বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে রশিদ ছাড়া এসএসসি’র অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৭ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করে রশিদ ছাড়াই শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম ফিলাপের নামে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন অতিরিক্ত ফি না নেয়ার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করার পরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকার কোনো প্রকার রশিদ না দিয়েই রেজিস্ট্রেশন ফি, কোচিং ফিসহ অন্যান্য খাতে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। এ বিষয়ে মুখ খুললে পরীক্ষায় নানা জটিলতা ও ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কাসহ ছেলেমেয়েদের শিক্ষালাভের কথা চিন্তা করে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা ভয়ে এর প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমদ বলেন, গত ১৪ই অক্টোবর শিক্ষা বিভাগের ওয়েব সাইটে একজন নিয়মিত পরীক্ষার্থী মোট ফি ১ হাজার ৮২০ টাকা, মানবিক বিভাগের পরীক্ষার ফি ১ হাজার ৭৩০ টাকা, ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষার ১ হাজার ৬৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি এবং কেন্দ্র ফি ৩৫০ টাকা ছাড়া অতিরিক্ত কোনো টাকা ফি এর সঙ্গে নেয়া যাবে না। বোর্ডের নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত ফি না নিতে আমরা প্রতি বছরেই নির্দেশনা দেই। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান তা মানছে না। স্থানীয় প্রশাসন এসব অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে বলে জানান তিনি।
অথচ উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্ধারিত বোর্ড ফি ছাড়া কেন্দ্র ফি ৩৫০ টাকা ও ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত তিন মাসের বেতন, কোচিং ফিসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে। কোনো বিদ্যালয়ে কোনো রশিদ না দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত কোচিংসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। সরজমিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়-কোচিং ফি, তিন মাসের অগ্রিম বেতন ও অন্যান্য উন্নয়ন খাত দেখিয়ে কোন প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত ফরম পূরণের সময় ফি নেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ জানান, বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শাখায় নেয়া হয়েছে ৪,৯০০ ও মানবিকে ৪,৮০০ টাকা, হাজী রশিদমিয়া মেহেরজান উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৪,০০০ ও মানবিকে ৩,৯০০ টাকা, বিষামণি উচ্চ বিদ্যালয়ে মানবিকে ৩,৫০০ টাকা, মোহাজেরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে মানবিকে ও ব্যবসা শিক্ষায় নেয়া হয় ৩,৮৬৫ টাকা, সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৩,২৩০ ও মানবিকে ৩,২২০ টাকা, বেগম রাসুলজান আবদুল বারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৩,৪০০ ও মানবিকে ৩,৩১০ টাকা, আবদুল ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৩,৭৩৫ ও মানবিকে ৩,৫৮৫ টাকা, ভূনবীর দশরথ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৩,২৪৫ ও মানবিকে ৩,১৫৫টাকা, কাকিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে মানবিকে ৩,২০০টাকা, হাজী আবদুল গফুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিজ্ঞানে ৩,২০০ ও মানবিকে ৩,০০০ টাকা, বর্ডার গার্ড পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে ৪০৫০ ও মানবিকে ৩৯৬০ টাকা, উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ২,৬০০ ও মানবিকে ২৫০০ টাকাসহ মাদরাসাগুলোতে কোনো ধরনের রশিদ ছাড়া ২,৫০০ টাকা করে ফরম পূরণের ফি আদায় করা হচ্ছে। একই অভিযোগ রয়েছে, ভিক্টেরিয়া, সরকারি বালিকা, আছিদ উল্লা, র্যানার উচ্চ বিদ্যালয়, ধোবারহাট উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট মার্থাস উচ্চ বিদ্যালয়, মনাই উল্লাহ, শাহ মোস্তফা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরে। এ প্রসঙ্গে বর্ডার গার্ড পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিশী কান্ত দেব অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে না দাবি করে বলেন, ‘বকেয়া ফির টাকাসহ বিজ্ঞান বিভাগে ১৯৫০ ও মানবিকে ১৮৬০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোচিং ফি ২১০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। রশিদ না দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা রিসিট দিমু। স্যাররা জেএসসি পরীক্ষায় থাকায় তাড়াহুড়া করে দু’দিনে টাকা-পয়সা নেয়া হয়েছে। রিসিট দেয়া হবে।’
