রকমারি
হাতের নখ কাটেনি ২৫ বছর
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
১১ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
নখের প্রতি ভালোবাসা থেকে ফুলবাড়ীর অরুন কুমার সরকার (৩৪) ২৫ বছর ধরে নিজের হাতের নখ না কেটে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সরকারের বড় ছেলে অরুন কুমার সরকার।
অরুনের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে যখন সে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র তখন কয়েক সপ্তাহ নখ না কাটায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাকে নখ কাটার কথা বলেন। কিন্তু কৌতুহলবশত নখ আরো একটু বড় হলে কেমন লাগে, সেটা দেখার চিন্তা করে নখ রাখা শুরু করে অরুন।
আর সেখান থেকেই শুরু। তবে নখ বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে সেটার প্রতি অদম্য এক ভালবাসা জন্মায় তার। তারপর থেকেই নখ কাটতে আর ইচ্ছে হয়নি তার। লোকমুখে শুনে অরুনের এই নখ একনজর দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই তার দোকানে আসেন।
অরুনের বাবা মা ও আত্মীয় স্বজন তার নখ রাখার ব্যাপারে প্রথম প্রথম বাধা দিলেও পরে তারাও তা মেনে নেন। এ অবস্থায় অনেক বছর কেটে গেলে, তার বামহাতে রাখা নখগুলো পর্যায়ক্রমে বড় হতে থাকে।
একপর্যায়ে বিয়ে করার পর তার ঘরে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে লক্ষীপুর বাজারে কন্যা সন্তানের নামে 'কান্না ডিজিট্যাল ফটো স্টুডিও' নামে একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকান রয়েছে তার। সেখানে ছবি তোলা ও ডিস সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করেই তিনি জীবিকা নির্বাহ করছেন।
অরুন বলেন, হাতে নখ রাখার ব্যাপারটা হঠাৎ করেই শখের বসে শুরু হয়। তবে এতে তার তেমন কোনো সমস্যা হয় না। নখগুলোর প্রতি তার অনেক ভালোবাসা জন্মেছে। সে কারণে তার নখগুলো আর কখনো কাটবেন না বলে জানান তিনি। এমনিতেই যদি কোন কারণে এই নখের কোনো অংশ একটু ভেঙ্গে যায়, তাতেই তিনি খুব কষ্ট পান বলেও জানান তিনি।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সরকারের বড় ছেলে অরুন কুমার সরকার।
অরুনের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে যখন সে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র তখন কয়েক সপ্তাহ নখ না কাটায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাকে নখ কাটার কথা বলেন। কিন্তু কৌতুহলবশত নখ আরো একটু বড় হলে কেমন লাগে, সেটা দেখার চিন্তা করে নখ রাখা শুরু করে অরুন।
আর সেখান থেকেই শুরু। তবে নখ বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে সেটার প্রতি অদম্য এক ভালবাসা জন্মায় তার। তারপর থেকেই নখ কাটতে আর ইচ্ছে হয়নি তার। লোকমুখে শুনে অরুনের এই নখ একনজর দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই তার দোকানে আসেন।
অরুনের বাবা মা ও আত্মীয় স্বজন তার নখ রাখার ব্যাপারে প্রথম প্রথম বাধা দিলেও পরে তারাও তা মেনে নেন। এ অবস্থায় অনেক বছর কেটে গেলে, তার বামহাতে রাখা নখগুলো পর্যায়ক্রমে বড় হতে থাকে।
একপর্যায়ে বিয়ে করার পর তার ঘরে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে লক্ষীপুর বাজারে কন্যা সন্তানের নামে 'কান্না ডিজিট্যাল ফটো স্টুডিও' নামে একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকান রয়েছে তার। সেখানে ছবি তোলা ও ডিস সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করেই তিনি জীবিকা নির্বাহ করছেন।
অরুন বলেন, হাতে নখ রাখার ব্যাপারটা হঠাৎ করেই শখের বসে শুরু হয়। তবে এতে তার তেমন কোনো সমস্যা হয় না। নখগুলোর প্রতি তার অনেক ভালোবাসা জন্মেছে। সে কারণে তার নখগুলো আর কখনো কাটবেন না বলে জানান তিনি। এমনিতেই যদি কোন কারণে এই নখের কোনো অংশ একটু ভেঙ্গে যায়, তাতেই তিনি খুব কষ্ট পান বলেও জানান তিনি।