এক্সক্লুসিভ
আশুলিয়ায় গণধর্ষণের পর আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ৬
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
৫ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে আটকে রেখে নারী পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণের পর মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। ঘটনার মূল হোতাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুুলিশ। আশুলিয়া থানায় মামলা দায়েরের পর ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল ভোররাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নরসিংহপুর এলাকার জাহিদুল ইসলাম (২২), একই এলাকার আজাদ হোসেন (২৪), রানা সরকার (২৮), কোনাপাড়া এলাকার রবিউল শেখ (২০), একই এলাকার রুবেল (২২) ও ঘোষবাগ এলাকার সাগর হোসেন (২৪)। তবে রাজন ও সোহাগ নামে আরো দুই ধর্ষণকারী পলাতক রয়েছে। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজিকুল ইসলাম জানান, রোববার সন্ধ্যায় নরসিংহপুর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে গার্মেন্টকর্মী স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে আসেন তার স্বামী। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য তাহের মৃধার ম্যানেজার রাজন, তার সঙ্গী রবিউলসহ সাতজন মিলে ওই দম্পতিকে আটক করে স্বামী-স্ত্রী কিনা জানতে চায়। একপর্যায়ে তারা সোনা মিয়া মার্কেট এলাকার একটি বাড়িতে স্বামী ও স্ত্রীকে পৃথক কক্ষে আটকে রেখে পরে রাতে রাজনসহ তার সঙ্গীরা গার্মেন্টকর্মী ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ওই দম্পতির পরিবারের নিকট মুঠোফোনে ২০ হাজার টাকা দাবি করে মুক্তিপণ হিসেবে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে আশুলিয়া থানায় বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ করা হলে মুক্তিপণের টাকা প্রদানের শর্তে ফাঁদ পাতে পুলিশ। পরে সোমবার রাতে সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় রবিউল ও রুবেল মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে পুলিশের সহায়তায় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার ভোরে সোনা মিয়া মার্কেট সংলগ্ন ইয়াপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তাহের মৃধার অফিস থেকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আরো ৪ বখাটেকে গ্রেপ্তার করে পুুলিশ। এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।