স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন অতিরিক্ত ফি না নেয়ার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করার পরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকার কোনো প্রকার রশিদ না দিয়েই রেজিস্ট্রেশন ফি, কোচিং ফিসহ অন্যান্য খাতে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। এ বিষয়ে মুখ খুললে পরীক্ষায় নানা জটিলতা ও ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কাসহ ছেলেমেয়েদের শিক্ষালাভের কথা চিন্তা করে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা ভয়ে এর প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমদ বলেন, গত ১৪ই অক্টোবর শিক্ষা বিভাগের ওয়েব সাইটে একজন নিয়মিত পরীক্ষার্থী মোট ফি ১ হাজার ৮২০ টাকা, মানবিক বিভাগের পরীক্ষার ফি ১ হাজার ৭৩০ টাকা, ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষার ১ হাজার ৬৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি এবং কেন্দ্র ফি ৩৫০ টাকা ছাড়া অতিরিক্ত কোনো টাকা ফি এর সঙ্গে নেয়া যাবে না। বোর্ডের নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত ফি না নিতে আমরা প্রতি বছরেই নির্দেশনা দেই। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান তা মানছে না। স্থানীয় প্রশাসন এসব অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে বলে জানান তিনি।
অথচ উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্ধারিত বোর্ড ফি ছাড়া কেন্দ্র ফি ৩৫০ টাকা ও ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত তিন মাসের বেতন, কোচিং ফিসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে। কোনো বিদ্যালয়ে কোনো রশিদ না দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত কোচিংসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। সরজমিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়-কোচিং ফি, তিন মাসের অগ্রিম বেতন ও অন্যান্য উন্নয়ন খাত দেখিয়ে কোন প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত ফরম পূরণের সময় ফি নেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ জানান, বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শাখায় নেয়া হয়েছে ৪,৯০০ ও মানবিকে ৪,৮০০ টাকা, হাজী রশিদমিয়া মেহেরজান উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৪,০০০ ও মানবিকে ৩,৯০০ টাকা, বিষামণি উচ্চ বিদ্যালয়ে মানবিকে ৩,৫০০ টাকা, মোহাজেরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে মানবিকে ও ব্যবসা শিক্ষায় নেয়া হয় ৩,৮৬৫ টাকা, সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৩,২৩০ ও মানবিকে ৩,২২০ টাকা, বেগম রাসুলজান আবদুল বারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৩,৪০০ ও মানবিকে ৩,৩১০ টাকা, আবদুল ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৩,৭৩৫ ও মানবিকে ৩,৫৮৫ টাকা, ভূনবীর দশরথ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৩,২৪৫ ও মানবিকে ৩,১৫৫টাকা, কাকিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে মানবিকে ৩,২০০টাকা, হাজী আবদুল গফুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিজ্ঞানে ৩,২০০ ও মানবিকে ৩,০০০ টাকা, বর্ডার গার্ড পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে ৪০৫০ ও মানবিকে ৩৯৬০ টাকা, উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ২,৬০০ ও মানবিকে ২৫০০ টাকাসহ মাদরাসাগুলোতে কোনো ধরনের রশিদ ছাড়া ২,৫০০ টাকা করে ফরম পূরণের ফি আদায় করা হচ্ছে। একই অভিযোগ রয়েছে, ভিক্টেরিয়া, সরকারি বালিকা, আছিদ উল্লা, র্যানার উচ্চ বিদ্যালয়, ধোবারহাট উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট মার্থাস উচ্চ বিদ্যালয়, মনাই উল্লাহ, শাহ মোস্তফা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরে। এ প্রসঙ্গে বর্ডার গার্ড পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিশী কান্ত দেব অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে না দাবি করে বলেন, ‘বকেয়া ফির টাকাসহ বিজ্ঞান বিভাগে ১৯৫০ ও মানবিকে ১৮৬০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোচিং ফি ২১০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। রশিদ না দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা রিসিট দিমু। স্যাররা জেএসসি পরীক্ষায় থাকায় তাড়াহুড়া করে দু’দিনে টাকা-পয়সা নেয়া হয়েছে। রিসিট দেয়া হবে।’