বাংলারজমিন

মদনপুর রণক্ষেত্র পুলিশসহ আহত অর্ধশত

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে

১৯ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন

পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক ইউপি মেম্বারকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে এবং মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে তিনটি সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পরে পুলিশ বেশ কিছু টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মদনপুর বাসস্ট্যান্ড পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আমির গ্রুপ ও খলিলুর রহমান খলিল মেম্বার গ্রুপ এবং পুলিশের মধ্যে রোববার দুপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যদিও খলিল ও আমির গ্রুপের মধ্যে এর আগেও একাধিকবার সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। দুটি গ্রুপই ক্ষমতাসীন দলের আশীর্বাদপুষ্ট। প্রতিদিন মদনপুর স্ট্যান্ডের ৫০০ ইজিবাইক ও সিএনজি থেকে গড়ে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা উঠানো হয়। এ নিয়েই উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বর্তমানে উভয় শিবিরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খলিল মেম্বারকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে তার অনুসারীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে বন্দরের মদনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এবং প্রতিপক্ষ আমির হোসেন ও তার অনুসারীদের বাড়িঘর ও মার্কেটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ওই সময় আমির হোসেন ও তার লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুললে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আমির হোসেন ও তার অনুসারীরা পিছু হটলে খলিল মেম্বারের লোকজন পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। খলিল মেম্বারের ক্ষুব্ধ অনুসারীরা ওই সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টা অবরোধের কারণে ওই সড়কটিতে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। পরে বিকাল ৪টার দিকে সাঁজোয়া যান নিয়ে দাঙ্গা পুলিশ এবং র‌্যাব ঘটনাস্থলে গিয়েও পরিস্থিতি শান্ত করতে ব্যর্থ হয়। পরে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলাকারীদের আইনে আওতায় আনা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলে উত্তেজিত গ্রামবাসী শান্ত হয়ে রাস্তা থেকে সরে যায়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status