এক্সক্লুসিভ
নারায়ণগঞ্জ-৩
খোকার সম্পদ বেড়েছে ৪৩ গুণ স্ত্রী শূন্য থেকে কোটিপতি
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
৬ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ গত ৫ বছরে বেড়েছে প্রায় ৪৩ গুণ। অন্যদিকে তার স্ত্রী শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লিয়াকত হোসেন খোকার হলফনামা থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
হলফনামার তথ্যমতে, লিয়াকত হোসেন খোকা ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় হলফনামায় উল্লেখ করেন তিনি একজন চাকরিজীবী। তার অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ ২ লাখ টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ রয়েছে ১ লাখ টাকা। এ ছাড়া যৌথ মালিকানায় ২টি ভিটি জমি আছে। যার একটি ৮ শতাংশের মধ্যে ৭ ভাগের ১ ভাগ এবং অন্যটিতে ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ ভাগের ১ ভাগ। এ ছাড়াও ১৭ শতাংশের একটি মার্কেটের ৭ ভাগের ১ ভাগ মালিকানায় আছেন তিনি। তার স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর অস্থাবর সম্পদ নেই।
অন্যদিকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করেছেন। ২৫শে নভেম্বর ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত তার হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ৯৮ লাখ ১২ হাজার ৩৮ টাকা। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে ৮১ লাখ ৬ হাজার ২৮৮ টাকা এবং ব্যবসাবহির্ভূত ১৭ লাখ ৫ হাজার ৭৫০ টাকা। এবং স্ত্রীর হাতে নগদ ৫৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯৬৫ টাকা। এ ছাড়া খোকার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকার পরিমাণ আইএফআইসি ব্যাংকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৫ টাকা, এই ব্যাংকে অপর অ্যাকাউন্টে ৮৭ হাজার ৫১০ টাকা আছে। উত্তরা ব্যাংক লি.-এ ২ হাজার ৫৬৭ টাকা, অগ্রণী ব্যাংক লি.-এ আছে ২২ হাজার ৫৫০ টাকা। এবং আইএফআইসি ব্যাংকে নির্বাচনী হিসাব বাবদ ৫ হাজার টাকা রয়েছে।
তাছাড়া লাবিবা হোসেন এগ্রো লি. এর ৮ লাখ ও ঈশা খাঁ এগ্রো লি. এর ৯ লাখ টাকা শেয়ার কেনা আছে। ৩০ ভরি স্বর্ণ ও সাড়ে ৩ লাখ টাকার ইলেক্ট্রনিক্স মালামাল, সাড়ে ৪ লাখ টাকার আসবাসপত্র, সৈয়দপুরে ৮ শতাংশ খালি জমি যার বায়না মূল্য ২ লাখ টাকা।
অন্যদিকে স্ত্রীর নামে রূপালি ব্যাংকে ৮ লাখ ৯২ হাজার ৯২ টাকা, ইউসিবিএল ব্যাংকে ৭ হাজার ৯১২ টাকা জমা রয়েছে। লাবিবা হোসেন এগ্রো লি: এ ২ লাখ টাকা শেয়ার, টয়োটা কার একটির মূল্য ২৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৯ টাকা, ৮৪ ভরি স্বর্ণ, ইলেক্ট্রনিক মালামাল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আসবাসপত্র ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সাড়ে ১০ শতাংশ জমির ওপর তিনতলা বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন যার মূল্য ২০ লাখ ৭২ হাজার ৬৭৯ টাকা। নির্ভরশীলদের নামে রূপালী ব্যাংকে জমা ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৯৮৫ টাকা। তবে লিয়াকত হোসেন খোকা দেনা আছেন ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তিনি ইউসিবিএল ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখা থেকে ঋণ নিয়েছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৯ টাকা।
হলফনামায় জাতীয় পার্টির এই এমপি উল্লেখ করেন, স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে মোট সম্পত্তির মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ ১৫ হাজার ৯৮০ টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে তিনি দেখিয়েছেন, বাড়ি ভাড়া, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬১ টাকা, ব্যবসা থেকে ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪০ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতের সুদ বাবদ ৬১ হাজার ৬৩৪ টাকা, অন্যান্য খাত থেকে ২২ লাখ ৪৩ হাজার ১৭৫ টাকা।
