এক্সক্লুসিভ
সম্পদের কমতি নেই শ্বশুর-জামাতার সাত্তারের নগদ টাকা বেশি
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
৬ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
দোকান-ফ্ল্যাট আর জমিতে সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। ঢাকার ডিআইটি রোডে দি গ্লোবাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডেভলপার লিমিটেডের প্রকল্পে ৫টি দোকান ও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার। এসব দোকান কোটার মূল্য ২৩ লাখ ২৯ হাজার ২৪ টাকা। আর ফ্ল্যাটটির মূল্য ২০ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩২ টাকা। স্ত্রীর নামে মৌচাক মার্কেটে রয়েছে আরেকটি দোকান। যার মূল্য দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া বাড্ডায় ৩ কাঠা ও বসুন্ধরা আবাসিক প্লটে দেড় কাঠার একটি জায়গা রয়েছে তার। রেজাউলের শ্বশুর এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাও পিছিয়ে নেই। নগদের অঙ্কে জামাইকে ছাড়িয়েছেন তিনি। তার কাছে নগদ আছে ৩৫ লাখ টাকা। বিএনপির প্রার্থী সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ারও নগদের পরিমাণ বেশি। তার কাছে রয়েছে ৩২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। তাদের হলফনামা থেকে পাওয়া গেছে সম্পদের এই বিবরণ। রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বাড়ি/এ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য খাত থেকে বাৎসরিক ভাড়া পান ৩ লাখ ১০ হাজার ৮শ’ টাকা। ব্যবসা থেকে বছরে আসে তার ১০ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকা। তার হাতে নগদ আছে দেড়লাখ টাকা। তবে মৌচাক সিটি ব্যাংকে জমা আছে ২২ লাখ ৩৯ হাজার ৭৩৬ টাকা। আর স্ত্রীর নামে আল আরাফাহ ব্যাংকে জমা আছে ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে জনতা ও আল আরাফাহ ব্যাংকে মোট ১২ লাখ টাকার এফডিআর রয়েছে। স্ত্রীর চেয়ে নিজের নামে বেশি স্বর্ণালংকার রয়েছে রেজাউলের। তিনি ২০ ভরি স্বর্ণালংকারের মালিক। আর তার স্ত্রী ১২ ভরি স্বর্ণালংকারের মালিক। শ্বশুর বাড়ি সরাইলে রেজাউলের কৃষি জমি রয়েছে ৪ শতাংশ। যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৬৬ হাজার ৫শ’ টাকা। এছাড়া সদর উপজেলার কোড্ডায় ৫৪ এবং ৩৩ শতাংশ জমি রয়েছে তার। যার মূল্য যথাক্রমে ২লাখ ৮ হাজার এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫শ’ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়। ব্যবসায় মূলধন আছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৭২৬ টাকা। পড়াশুনায় এম কম রেজাউলের বিরুদ্ধে কোন মামলা-মোকদ্দমা নেই। তার পেশা ব্যবসা। মেসার্স নাহিয়ান বিল্ডার্সের মালিক তিনি। অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ, এলএলবি। পেশা থেকে তার বাৎসরিক আয় ২লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর সংসদ সদস্য হিসেবে ভাতা দেখিয়েছেন ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৫ টাকা। পত্রিকায় লেখা ও সভা-সেমিনার থেকে সম্মানী বাবদ বছরে তিনি পান ৪০ হাজার টাকা। তার হাতে নগদ আছে ৩৫ লাখ টাকা। আর নির্ভরশীলদের নামে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ ১১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ যমুনা ব্যাংকে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯২ টাকা, কৃষি ব্যাংকে ২ লাখ ২২ হাজার ২৮ টাকা, এনসিসি ব্যাংকে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৭ টাকা, সোনালি ব্যাংকে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৪৭ টাকা। এমএ পাস সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তার নগদ টাকার পরিমাণ ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪ টাকা। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ১২৮ টাকা এবং কৃষি ব্যাংকে ৫ লাখ ৮ হাজার ২৭৮ টাকা জমা আছে তার। ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ৪ লাখ ৫২ হাজার ৮০৬ টাকা। অন্যান্য খাত থেকে আসে ৫৬৪৪ টাকা। সরাইলের পরমানন্দপুরে ২৭ কানি নাল জমি রয়েছে তার। যার মূল্য ২৭ হাজার টাকা।