বাংলারজমিন
বনভোজনের টাকাই কাল হলো স্কুলছাত্রী তামান্নার
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
১১ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন
সাঁথিয়ার আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রী জীবনের কাল হলো আদায়কৃত বনভোজনের টাকা জমা রাখা। জমাকৃত বনভোজনের টাকা হারিয়ে যাওয়ায় শিক্ষকের চাপের মুখে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। সরজমিন বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষেতুপাড়া আবদুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে সাংবাদিকরা প্রবেশ করলে নিহত তামান্নার সহপাঠীরা জানান, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিপেন্দ্র নাথ আমাদের বনভোজনে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা তাতে রাজি হয়ে চাঁদা দিয়ে থাকি। উত্তোলনকৃত টাকা শিক্ষক তামান্নার নিকট জমা রাখেন। পরে জমাকৃত টাকা শিক্ষক ফেরত চাইলে সে গড়িমসি করতে থাকে। একপর্যায় বনভোজনের সময় আসন্ন হলে জমাকৃত টাকা হারিয়ে যাওয়ায় শিক্ষককে ফেরত দিতে না পেরে ৫ই নভেম্বর সকালে স্কুলে না এসে তামান্না পাশেই নানার বাড়ি গিয়ে গোয়াল ঘরে ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এদিকে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে তামান্নার মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করলেও পারিবারিক সদস্যরা মৃত্যুর কোন কারণ জানাতে পারেনি।
মৃত্যুর ঘটনার পরেই তামান্নার এক আত্বীয় নাম প্রকাশ না করার সর্তে জানান, আমি তার বাক্্র খুলে নগদ ২৪শ’ টাকা পেয়েছিলাম। টাকার সাথে কাগজে ৭ হাজার ৪৪০ টাকার একটি লিস্টও পেয়েছিলাম। তাতে স্কুলের বিভিন্ন ছাত্রীর নাম লেখা ছিল।
আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিপেন্দ্র নাথ সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা অশিক্ষিত বলেই আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন জানান, বিদ্যালয় থেকে বনভোজনে যাওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এদিকে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে তামান্নার মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করলেও পারিবারিক সদস্যরা মৃত্যুর কোন কারণ জানাতে পারেনি।
মৃত্যুর ঘটনার পরেই তামান্নার এক আত্বীয় নাম প্রকাশ না করার সর্তে জানান, আমি তার বাক্্র খুলে নগদ ২৪শ’ টাকা পেয়েছিলাম। টাকার সাথে কাগজে ৭ হাজার ৪৪০ টাকার একটি লিস্টও পেয়েছিলাম। তাতে স্কুলের বিভিন্ন ছাত্রীর নাম লেখা ছিল।
আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিপেন্দ্র নাথ সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা অশিক্ষিত বলেই আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন জানান, বিদ্যালয় থেকে বনভোজনে যাওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।