হলফনামার তথ্যমতে, লিয়াকত হোসেন খোকা ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় হলফনামায় উল্লেখ করেন তিনি একজন চাকরিজীবী। তার অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ ২ লাখ টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ রয়েছে ১ লাখ টাকা। এ ছাড়া যৌথ মালিকানায় ২টি ভিটি জমি আছে। যার একটি ৮ শতাংশের মধ্যে ৭ ভাগের ১ ভাগ এবং অন্যটিতে ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ ভাগের ১ ভাগ। এ ছাড়াও ১৭ শতাংশের একটি মার্কেটের ৭ ভাগের ১ ভাগ মালিকানায় আছেন তিনি। তার স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর অস্থাবর সম্পদ নেই।
অন্যদিকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করেছেন। ২৫শে নভেম্বর ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত তার হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ৯৮ লাখ ১২ হাজার ৩৮ টাকা। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে ৮১ লাখ ৬ হাজার ২৮৮ টাকা এবং ব্যবসাবহির্ভূত ১৭ লাখ ৫ হাজার ৭৫০ টাকা। এবং স্ত্রীর হাতে নগদ ৫৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯৬৫ টাকা। এ ছাড়া খোকার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকার পরিমাণ আইএফআইসি ব্যাংকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৫ টাকা, এই ব্যাংকে অপর অ্যাকাউন্টে ৮৭ হাজার ৫১০ টাকা আছে। উত্তরা ব্যাংক লি.-এ ২ হাজার ৫৬৭ টাকা, অগ্রণী ব্যাংক লি.-এ আছে ২২ হাজার ৫৫০ টাকা। এবং আইএফআইসি ব্যাংকে নির্বাচনী হিসাব বাবদ ৫ হাজার টাকা রয়েছে।
তাছাড়া লাবিবা হোসেন এগ্রো লি. এর ৮ লাখ ও ঈশা খাঁ এগ্রো লি. এর ৯ লাখ টাকা শেয়ার কেনা আছে। ৩০ ভরি স্বর্ণ ও সাড়ে ৩ লাখ টাকার ইলেক্ট্রনিক্স মালামাল, সাড়ে ৪ লাখ টাকার আসবাসপত্র, সৈয়দপুরে ৮ শতাংশ খালি জমি যার বায়না মূল্য ২ লাখ টাকা।
অন্যদিকে স্ত্রীর নামে রূপালি ব্যাংকে ৮ লাখ ৯২ হাজার ৯২ টাকা, ইউসিবিএল ব্যাংকে ৭ হাজার ৯১২ টাকা জমা রয়েছে। লাবিবা হোসেন এগ্রো লি: এ ২ লাখ টাকা শেয়ার, টয়োটা কার একটির মূল্য ২৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৯ টাকা, ৮৪ ভরি স্বর্ণ, ইলেক্ট্রনিক মালামাল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আসবাসপত্র ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সাড়ে ১০ শতাংশ জমির ওপর তিনতলা বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন যার মূল্য ২০ লাখ ৭২ হাজার ৬৭৯ টাকা। নির্ভরশীলদের নামে রূপালী ব্যাংকে জমা ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৯৮৫ টাকা। তবে লিয়াকত হোসেন খোকা দেনা আছেন ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তিনি ইউসিবিএল ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখা থেকে ঋণ নিয়েছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৯ টাকা।
হলফনামায় জাতীয় পার্টির এই এমপি উল্লেখ করেন, স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে মোট সম্পত্তির মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ ১৫ হাজার ৯৮০ টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে তিনি দেখিয়েছেন, বাড়ি ভাড়া, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬১ টাকা, ব্যবসা থেকে ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪০ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতের সুদ বাবদ ৬১ হাজার ৬৩৪ টাকা, অন্যান্য খাত থেকে ২২ লাখ ৪৩ হাজার ১৭৫ টাকা।