এক্সক্লুসিভ
এমপি হয়ে ফুলেফেঁপে উঠলো জাপা নেতা ইলিয়াছের সম্পদ
বাপ্পি শাহরিয়ার, চকরিয়া (কক্সবাজার) থেকে
৫ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৮:১০ পূর্বাহ্ন
জাপা নেতা হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছের গত ৫ বছরে বিপুল উন্নতি হয়েছে। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হলফনামায় পর্যালোচনা করে এমন তথ্য বের হয়েছে। তার নিজের নামে বাড়ি, গাড়িসহ অস্থাবর সম্পদ ও আয় বেড়েছে। পাশাপাশি তার কৃষিখাতে আয় কমলেও এমপি হয়ে ব্যবসা করে উন্নতি হয়েছে। তিনি এমপি হয়ে দুই তলা বাড়ি ও গাড়ির মালিকও হয়েছেন। হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ কক্সবাজার-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী। শিক্ষাগত যোগ্যতায় ইলিয়াছ ‘ফাজিল’ পাস উল্লেখ করেছেন। তার আয়ের উৎস ব্যবসা, কৃষি এবং চিংড়ি উৎপাদনকারী। মোহাম্মদ ইলিয়াছের হলফনামা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ৫ বছরে আয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমেছে, আবার কোনো ক্ষেত্রে বেড়েছে। তার নগদ টাকা কমেছে। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে অনেক বেশি। বাৎসরিক আয় বেড়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তবে কৃষিখাতে আয় কমেছে। গত ৫ বছরে কৃষিখাতে তার আয় কমেছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার কৃষিখাতে আয় ছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী তিনি ব্যবসা থেকে তার কোনো আয় ছিল না। একাদশে ব্যবসায় ৩ লাখ টাকা আয় ও সম্মানী ভাতা ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় দেখানো হয়েছে।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা রয়েছে ২ লাখ টাকা, যা পাঁচ বছর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ছিল ৩ লাখ টাকা। এবার তার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকা ২১ লাখ ২৯ হাজার ৬৩৬ টাকা। যা পাঁচ বছর আগে ছিল ৩ লাখ টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ৪৩ লাখ টাকার টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার দেখানো হয়েছে। দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেখা গেছে, তার নিজের নামে কোনো গাড়ি ছিল না। দশমের হলফনামায় নির্ভরশীলদের আয় না থাকলেও একাদশে ১০ হাজার টাকা আয় বেড়েছে। তিনি এমপি হয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৬০ লাখ ৮৯ হাজার ৬৩৬ টাকা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আসবাবপত্র মূল্য ছিল ১ লাখ ও ইলেকট্রনিক ১ লাখ টাকা। আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্যও আগের মতো রয়েছে। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ১ লাখ ৫০ হাজার ছিল। এবার কমে নগদ ৫০ হাজার টাকা আছে। পাঁচ বছর আগের মতো এবারো তার স্ত্রীর অলংকারাদির মূল্য ৬ লাখ টাকা।
স্থাবর সম্পদ আগে যা ছিল তাই আছে। তবে হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনে ১০ লাখ টাকার বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্টটি যৌথ মালিকায় থাকলেও এমপি হওয়ার পর নিজের নামে ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় করে দুইতলা বিশিষ্ট দালান নির্মাণ করেন। এতে তার স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে বহুগুণ। অর্থাৎ ৫ বছরে তার বাৎসরিক আয় প্রায় দুইগুণ ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে চারগুণ।
তবে ২০ একরের ৫ লাখ টাকার চিংড়ি ঘেরটি সরকারিভাবে লিজপ্রাপ্ত। হাজী ইলিয়াছ এমপি হওয়ার পর তার ও স্ত্রীর নগদ টাকা কমে গেছে ও নিজের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা পড়ার হিসেবে টাকা বেড়েছে বহুগুণ।
দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার কৃষিখাতে আয় ছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী তিনি ব্যবসা থেকে তার কোনো আয় ছিল না। একাদশে ব্যবসায় ৩ লাখ টাকা আয় ও সম্মানী ভাতা ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় দেখানো হয়েছে।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা রয়েছে ২ লাখ টাকা, যা পাঁচ বছর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ছিল ৩ লাখ টাকা। এবার তার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকা ২১ লাখ ২৯ হাজার ৬৩৬ টাকা। যা পাঁচ বছর আগে ছিল ৩ লাখ টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ৪৩ লাখ টাকার টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার দেখানো হয়েছে। দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেখা গেছে, তার নিজের নামে কোনো গাড়ি ছিল না। দশমের হলফনামায় নির্ভরশীলদের আয় না থাকলেও একাদশে ১০ হাজার টাকা আয় বেড়েছে। তিনি এমপি হয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৬০ লাখ ৮৯ হাজার ৬৩৬ টাকা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আসবাবপত্র মূল্য ছিল ১ লাখ ও ইলেকট্রনিক ১ লাখ টাকা। আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্যও আগের মতো রয়েছে। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ১ লাখ ৫০ হাজার ছিল। এবার কমে নগদ ৫০ হাজার টাকা আছে। পাঁচ বছর আগের মতো এবারো তার স্ত্রীর অলংকারাদির মূল্য ৬ লাখ টাকা।
স্থাবর সম্পদ আগে যা ছিল তাই আছে। তবে হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনে ১০ লাখ টাকার বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্টটি যৌথ মালিকায় থাকলেও এমপি হওয়ার পর নিজের নামে ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় করে দুইতলা বিশিষ্ট দালান নির্মাণ করেন। এতে তার স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে বহুগুণ। অর্থাৎ ৫ বছরে তার বাৎসরিক আয় প্রায় দুইগুণ ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে চারগুণ।
তবে ২০ একরের ৫ লাখ টাকার চিংড়ি ঘেরটি সরকারিভাবে লিজপ্রাপ্ত। হাজী ইলিয়াছ এমপি হওয়ার পর তার ও স্ত্রীর নগদ টাকা কমে গেছে ও নিজের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা পড়ার হিসেবে টাকা বেড়েছে বহুগুণ।