খেলা
প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে টেস্ট দলে সাদমান
স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ নভেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
জাতীয় দলের মাত্র দু’জন ক্রিকেটার খেলছিলেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দল অনুশীলন করছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। কেবল সেখানে নয়, প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের নজর ছিল এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের প্রস্তুতি ম্যাচের দিকেও। টাইগারদের কোচ হিসেবে যোগ দেয়ার পর থেকে তিনি শুধু আন্তর্জাতিকই নয় চোখ রেখে আসছেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও। এমনকি তাকে বেশ সময় ধরে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেও দেখা যায়। এর কারণ একটাই শুধু পুরানো শিষ্যদেরই নয় তিনি চোখ রাখছেন ভবিষ্যতের ক্রিকেটারের দিকেও। গত দুদিন প্রস্তুতি ম্যাচ দেখার তার পরিশ্রম স্বার্থক। এখানেই তার চোখ পড়েছে ২৩ বছর বয়সী তরুণ ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম অনিকের ওপর। এই ম্যাচের দ্বিতীয়দিনে বিসিবি একাদশের হয়ে সাদমান খেলেছেন ৭৩ রানের দারুণ ইনিংস। তাতেই দেরি না করে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলেও নিতে সবুজ সংকেত দিয়েছেন কোচ। তাতেই বিসিবি এক সংবাদ বার্তায় জানিয়ে দিয়েছে টেস্ট দলে অনিকের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই তরুণ ক্রিকেটার বেশ কয়েকবছর ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পরিশ্রম করে আসছিল। সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লীগে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রানের মালিক তিনি। কিন্তু শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমেন্সের ওপর দলে নেয়ার ঝুঁকি নেয়নি নির্বাচকরা। তাকে রাখা হয়েছে বিসিবি একাদশে। হঠাৎ করেই দলে ডাক পাওয়াতে একটু অবাক হলেও সাদমান সামনের দিকে তাকিয়ে। গতকাল মুঠোফোনে দৈনিক মানবজমিনকে সাদমান বলেন, ‘ভালো লাগছে, আসলে অনেকদিন থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরমেন্স করে আসছি। এমন একটি সুযোগের অপেক্ষাতে ছিলামও। কিন্তু জাতীয় দলে ডাক পাওয়াই বড় কথা নয়। সেখানে টিকে থাকাটাই আসল। এখন আমি জানি না একাদশে সুযোগ পাব কি না। তবে, যদি পাই এমন কিছু করতে চাই যেন জায়গাটা ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখতে পারি।’ এখন পর্যন্ত ৪২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন অনিক। সেখানে ৭ সেঞ্চুরি ও ১৬ ফিফটিতে করেছেন ৩০২৩ রান।
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দু’দিনের ম্যাচের দ্বিতীয়দিন ব্যাট করতে নামে বিসিবি একাদশ। সেখানে সৌম্য ও সাদমানের ব্যাটে দারুণ শুরু করে। ক্যারিবিয়ান পেস বোলারদের ভালোভাবেই সামলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ৭৫ ওভার খেলে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান সংগ্রহ করে বিসিবি একাদশ। এর আগে সফরকারী দল সংগ্রহ করেছিল ৩০৩ রান ৬ উইকেট হারিয়ে। এরপর ইনিংস ঘোষণা করলে দ্বিতীয়দিন ব্যাটিংয়ে নামে বিসিবি একাদশ। গতকাল দিনের প্রথম সেশন পুরোপুরিই নিজেদের করে নিয়েছিল একাদশের দুই ওপেনার সৌম্য ও ইসলাম। কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েলদের বলা যায় পাত্তাই দেয়নি তারা। প্রথম সেশনেই বিনা উইকেটে ৮৫ যোগ করে তারা। দিনের দ্বিতীয় সেশনে এসে উইকেটের দেখা পায় উইন্ডিজ। সৌম্য-সাদমানের ১২৬ রানের জুটি ভাঙেন জোমেল ওয়ারিকেন। ৭৮ রান করা সৌম্যকে ফেরান তিনি। সৌম্যর বিদায়ে সাদমানের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়া নাজমুল হাসান শান্ত আউট হন মাত্র ২১ রান করে। বোল্ড রোচের বলে। এরপরেই রান আউট হয়ে ফিরেছেন ৭৩ রান করা সাদমান। তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকির হাসানও উইকেটে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। গ্যাব্রিয়েলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ১৮ রান করে।
