এক্সক্লুসিভ
কী আছে হুইপ সেলিমের ভাগ্যে
মিলাদ জয়নুল, বিয়ানীবাজার (সিলেট) থেকে
৬ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সেলিম উদ্দিনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন তার অনুসারীরা। ভোটের রাজনীতিতে তিনি টিকে থাকবেন নাকি জোটের মেরুকরণে হারিয়ে যাবেন- তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তার কর্মী-সমর্থক-অনুসারীরা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেলিম উদ্দিন সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) ও সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার- গোলাপগঞ্জ) আসনে নির্বাচন করতে মনোনয়ন দাখিল করলেও শেষপর্যন্ত কোন আসন থেকে নির্বাচন করবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকার কারণে তার দু’টি মনোনয়নপত্রই বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। অবশ্য নির্বাচনী মাঠে ফিরে আসতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন তিনি। হুইপ সেলিম উদ্দিন জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন। একই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদারকে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এটি জাতীয় পার্টির আসন হওয়া সত্ত্বেও হঠাৎ করে নৌকা মার্কার প্রার্থী ঘোষণা করায় তিনি নিজেও বিব্রত বলে মন্তব্য করেছেন সেলিম উদ্দিন। তার অনুসারী বিয়ানীবাজার উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল হাসনাত বলেন, সিলেট-৫ অথবা সিলেট-৬ আসনের যে কোনো একটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায় দু’টি আসন থেকেই লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সেলিম উদ্দিন নির্বাচন করবেন। জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সেলিম উদ্দিন বহুবছর পূর্ব থেকে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। তিনি একসময় দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বর্তমানে দলের কো-চেয়ারম্যান এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের বিশ্বস্ত হিসেবে জাতীয় পার্টিতে সমাদৃত। তার বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার নালবহর গ্রামে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের স্বার্থে তাকে নিজ আসনের বাইরে অর্থাৎ সিলেট-৫ জকিগঞ্জ-কানাইঘাট আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। সে সময়ও তিনি সিলেট-৬ বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ নির্বাচনী আসন থেকে মনোনয়নের জোরালো দাবিদার ছিলেন। তখন অবশ্য তার মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির মধ্যে বেশ লুকোচুরি হয়। অনেক প্রশ্নের উত্তর চাপা রেখে জকিগঞ্জ-কানাইঘাট আসন থেকে তাকে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিরোধীদলীয় নেত্রীর ‘নেকনজরে’ জাতীয় সংসদের হুইপ মনোনীত হন তিনি। দীর্ঘ ৫ বছর হুইপ থাকাকালে তার নির্বাচনী এলাকায় প্রচুর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন ইমেজের কারণে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেন। তৃণমূলে জাতীয় পার্টিকে বেশ সংগঠিত করেছেন তিনি। সমালোচকদের দাবি- দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির রাজনীতির নাটাই ছিল রওশন এরশাদের হাতে। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলটির নিয়ন্ত্রণ কার হাতে, সে রহস্য এখনো অজানা।
দলের অন্যতম নিয়ন্ত্রক রওশন এরশাদ সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটা পর্দার আড়ালে অবস্থান করায় সেলিম উদ্দিনের ভবিষ্যৎ রাজনীতি সুতোয় ঝুলছে বলেও তাদের দাবি। অবশ্য এসব বিষয় মানতে নারাজ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, সিলেট-৫ অথবা সিলেট-৬, এ দু’টি আসনের যে কোনোটিতে সেলিম উদ্দিনকে মনোনয়ন দেয়া হলে মহাজোটের বিজয় নিশ্চিত। বিয়ানীবাজার উপজেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছফর উদ্দিন বলেন, পরিচ্ছন্ন রাজনীতি, নির্মোহ উন্নয়ন এবং জাতীয় পার্টির দুর্গ ধরে রাখতে সেলিম উদ্দিনকে মনোনয়ন দিতে হবে। অন্যথায় মহাজোটের জন্য বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। বিরোধী দলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিন জানান, দু’টি আসনের একটিতে আমি মনোনয়ন পাবো, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমি নির্বাচনী মাঠে ছিলাম, আছি- থাকবো।
দলের অন্যতম নিয়ন্ত্রক রওশন এরশাদ সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটা পর্দার আড়ালে অবস্থান করায় সেলিম উদ্দিনের ভবিষ্যৎ রাজনীতি সুতোয় ঝুলছে বলেও তাদের দাবি। অবশ্য এসব বিষয় মানতে নারাজ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, সিলেট-৫ অথবা সিলেট-৬, এ দু’টি আসনের যে কোনোটিতে সেলিম উদ্দিনকে মনোনয়ন দেয়া হলে মহাজোটের বিজয় নিশ্চিত। বিয়ানীবাজার উপজেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছফর উদ্দিন বলেন, পরিচ্ছন্ন রাজনীতি, নির্মোহ উন্নয়ন এবং জাতীয় পার্টির দুর্গ ধরে রাখতে সেলিম উদ্দিনকে মনোনয়ন দিতে হবে। অন্যথায় মহাজোটের জন্য বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। বিরোধী দলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিন জানান, দু’টি আসনের একটিতে আমি মনোনয়ন পাবো, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমি নির্বাচনী মাঠে ছিলাম, আছি- থাকবো।