এক্সক্লুসিভ
এমপি মতিনের সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
৫ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৮:১০ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের বর্তমান এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল মতিন বিগত পাঁচ বছরে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। হয়েছেন গাড়ি-বাড়ির মালিক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি মহাজোটের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পুনরায় দলে ফিরে সভাপতির দায়িত্বও পান। দুটি নির্বাচনের ফাঁকে তিনি কোটি টাকা এবং দুটি দামি গাড়ির মালিক হয়েছেন। স্থাবর (জমিজমা) সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ। নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামায় পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় এইচএসসি পাস মো. আবদুল মতিনের পেশা ছিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ২০১৮ সালে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে কৃষি উল্লেখ করেছেন। পূর্বেকার পেশা অর্থাৎ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থেকে পাওয়া সম্মানী থেকে তার বছরে আয় হতো ২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে মাত্র ৪০ হাজার টাকা ছিল। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৪০ হাজার টাকার বৈদ্যুতিক সামগ্রী এবং ৪০ হাজার টাকার আসবাবসমাগ্রী ছিল। যৌথ মালিকানায় ৫ একর স্থাবর সম্পদ ছিল।
শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো পরিবর্তন না হলেও অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজের নামে ৬০ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩ টাকা নগদ রয়েছে। ব্যাংকে জমা আছে ৪৫ লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ টাকা। ব্যাংকে এবং নগদ অর্থ মোট এক কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ৪৯৩ টাকা। ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের একটি এবং ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের আরেকটি নোহা ব্রান্ডের গাড়ি রয়েছে। স্ত্রীর ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার বৃদ্ধি পেয়ে পরিণত হয়েছে ১১৮ ভরিতে। ৮০ হাজার টাকা মূল্যের বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও ৭০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবসামগ্রী রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। অস্থাবর সম্পদের বিবরণীতে নিজের নামে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১২৪ শতক কৃষি জমি, ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ৩৩ শতক অকৃষি জমি আছে। তার কোনো ঋণ বা দায় নেই।
নিজের এবং স্ত্রীর বিপুল অর্থ সম্পদ সম্পর্কে মো. আবদুল মতিন এমপি দাবি করেন, সাংসদ হিসেবে তিনি প্রতি মাসে প্রচুর টাকা সম্মানী পান। সম্মানীও বেড়েছে। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ কারণে নগদ ও ব্যাংকে টাকা বেড়েছে। কিনেছেন গাড়ি। সরকারিভাবে তিনি কিছু জমিও পেয়েছেন। এসব বিপুল সম্পদ অর্জনের পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই বলে তিনি দাবি করেন।
২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় এইচএসসি পাস মো. আবদুল মতিনের পেশা ছিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ২০১৮ সালে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে কৃষি উল্লেখ করেছেন। পূর্বেকার পেশা অর্থাৎ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থেকে পাওয়া সম্মানী থেকে তার বছরে আয় হতো ২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে মাত্র ৪০ হাজার টাকা ছিল। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৪০ হাজার টাকার বৈদ্যুতিক সামগ্রী এবং ৪০ হাজার টাকার আসবাবসমাগ্রী ছিল। যৌথ মালিকানায় ৫ একর স্থাবর সম্পদ ছিল।
শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো পরিবর্তন না হলেও অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজের নামে ৬০ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩ টাকা নগদ রয়েছে। ব্যাংকে জমা আছে ৪৫ লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ টাকা। ব্যাংকে এবং নগদ অর্থ মোট এক কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ৪৯৩ টাকা। ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের একটি এবং ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের আরেকটি নোহা ব্রান্ডের গাড়ি রয়েছে। স্ত্রীর ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার বৃদ্ধি পেয়ে পরিণত হয়েছে ১১৮ ভরিতে। ৮০ হাজার টাকা মূল্যের বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও ৭০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবসামগ্রী রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। অস্থাবর সম্পদের বিবরণীতে নিজের নামে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১২৪ শতক কৃষি জমি, ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ৩৩ শতক অকৃষি জমি আছে। তার কোনো ঋণ বা দায় নেই।
নিজের এবং স্ত্রীর বিপুল অর্থ সম্পদ সম্পর্কে মো. আবদুল মতিন এমপি দাবি করেন, সাংসদ হিসেবে তিনি প্রতি মাসে প্রচুর টাকা সম্মানী পান। সম্মানীও বেড়েছে। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ কারণে নগদ ও ব্যাংকে টাকা বেড়েছে। কিনেছেন গাড়ি। সরকারিভাবে তিনি কিছু জমিও পেয়েছেন। এসব বিপুল সম্পদ অর্জনের পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই বলে তিনি দাবি করেন।