দেশ বিদেশ
তারামন বিবি গুরুতর অসুস্থ
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে
৯ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন
শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সমস্যা, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ নানা সমস্যার কারণে কথা বলতে পারছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তি তারামন বিবি। কুড়িগ্রামের রাজীবপুরের বাসা থেকে ময়মনসিংহ সিএমএইচ-এ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ভর্তি করা হয়। বীরপ্রতীক খেতাব পাওয়া অকুতোভয় এই নারী মুক্তিযোদ্ধা। তারামনের জীবন নিয়ে নতুন করে শঙ্কিত তার পরিবার। সার্বক্ষণিক তার পাশে থাকা একমাত্র ছেলে আবু তাহের জানান, ময়মনািসংহ সামরিক হাসপাতাল থেকে বিকাল সাড়ে ৫টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মা’কে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ-এ) হেলিকপ্টারে করে পাঠানো হয়েছে। আবু তাহের বলেন, আমার মায়ের একটি ফুসফুস অনেক আগে থেকেই নষ্ট। আরেকটিও প্রায় অকার্যকর। আর শ্বাসকষ্টের সমস্যা তো আছেই। মাঝে-মধ্যে শ্বাসকষ্ট অনেক বেড়ে যায়। আবার কোনো সময় নিয়ন্ত্রণে থাকে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর দেড়টা এই দীর্ঘপথে এম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহে আসার পথে একটি কথাও বলেননি তারামন, এমন তথ্য জানিয়ে তার সন্তান বলেন, কথা বলার মতো মায়ের অবস্থা নেই। রোগে-শোকে তিনি কাতর। পাকিস্তাানিদের সঙ্গে লড়াই করে বাঙালি জাতিকে লাল-সবুজের পতাকা এনে দেয়া তারামন বিবি এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের দিকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাঙালির জাতির গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জনের অন্যতম দিকপাল হিসেবেও বিবেচনা করা হয় তাকে। ২০১৪ সালের দিকে তারামন বিবির ফুসফুসের সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু উন্নতি হয়নি অবস্থার। এরপর ২০১৬ সালের ওই সময়ে রংপুর থেকে সরাসরি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর কাচারীপাড়ার বাড়িতে ফিরলেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলেনি মাত্র ১৪ বছর বয়সে সম্মুখ সমরে লড়াই করা এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। তারামন বিবির ছেলে আবু তাহের আরো জানান, বছরের বেশির ভাগ সময়েই মাকে হাসপাতালে রাখতে হয়। আজ ময়মনসিংহে আনার পর ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে। দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানো হলে আমার মা সুস্থ হয়ে উঠতো। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।