দেশ বিদেশ

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার

স্টাফ রিপোর্টার

১৮ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরু হচ্ছে আজ। সকাল ৯টা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎকার পর্ব শুরু হবে। প্রতিদিন দুই পর্বে চারদিনে সম্পন্ন করা হবে এ সাক্ষাৎকার। প্রথমদিন দলের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে সাক্ষাৎকার দেবেন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। সাক্ষাৎকার পর্বে প্রথম মনোনয়ন বোর্ডের মুখোমুখি হবেন পঞ্চগড়-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। তার পিতা ওই আসনের সাবেক এমপি ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার এবার নির্বাচন করছেন না। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি দলের মনোনয়ন বোর্ডে থাকবেন। প্রথম দিন সকাল ৯টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও বেলা আড়াইটা থেকে রাজশাহী বিভাগের সাক্ষাৎকার হবে। ১৯শে নভেম্বর সোমবার সকালে খুলনা ও বিকালে বরিশাল বিভাগের, ২০শে নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ও বিকালে কুমিল্লা ও সিলেট বিভাগের, ২১শে নভেম্বর বুধবার সকালে ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর এবং বিকালে ঢাকা বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে। বিভাগওয়ারি সাক্ষাৎকারের সময় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাদের সমর্থকদের সঙ্গে করে আনলে তা অসদাচরণ হিসাবে গণ্য হবে বলে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এর আগে গত শুক্রবার শেষ হয় দলটির ৫ দিনব্যাপী মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমাদান পর্ব। তবে গতকালও সকাল থেকেই নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্র্রীয় কার্যালয় ছিল জমজমাট। ফরম সংগ্রহ করে যারা নির্ধারিত সময়ে নানা কারণে জমা দিতে পারেননি তাদের ফরম জমা নেয়া হয়েছে সারাদিন। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, পাঁচ দিনে ৪১১২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। তবে জমা পড়েছে প্রায় তিন হাজার। রিজভী জানান, আমাদের দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫৮০টি। ফরম জমাদান চলছে। নানা কারণে অনেকেই শুক্রবারের মধ্যে জমা দিতে পারেননি। তাই শনিবারও ফরম জমা নিচ্ছি। জমার পরিমাণটা পরবর্তীতে আমরা আপনাদের জানাবো। দলীয় সূত্র জানায়, শুধু মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেই পাঁচ দিনে দলের তহবিলে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা জমিয়েছে বিএনপি।
মানুষের মন থেকে ভীতি দূর করতে পারেনি কমিশন: রিজভী
রিজভী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপিসহ ২০দলীয় জোট এমনকি আওয়ামী জোট ছাড়া অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার দাবি করছে। কারণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের যাবতীয় কার্যক্রম এখনো বাকি রয়েছে, তফসিল ঘোষণার সপ্তাহ পরে চলছে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ। অন্যান্য নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগই দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, নির্বাচনী গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দলবাজ কর্মকর্তারা বহাল আছেন।
 তাদের সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষভাবে প্রশাসন সাজানো হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে সাজানো হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের ন্যূনতম কোনো পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি কমিশন। মানুষের মন থেকে ভীতি দূর করতে পারেনি। ভোট দেয়া দুরে থাক, মানুষ নির্ভয়ে মুখ খুলে কথা বলবে এমন পরিস্থিতিও দেশে নেই। রিজভী বলেন, বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। কিন্তু এখনো বর্তমান সরকার বহাল আছে। একবার বলা হয় নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করা হবে, আবার বলা হয় এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার। অথচ নির্বাচনকালীন সরকার বলতে সংবিধানে কিছুই নেই। সংসদও ভেঙে দেয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করার পরও আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা, এমপিরা উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্বোধনসহ নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন লাভজনক পদে তারা এখনো দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের দায়িত্ব পালন সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের কোনো আচরণবিধি এখনো তৈরি হয়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তারা যারা ডিসি পদমর্যাদার লোক তারা কীভাবে মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ন্ত্রণে রাখবেনÑ এ প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে। তারা সর্বদা মন্ত্রী-এমপিদের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আছেন। আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে  যে সক্ষম হবে তা মোটেও সম্ভব নয়। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে হানাহানি ও সহিংসতায় তফসিল ঘোষণার পর ৬ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরো অর্ধশত। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিন্দু পরিমাণ কোনো পরিবেশ নেই। এতসব ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন পিছিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করা অত্যাবশ্যক। রিজভী বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়Ñ একজন কমিশনারের মেয়ের বিয়ে, তাই ৩রা জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কমিশন একমত হলে ওই কমিশনার বাদ সাধেন। এছাড়া জানুয়ারির মাঝামাঝিতে বিশ^ ইজতেমা। তাই নির্বাচন পেছানো যাবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিশ^ ইজতেমা স্থগিত করা হয়েছে। তাই বিরোধী দলগুলোর দাবি অনুযায়ী নির্বাচন তিন সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানাচ্ছি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status