প্রথম পাতা
নির্বাচন পেছাবে না ইসির সিদ্ধান্ত
স্টাফ রিপোর্টার
১৬ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
নির্বাচন আর পেছানোর সুযোগ নেই এবং ৩০শে ডিসেম্বরই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সচিব জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন পেছানোর দাবির বিষয়টি পর্যালোচনা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল বিকালে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব বলেন, কমিশন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবিগুলো পর্যালোচনা করেছে। আগামী মাসে বেশকিছু আইনি এবং সাংবিধানিক বিষয় আছে, তাই হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে কাজগুলো করতে হবে।
কোথাও পুনঃনির্বাচন বা উপনির্বাচন বা তদন্ত করার প্রয়োজন হতে পারে। নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথের বিষয়ও আছে। এ ছাড়া বিশ্ব ইজতেমা জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ ও তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে নিয়োজিত থাকে। সবদিক বিবেচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ৩০শে ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন পেছানো যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবসম্মত হবে না। নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০শে ডিসেম্বরই নির্বাচন হবে। ঐক্যফ্রন্ট আশঙ্কা করেছে, ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচন হলে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অনেকে হয়তো আসতে পারবেন না। এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, এ দেশের জনগণ ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটারের বিষয় আগে বিবেচনা করবে। তবে বিদেশি পর্যবেক্ষককে ইসি সবসময় স্বাগত জানায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন বলেন, বিএনপি আগেই জানিয়েছে কোন কোন দল ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। আওয়ামী লীগও জানিয়েছে কোন কোন দল নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। দলগুলো আলাদাভাবেও জানিয়েছে। আওয়ামী লীগ জোট থেকে কারা কারা নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে চান তা তিনি তাৎক্ষণিক জানাতে পারেন নি। তবে সচিব বলেন, এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি এবং বিকল্পধারা আওয়ামী লীগের জোটে নেই। ইসি কোনো দলের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন বলেন, নির্বাচন কমিশন একটা স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই গ্রহণ করতে পারে। অন্য কারো সিদ্ধান্ত গ্রহণ কখনো করবে না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেহেতু স্টেক হোল্ডার বিভিন্ন বিষয়ে তারা ইসিকে পরামর্শ দিতে পারে।
ইভিএম ও সেনা মোতায়েন প্রশ্নে সচিব বলেন, স্বল্প পরিসরে শহর এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও সিদ্ধান্ত আছে। তবে কীভাবে, কতটুকু ব্যবহার করা হবে- সেটা সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। কবে মোতায়েন হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
ভোটের দুই থেকে দশদিন আগে সেনা মোতায়েন
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই থেকে তিনদিন অথবা সাত থেকে দশদিন আগে নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। একই সময়ে এসব এলাকায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও র্যাব মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার সকালে ইসিতে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এজন্য সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সেনাবাহিনী তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে। তাদের থাকার বন্দোবস্ত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকেই। কোথায় প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে- সেটা এখন থেকে ঠিক করে রাখতে হবে। কোথায় ফলাফল ঘোষণা করা হবে আর কোথা থেকে নির্বাচনী মালামাল সরবরাহ করা হবে তাও এখনই ঠিক করে রাখতে হবে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইসি সচিব বলেন, গত বুধবার পল্টনে শোডাউনকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনী পোস্টার ও ব্যানার সরিয়ে ফেলাসহ মাঠের পরিবেশের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ইসি সচিব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনার মাহবুব তালুকদার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলেন, সাহসিকতার সঙ্গে সবাইকে কাজ করতে হবে। কোনো কর্মকর্তা শিথিলতা দেখালে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ সময় নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি আরো বলেন, এবারের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুখ দেখানো যাবে না। কেউ নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চাইলে আইনের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়নে তৃণমূলের মতামত নিয়ে করা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন মাহবুব তালুকদার।
কোথাও পুনঃনির্বাচন বা উপনির্বাচন বা তদন্ত করার প্রয়োজন হতে পারে। নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথের বিষয়ও আছে। এ ছাড়া বিশ্ব ইজতেমা জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ ও তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে নিয়োজিত থাকে। সবদিক বিবেচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ৩০শে ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন পেছানো যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবসম্মত হবে না। নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০শে ডিসেম্বরই নির্বাচন হবে। ঐক্যফ্রন্ট আশঙ্কা করেছে, ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচন হলে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অনেকে হয়তো আসতে পারবেন না। এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, এ দেশের জনগণ ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটারের বিষয় আগে বিবেচনা করবে। তবে বিদেশি পর্যবেক্ষককে ইসি সবসময় স্বাগত জানায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন বলেন, বিএনপি আগেই জানিয়েছে কোন কোন দল ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। আওয়ামী লীগও জানিয়েছে কোন কোন দল নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। দলগুলো আলাদাভাবেও জানিয়েছে। আওয়ামী লীগ জোট থেকে কারা কারা নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে চান তা তিনি তাৎক্ষণিক জানাতে পারেন নি। তবে সচিব বলেন, এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি এবং বিকল্পধারা আওয়ামী লীগের জোটে নেই। ইসি কোনো দলের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন বলেন, নির্বাচন কমিশন একটা স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই গ্রহণ করতে পারে। অন্য কারো সিদ্ধান্ত গ্রহণ কখনো করবে না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেহেতু স্টেক হোল্ডার বিভিন্ন বিষয়ে তারা ইসিকে পরামর্শ দিতে পারে।
ইভিএম ও সেনা মোতায়েন প্রশ্নে সচিব বলেন, স্বল্প পরিসরে শহর এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও সিদ্ধান্ত আছে। তবে কীভাবে, কতটুকু ব্যবহার করা হবে- সেটা সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। কবে মোতায়েন হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
ভোটের দুই থেকে দশদিন আগে সেনা মোতায়েন
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই থেকে তিনদিন অথবা সাত থেকে দশদিন আগে নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। একই সময়ে এসব এলাকায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও র্যাব মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার সকালে ইসিতে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এজন্য সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সেনাবাহিনী তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে। তাদের থাকার বন্দোবস্ত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকেই। কোথায় প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে- সেটা এখন থেকে ঠিক করে রাখতে হবে। কোথায় ফলাফল ঘোষণা করা হবে আর কোথা থেকে নির্বাচনী মালামাল সরবরাহ করা হবে তাও এখনই ঠিক করে রাখতে হবে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইসি সচিব বলেন, গত বুধবার পল্টনে শোডাউনকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনী পোস্টার ও ব্যানার সরিয়ে ফেলাসহ মাঠের পরিবেশের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ইসি সচিব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনার মাহবুব তালুকদার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলেন, সাহসিকতার সঙ্গে সবাইকে কাজ করতে হবে। কোনো কর্মকর্তা শিথিলতা দেখালে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ সময় নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি আরো বলেন, এবারের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুখ দেখানো যাবে না। কেউ নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চাইলে আইনের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়নে তৃণমূলের মতামত নিয়ে করা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন মাহবুব তালুকদার।