বাংলারজমিন
মনোনয়ন কিনলেন সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ
আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে
১২ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ। বিরামহীন তিনি ছুটে চলেছেন এই আসনের দুই উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, হাটবাজার সর্বত্র। ইতিমধ্যে দুইশ’রও বেশি পথসভা, জনসভা ও গণসংযোগের মধ্য দিয়ে তিনি এই আসনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। এছাড়া গত ১৭ই সেপ্টেম্বর বিশাল মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে ব্যাপক শোডাউন করেন নূর মোহাম্মদ। কিন্তু তিনি কোন দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন, সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা এতোদিন পাওয়া যাচ্ছিল না। এরকম পরিস্থিতিতে রোববার (১১ই নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে তার পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। সাবেক এই পুলিশ প্রধান সমর্থক নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে সাবেক এই পুলিশ প্রধানের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের খবরটি জানাজানি হওয়ার পর নির্বাচনে এ আসনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সমীকরণ।
সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ ছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে আরো অন্তত ১১ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনও রয়েছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন এবং সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ ছাড়া আরো যাদের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের খবর জানা গেছে তারা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন আলী আকবর, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এম এ মান্নান, আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান অপু, কটিয়াদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক তারিকুল মোস্তাক রানা, প্রয়াত সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মো. আবদুল মান্নানের ছেলে ডা. মাজহার মান্নান পার্থ এবং প্রয়াত কমান্ডার মোহাম্মদ বজলুর রহমানের ছেলে ড. জায়েদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ।
চাকরি জীবন শেষ করার পর তার কর্মজীবনের নিষ্ঠা ও সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে সরকার তাকে সচিব এবং রাষ্ট্রদূত হিসেবেও নিয়োগ দিয়েছিল। বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পুলিশের আইজি ছিলেন। এরপর মহাজোট সরকারের আমলে তাকে মরক্কোর অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করা হয়। একই আমলে অ্যাম্বাসেডর থেকে ফিরিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৬ সালে নভেম্বরে সরকারি চাকরি থেকে তিনি অবসরে গেছেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নূর মোহাম্মদ বলেন, আমি জীবনে অনেক পেয়েছি, আমার আর কোনো আফসোস নেই। এখন আমি মানুষকে কিছু দেয়ার জন্য চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টা করার মানসিকতা থেকে আমি নির্বাচনী মাঠে নেমেছি। কেননা, কোনো অবস্থানে বা কোনো কাজের মধ্যে না থাকলে মানুষের জন্য কিছু করা যায় না। আমার মনে হয়েছে, সুযোগ পেলে মানুষের জন্য অনেক ভালো কিছু করতে পারবো।
সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ ছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে আরো অন্তত ১১ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনও রয়েছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন এবং সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ ছাড়া আরো যাদের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের খবর জানা গেছে তারা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন আলী আকবর, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এম এ মান্নান, আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান অপু, কটিয়াদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক তারিকুল মোস্তাক রানা, প্রয়াত সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মো. আবদুল মান্নানের ছেলে ডা. মাজহার মান্নান পার্থ এবং প্রয়াত কমান্ডার মোহাম্মদ বজলুর রহমানের ছেলে ড. জায়েদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ।
চাকরি জীবন শেষ করার পর তার কর্মজীবনের নিষ্ঠা ও সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে সরকার তাকে সচিব এবং রাষ্ট্রদূত হিসেবেও নিয়োগ দিয়েছিল। বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পুলিশের আইজি ছিলেন। এরপর মহাজোট সরকারের আমলে তাকে মরক্কোর অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করা হয়। একই আমলে অ্যাম্বাসেডর থেকে ফিরিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৬ সালে নভেম্বরে সরকারি চাকরি থেকে তিনি অবসরে গেছেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নূর মোহাম্মদ বলেন, আমি জীবনে অনেক পেয়েছি, আমার আর কোনো আফসোস নেই। এখন আমি মানুষকে কিছু দেয়ার জন্য চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টা করার মানসিকতা থেকে আমি নির্বাচনী মাঠে নেমেছি। কেননা, কোনো অবস্থানে বা কোনো কাজের মধ্যে না থাকলে মানুষের জন্য কিছু করা যায় না। আমার মনে হয়েছে, সুযোগ পেলে মানুষের জন্য অনেক ভালো কিছু করতে পারবো।