অন্যদিকে, প্রস্তুতি ম্যাচেও হতাশ করেছেন দল থেকে বাদ পড়া লিটন দাস। মাত্র ১ রান নিয়ে আউট হন তিনি। তবে, একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেন মিঠুন। ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে নিয়ে দিনের ৭৫ ওভার পর্যন্ত খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্র তেই শেষ হয়।
জাতীয় দলে থাকা সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন কোচকে মোটেও হতাশ করেননি। ৭০ বলে মিঠুন খেলেছেন ২৭ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে তার অভিষেক হয়। প্রথম ইনিংসে ০তে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। সেই সঙ্গে কোচের চোখ পড়ে সাদমানের দিকেও। আসলে জাতীয় লীগে ব্যাট হাতে ভালো করার পর থেকেই তাকে দলের নেয়ার বিষয়ে ভাবছিল নির্বাচকরা। পারফরমেন্স দেখে শেষ পর্যন্ত তাকে নিতে কোনো দ্বিধা করেননি কোচ।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই তরুণ ক্রিকেটার বেশ কয়েকবছর ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পরিশ্রম করে আসছিল। সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লীগে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রানের মালিক তিনি। কিন্তু শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমেন্সের ওপর দলে নেয়ার ঝুঁকি নেয়নি নির্বাচকরা। তাকে রাখা হয়েছে বিসিবি একাদশে। হঠাৎ করেই দলে ডাক পাওয়াতে একটু অবাক হলেও সাদমান সামনের দিকে তাকিয়ে। গতকাল মুঠোফোনে দৈনিক মানবজমিনকে সাদমান বলেন, ‘ভালো লাগছে, আসলে অনেকদিন থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরমেন্স করে আসছি। এমন একটি সুযোগের অপেক্ষাতে ছিলামও। কিন্তু জাতীয় দলে ডাক পাওয়াই বড় কথা নয়। সেখানে টিকে থাকাটাই আসল। এখন আমি জানি না একাদশে সুযোগ পাব কি না। তবে, যদি পাই এমন কিছু করতে চাই যেন জায়গাটা ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখতে পারি।’ এখন পর্যন্ত ৪২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন অনিক। সেখানে ৭ সেঞ্চুরি ও ১৬ ফিফটিতে করেছেন ৩০২৩ রান।
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দু’দিনের ম্যাচের দ্বিতীয়দিন ব্যাট করতে নামে বিসিবি একাদশ। সেখানে সৌম্য ও সাদমানের ব্যাটে দারুণ শুরু করে। ক্যারিবিয়ান পেস বোলারদের ভালোভাবেই সামলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ৭৫ ওভার খেলে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান সংগ্রহ করে বিসিবি একাদশ। এর আগে সফরকারী দল সংগ্রহ করেছিল ৩০৩ রান ৬ উইকেট হারিয়ে। এরপর ইনিংস ঘোষণা করলে দ্বিতীয়দিন ব্যাটিংয়ে নামে বিসিবি একাদশ। গতকাল দিনের প্রথম সেশন পুরোপুরিই নিজেদের করে নিয়েছিল একাদশের দুই ওপেনার সৌম্য ও ইসলাম। কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েলদের বলা যায় পাত্তাই দেয়নি তারা। প্রথম সেশনেই বিনা উইকেটে ৮৫ যোগ করে তারা। দিনের দ্বিতীয় সেশনে এসে উইকেটের দেখা পায় উইন্ডিজ। সৌম্য-সাদমানের ১২৬ রানের জুটি ভাঙেন জোমেল ওয়ারিকেন। ৭৮ রান করা সৌম্যকে ফেরান তিনি। সৌম্যর বিদায়ে সাদমানের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়া নাজমুল হাসান শান্ত আউট হন মাত্র ২১ রান করে। বোল্ড রোচের বলে। এরপরেই রান আউট হয়ে ফিরেছেন ৭৩ রান করা সাদমান। তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকির হাসানও উইকেটে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। গ্যাব্রিয়েলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ১৮ রান করে।
অন্যদিকে, প্রস্তুতি ম্যাচেও হতাশ করেছেন দল থেকে বাদ পড়া লিটন দাস। মাত্র ১ রান নিয়ে আউট হন তিনি। তবে, একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেন মিঠুন। ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে নিয়ে দিনের ৭৫ ওভার পর্যন্ত খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্র তেই শেষ হয়।
জাতীয় দলে থাকা সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন কোচকে মোটেও হতাশ করেননি। ৭০ বলে মিঠুন খেলেছেন ২৭ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে তার অভিষেক হয়। প্রথম ইনিংসে ০তে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। সেই সঙ্গে কোচের চোখ পড়ে সাদমানের দিকেও। আসলে জাতীয় লীগে ব্যাট হাতে ভালো করার পর থেকেই তাকে দলের নেয়ার বিষয়ে ভাবছিল নির্বাচকরা। পারফরমেন্স দেখে শেষ পর্যন্ত তাকে নিতে কোনো দ্বিধা করেননি কোচ।