দেশ বিদেশ
অস্ত্র ব্যবসায় শতকোটি টাকার মালিক ফারুক গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
দরিদ্র পরিবারের সন্তান গোলাম ফারুক। বাড়ি চাঁপাই নবাবগঞ্জে। ২০০৯ সালে খালি হাতে আসেন রাজধানী ঢাকায়। কিন্তু তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে বেশি সময় লাগেনি। পরিচয় হয়ে যায় গাজীপুরের একটি গ্রুপের সঙ্গে। সেই গ্রুপের সঙ্গে থেকেই শুরু হয় অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা। রাতারাতি কোটিপতি বনে যান। সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার মাদক ও মানি লন্ডারিং মামলার সূত্র ধরে গোলাম ফারুক ও তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার এ্যানিকে আটকের পর এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। তারা দুজন আটটি মামলার আসামি। গতকাল মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
মোল্যা নজরুল জানান, ২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় একটি মাদকের মামলা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হক ভুট্টো, তার বড় ভাই, ভাগ্নে এবং বিকাশ এজেন্টসহ ১৭ জনের নামে ২০১৭ সালের ২৯শে আগস্ট টেকনাফ থানায় একটি মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলায় গোলাম ফারুক ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুট্টোর মামলায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই দম্পতি ঢাকায় আসার পর অস্ত্র ব্যবসার পাশাপাশি গার্মেন্ট ব্যবসা খুলেন। তার কিছুদিন পর শুরু করেন ইয়াবা ব্যবসা। তারা প্রথমে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হক ভুট্টোর চাচা গুড়া মিয়ার কাছ থেকে ইয়াবা এনে ব্যবসা করতেন। গোলাম ফারুক পরে নুরুল হক ভুট্টো এবং তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ইয়াবা এনে ব্যবসা করতে থাকেন। ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসার টাকা দিয়ে একসময় ফারুক শতকোটি টাকার মালিক বনে যান।
নজরুল বলেন, গোলাম ফারুক অবৈধ ব্যবসা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তিনি এলেজা এক্সপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি মেশিনারি ফ্যাক্টরি গড়ে তোলেন। যেখানে কয়েক কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। এ ছাড়াও তার এবং স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে অনেক টাকা রয়েছে। এ ছাড়া তাদের বাড়ি, জমি, মাইক্রোবাস আছে। তদন্তে বের হয়ে এসেছে ফারুকের নামে তেজগাঁও, উত্তরা পূর্ব থানা, চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা সদর থানা এবং একই জেলার শিবগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন থানায় আটটি মাদকের মামলা রয়েছে। তদন্তকালে তাদের শত কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা শিগগিরই বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা করার ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ সুপার জানান, ফারুক ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তারের আগে মাদকের গডফাদার নুরুল হক ভুট্টোর সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেনের সূত্র ধরে মিরপুর থেকে আরেক মাদক ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন ইমন, তার স্ত্রী সানিয়া আফরোজ ও ছেলে সালাউদ্দিন প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে নুরুলের বড় ভাই নুর মোহাম্মদের সঙ্গে লেনদেনের সূত্র ধরে মিরপুর বিহারী ক্যাম্পের মাদক সম্রাজ্ঞী রুপা ইসলাম, তার স্বামী আল আমিন, সহযোগী রিয়াজ, ফয়সাল এবং বিকাশের এজেন্ট জনি ও কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে নরসিংদী থেকে মাদকের ডিলার রায়হান, আসাদুজ্জামান, স্বপন, কেরানীগঞ্জের বিকাশ এজেন্ট আব্বাস, টঙ্গীর মাদক সম্রাজ্ঞী রানী, তার সহযোগী নাইম, ইব্রাহিম, বিকাশ এজেন্ট শাহজালাল, নাসির উদ্দিন সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া নুরুল হক ভুট্টোর সঙ্গে লেনদেনের সূত্র ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুসা মিয়া, জয়পুরহাটের আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মোল্যা নজরুল জানান, ২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় একটি মাদকের মামলা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হক ভুট্টো, তার বড় ভাই, ভাগ্নে এবং বিকাশ এজেন্টসহ ১৭ জনের নামে ২০১৭ সালের ২৯শে আগস্ট টেকনাফ থানায় একটি মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলায় গোলাম ফারুক ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুট্টোর মামলায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই দম্পতি ঢাকায় আসার পর অস্ত্র ব্যবসার পাশাপাশি গার্মেন্ট ব্যবসা খুলেন। তার কিছুদিন পর শুরু করেন ইয়াবা ব্যবসা। তারা প্রথমে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হক ভুট্টোর চাচা গুড়া মিয়ার কাছ থেকে ইয়াবা এনে ব্যবসা করতেন। গোলাম ফারুক পরে নুরুল হক ভুট্টো এবং তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ইয়াবা এনে ব্যবসা করতে থাকেন। ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসার টাকা দিয়ে একসময় ফারুক শতকোটি টাকার মালিক বনে যান।
নজরুল বলেন, গোলাম ফারুক অবৈধ ব্যবসা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তিনি এলেজা এক্সপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি মেশিনারি ফ্যাক্টরি গড়ে তোলেন। যেখানে কয়েক কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। এ ছাড়াও তার এবং স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে অনেক টাকা রয়েছে। এ ছাড়া তাদের বাড়ি, জমি, মাইক্রোবাস আছে। তদন্তে বের হয়ে এসেছে ফারুকের নামে তেজগাঁও, উত্তরা পূর্ব থানা, চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা সদর থানা এবং একই জেলার শিবগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন থানায় আটটি মাদকের মামলা রয়েছে। তদন্তকালে তাদের শত কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা শিগগিরই বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা করার ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ সুপার জানান, ফারুক ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তারের আগে মাদকের গডফাদার নুরুল হক ভুট্টোর সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেনের সূত্র ধরে মিরপুর থেকে আরেক মাদক ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন ইমন, তার স্ত্রী সানিয়া আফরোজ ও ছেলে সালাউদ্দিন প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে নুরুলের বড় ভাই নুর মোহাম্মদের সঙ্গে লেনদেনের সূত্র ধরে মিরপুর বিহারী ক্যাম্পের মাদক সম্রাজ্ঞী রুপা ইসলাম, তার স্বামী আল আমিন, সহযোগী রিয়াজ, ফয়সাল এবং বিকাশের এজেন্ট জনি ও কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে নরসিংদী থেকে মাদকের ডিলার রায়হান, আসাদুজ্জামান, স্বপন, কেরানীগঞ্জের বিকাশ এজেন্ট আব্বাস, টঙ্গীর মাদক সম্রাজ্ঞী রানী, তার সহযোগী নাইম, ইব্রাহিম, বিকাশ এজেন্ট শাহজালাল, নাসির উদ্দিন সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া নুরুল হক ভুট্টোর সঙ্গে লেনদেনের সূত্র ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুসা মিয়া, জয়পুরহাটের আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।