করেছিল। এ বছরের প্রথমদিকে খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত। তার সমর্থকরা একে মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করে আসছেন। রোজারিও বলেন, আগামী নির্বাচনে দেশের সব দলই অংশ নিতে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলো নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জোট গঠন করেছে। যদিও সরকারি প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। তবে সবকিছু ভালোভাবেই চলবে। বিরোধী দলগুলোর সুবিধার্থে গত মাসে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছে। রোজারিও জানান, ভোটাররা রাজনীতিতে দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা দেখতে চায়। বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। কিন্তু দুর্নীতি একটি বড় সমস্যা। সাধারণ মানুষ দলগুলোর কাছে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ৮৬ শতাংশই মুসলমান। এ ছাড়াও ১২ শতাংশ রয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ খ্রিষ্টান। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪ লাখ ক্যাথলিক বাস করেন। রোজারিও বলেন, চার্চ তাদেরকে কোনো নির্দিষ্ট দলকে ভোট দিতে উৎসাহিত করছে না। তবে, দলগুলো তাদের ইশতেহার প্রকাশ করলে নির্বাচন সম্পর্কিত দিকনির্দেশনা দেয়া হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশি খ্রিষ্টানরা ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিয়ে চিন্তিত। রাজনৈতিক দলগুলোকে সকল সংখ্যালঘুর ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিতে হবে। ধর্মপালন এবং জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা করতে হবে।
এ ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের ১১ লাখ মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কথাও বলেন রোজারিও। গত কয়েক বছরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তারা। রোজারিও বলেন, রোহিঙ্গারা নির্বাচনের জন্য কোনো সমস্যা নয়। তাদের ভালোভাবেই রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না পাঠানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের ১১ লাখ মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কথাও বলেন রোজারিও। গত কয়েক বছরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তারা। রোজারিও বলেন, রোহিঙ্গারা নির্বাচনের জন্য কোনো সমস্যা নয়। তাদের ভালোভাবেই রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না পাঠানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।