বাংলারজমিন
হলফনামা
নিজাম হাজারীর সম্পদ বেড়েছে ৮ গুণ, স্ত্রীর বেড়েছে ১০ গুণ
ফেনী প্রতিনিধি
৬ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর সম্পদ ও আয় বেড়েছে অন্তত ৮ গুণ। আর স্ত্রী নুরজাহান বেগম নাসরিনের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। হলফনামা অনুযায়ী আয় ও সম্পদ মিলে নিজাম হাজারী প্রায় ৩১ কোটি টাকার মালিক। অপরদিকে স্ত্রীর রয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি। দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নিজাম হাজারীর আয়সহ সম্পদ ছিল সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি। অপরদিকে স্ত্রীর ছিল ৮০ লাখ টাকার বেশি। আয় ও সম্পদের বিপরীতে নিজাম হাজারীর ব্যাংক ঋণ আছে মাত্র কোটি টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে হলফনামায় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন মৎস্য ব্যবসা (স্নিগ্ধা ফিশারিজ এন্ড হ্যাচারি)। এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৩) দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন রাজনীতি ও সাধারণ ব্যবসায়ী। নিজাম উদ্দিন হাজারী হলফনামায় কৃষিখাতে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যেখানে দশম সংসদের হলফনামায় কৃষি খাতে বাৎসরিক আয় ছিল ২০ হাজার টাকা। ৫ বছরে কৃষিখাতে আয় বেড়েছে সাড়ে ১২ গুণ। বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া থেকে বার্ষিক আয় ৯ লাখ টাকা। প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। যেখানে দশম সংসদ নির্বাচনে এ ক্ষেত্রে কোনো আয় ছিল না। ৫ বছরে বেড়েছে ১৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। মৎস্য ব্যবসা করে নিজাম হাজারীর বাৎসরিক আয় ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭শ’ টাকা। যেখানে ৫ বছর আগে তার ব্যবসা থেকে আয় ছিল ২ লাখ ২১ হাজার ৪৬৮ টাকা। ৫ বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭৮ হাজার ২৩২ টাকা।
নিজাম হাজারীর শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকে আমানত আছে ১১ লাখ ২২ হাজার ৩৩৩ টাকা। যার মধ্যে ১ লাখ ৪৪ হাজার ২০৮ টাকা (ব্যাংক সুদ) ও ৯ লাখ ৭৮ হাজার ১২৫ টাকা (এফডিআর সুদ)। এ খাতে তার উপর নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৯ টাকা। যেখানে দশম সংসদ নির্বাচনের সময় দাখিলকৃত হলফনামায় এ খাতে কোনো টাকা আয় ছিল না। সে হিসেবে এ খাতে ৫ বছরে বেড়েছে ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৮২ টাকা।
নিজাম হাজারীর শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকে আমানত আছে ১১ লাখ ২২ হাজার ৩৩৩ টাকা। যার মধ্যে ১ লাখ ৪৪ হাজার ২০৮ টাকা (ব্যাংক সুদ) ও ৯ লাখ ৭৮ হাজার ১২৫ টাকা (এফডিআর সুদ)। এ খাতে তার উপর নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৯ টাকা। যেখানে দশম সংসদ নির্বাচনের সময় দাখিলকৃত হলফনামায় এ খাতে কোনো টাকা আয় ছিল না। সে হিসেবে এ খাতে ৫ বছরে বেড়েছে ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৮২ টাকা।