দেশ বিদেশ

সিলেটে ৪টি আসন চায় জাতীয় পার্টি

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে

১৪ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

মহাজোটের কাছে সিলেটের ৬টি আসনের চারটিই চায় জাতীয় পার্টি। আগে ছিল দুটি, এখন আরো দুটি বাড়ানোর দাবি তাদের। অন্যদিকে- ‘অস্তিত্ব’ টিকিয়ে রাখতে এবার আগের ছেড়ে দেয়া দুটি আসন আর দিতে চায় না আওয়ামী লীগ। ফলে আসন ভাগাভাগির হিসেবে সিলেটে ক্রমেই টানাপড়েন দেখা দিয়েছে মহাজোটে। এর মধ্যে মহাজোটের শরিক দল গণতন্ত্রী পার্টি এবার সিলেট-১ আসনটি চায়। এ আসনে ব্যারিস্টার আরশ আলী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। সিলেটে এবার সবক’টি আসনেই আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন। জাতীয় পার্টির কাছে ছেড়ে দেয়া সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের ভেতরে মনোনয়ন নিয়ে যুদ্ধ চলছে। আর এই যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তফসিল ঘোষণার আগের দিন পর্যন্ত এ আসনে শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নিজ এলাকায় শোডাউন দিয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসনটি জোটের খাতিরে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আসন ছাড় দেয়ার কারণে এ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ উন্নয়নের ভাগিদার হতে পারেনি বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের মতে, একটি আসন একবারই জোটের খাতিরে ছাড় দেয়া উচিত। বারবার ছাড় দিলে ওই আসনে দলের সাংগঠনিক অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যাবে। এ কারণে আওয়ামী লীগ এবার সিলেট-২ ও সিলেট-৫ আসনটি ছাড় দিতে নারাজ।
সিলেট-২ আসনটি এবার জাতীয় পার্টি যেকোনো ভাবেই চায়। জোটগতভাবে এই আসন না পাওয়া গেলে এ আসনের বর্তমান এমপি ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়া দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিগত ৫ বছর এলাকা যুগান্তরকারী উন্নয়ন ঘটিয়েছেন দাবি করে সংসদ সদস্য এহিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন- জাতীয় পার্টি এবার বেশি আসন চায়। জাতীয় পার্টিতেও যোগ্য প্রার্থীর অভাব নেই। এমপি বেশি থাকলে দলের সাংগঠনিক ভিত শক্তিশালী হয় বলে জানান তিনি।
সিলেট-৫ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির হুইপ সেলিম উদ্দিন। তিনি এই আসনের স্থানীয় নয়। এ কারণে এবার তার বিরুদ্ধে সিলেট-৫ আসনের সর্বদলীয় নেতারা একাট্টা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দলের নেতারা একত্রে বসে নিজ আসনের প্রার্থী দাবি করেছেন। সিলেট-৫ আসনে সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ। দল ক্ষমতায় থাকলেও কানাইঘাট ও জকিগঞ্জে উন্নয়নের কোনো অংশীদার হতে পারেনি জাতীয় পার্টি। কানাইঘাট জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানের মতে- কানাইঘাট ও জকিগঞ্জে গত ৫ বছরে আওয়ামী লীগের নেতারা অভিভাবকহীন ছিল। এমপি তার নিজস্ব মানুষ দিয়ে উন্নয়ন কাজ করিয়েছেন। এমপির ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি আওয়ামী লীগের নেতারা। এ কারণে এবার তারা এই আসনে দলীয় প্রার্থী চান। এদিকে- সিলেট-৫ আসনে হঠাৎ করে সংসদ সদস্য হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন সাবেক এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার। তার পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতারা অবস্থান নিয়েছেন। তবে- এবারো এ আসনটি চায় জাতীয় পার্টি।  সেলিম উদ্দিন এবারো জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে চাচ্ছেন। এছাড়া সিলেট-৩ আসন এবার জাতীয় পার্টি দাবি করে বসেছে। এ আসনে তাদের প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ আতিকুর রহমান আতিক। সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের কোন্দল চরমে। একাধিক নেতা ইতিমধ্যে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন। ফলে জাতীয় পার্টি এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চাইছে। জাতীয় পার্টির সিলেট জেলার সদস্য সচিব উসমান আলী জানিয়েছেন- এ আসনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিলে জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তিনি নিজেও এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চান। সিলেট-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজ রহমান। বিগত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি হয়ে তিনি এ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু মহাজোটের খাতিরে তিনি এ আসনটি ছাড় দিয়েছিলেন। ছাত্র সমাজের সাবেক নেতা মুজিবুর রহমান ডালিমও এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চান।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status